পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী
১৩৩

উপায় আর নাই। সর্ব্বদা বিপদের মুখে ছুটিয়া যাওয়া, আগুনে ঝাঁপাইয়া পড়া, অত্যাচার নিবারণে অস্থির হইয়া উঠা, পরের প্রাণবক্ষার জন্য নিজ-প্রাণ বিপন্ন করিয়া শত্রুর উপরে পতিত হওয়া—এক কথায় দেহ-মন-প্রাণকে সর্ব্বদা একটা উচ্চ ভাব ও উচ্চ লক্ষ্যে নিযুক্ত বাখিলেই মানুষের মনুষ্যত্ব জাগিয়া উঠে, তাহার বক্ষে-বাহুতে সেই বীর্য্য সঞ্চারিত ও সঞ্চিত হয় যাহা বৃহত্তর যুদ্ধে তাহাকে জয়ী করিতে পারে। কিন্তু তৎপরিবর্ত্তে সে যদি কেবল চরকায় সূতা কাটে, তবে তাহার মনও ভিতরে ভিতরে যতপ্রকার দুষ্টচিন্তার সূতা কাটিতে থাকিবে, সৎ প্রবৃত্তির পরিবর্ত্তে অসৎ প্রবৃত্তিই জাগিবে (আমি সাধারণ মানুষের কথাই বলিতেছি); সে তখন গান্ধী ও গান্ধী-কংগ্রেসের ভক্ত হইয়া সেই ভক্তির বশে, হয় ‘নেতা’, নয় ‘সম্পাদক’, নয় ‘রিলিফ কমিটি’র অধ্যক্ষ প্রভৃতি পদে, অথবা নানাবিধ ব্যবসায়ে লায়েক হইয়া উঠিবে; ভক্তি যদি আরও গভীর ও নির্জ্জলা হয় তাহা হইলে গো-পালন ও খাদি-বয়নের দ্বারা দেশোদ্ধারের চুড়ান্ত করিয়া ছাড়িবে। গান্ধী-ধর্ম্মের দোহাই দিয়া অতি চতুর সুবিধাবাদীর দল আজ কি না করিতেছে! আর ঐ হরিজন-সেবা এবং সাম্প্রদায়িক প্রেম-সাধনা—তাহার দাপটে প্রাণরক্ষা করাই দায় হইয়া উঠিয়াছে।

 তথাপি সুভাষচন্দ্র ঐ কংগ্রেসকে কি চক্ষে দেখিতেন, গান্ধীজীকেও তিনি শেষ পর্য্যন্ত কিরূপ শ্রদ্ধা করিতেন, তাহার