পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী
১৩৯

স্বার্থসাধন, এমন করিয়া মানুষকে জাগানো যায় না—মানুষে মানুষে বিরোধ দূর করিয়া এক বিশাল মুক্ত-স্বাধীন রাষ্ট্রের স্থাপনাও সম্ভব নয়। তাহা কেমন করিয়া সম্ভব? নেতাজী সুভাষচন্দ্রই তাহা প্রথম হইতে বুঝিয়াছিলেন, কিন্তু ঐ কংগ্রেসকে কিছুতেই বুঝাইতে পারেন নাই—সেই দিব্যদৃষ্টির জন্য যে মহাপ্রাণতার প্রয়োজন তাহা একমাত্র ঐ একটি পুরুষেরই ছিল। তিনি ঐ সমস্যার জন্য কিছুমাত্র উদ্বিগ্ন হন নাই; তিনি জানিতেন যে, ভারতবাসীকে সর্ব্বস্বপণের জন্য আহ্বান করিয়া সংগ্রামে নিযুক্ত করিলেই সকল বিবোধ সকল ভেদ আপনিই মিলাইয়া যাইবে; বদ্ধজলেই রোগ-বীজাণু বৃদ্ধি পায়, প্রবল স্রোত বহাইতে পারিলে সে সকল আপনিই নষ্ট হয়। তিনি বিশ্বাস করিতেন—

 “When the bugle is sounded, all those who hunger for freedom will naturally fall in line and resume freedom's march, regardless of their religious faith and denomination....When people become “comrades-in arms” in the struggle for liberty, a new espirit d' corps will develop— and along with it a new outlook, a new perspective, a new vision.... It will then be easy for them to solve many of the questions which today appear difficult to solve.”

 [ভাবার্থ:—যাহারা স্বাধীনতা লাভের জন্য আকুল হইয়াছে, যুদ্ধের ডাক শুনিলেই তাহারা জাতি-ধর্ম্ম-ভেদ ভুলিয়া পরস্পরের পাশে আসিয়া দাঁড়াইবে; যুদ্ধযাত্রাকালে সেনাবাহিনীর মধ্যে সকল ব্যবধান লোপ পায়।