পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৮
জয়তু নেতাজী

এই প্রবন্ধের, তথা গ্রন্থের উপসংহার করিব। এই গ্রন্থে, আমি যেখানে যত অপ্রিয় সত্যভাষণের পাপ করিয়াছি―লোক?জা ব্যক্তি ও জন-বরেণ্য নেতার বিরুদ্ধ-সমালােচনা করিয়াছি, এবং সেই সমালোচনাতেও―মানুষ আমি―যে সকল তথ্য বা তত্ত্বের ভ্রম করিয়াছি, সেই সকল পাপই, এক্ষণে নেতাজী-চরিতের পাবনী-ধারায় স্নান করিয়া ক্ষালন করিতে পারিব। এখন আর কংগ্রেস নয়, জাতীয় স্বাধীনতা-সংগ্রাম নয়, এমন কি, আজাদ-হিন্দ্-ফৌজের অলৌকিক কীর্ত্তি-কাহিনীও নয়, এখন কেবল সেই পুরুষের প্রতি চাহিব, তাঁহার মহনীয় চরিত্র ও মহত্তর আত্মার অমর মহিমা হৃদয়ঙ্গম করিব। পৃথিবীর ইতিহাসে কত বড় বড় পুরুষের আবির্ভাব হইয়াছে―মানবাত্মার কত বিভূতিই প্রকাশ পাইয়াছে। কেহ ধর্ম্মে, কেহ রাষ্ট্রে, কেহ শিল্পে, কেহ সাহিত্যে, কেহ রণাঙ্গনে, কেহ মানুষের চিন্তারাজ্যে―মানবীয় প্রতিভার, মানব-মহত্ত্বের বিজয়-কেতন উড্ডীন করিয়া এখনও ইতিহাসের ধারায় বিদ্যমান বহিয়াছেন। এই সকলের মধ্যে এক-একটি শক্তির বিকাশ আমরা দেখিয়াছি,―সকলের মধ্যে সকল শক্তির বিকাশ দেখি নাই। এইজন্যই, ভারতবর্ষে যাঁহাদিগকে অবতার-কল্প পুরুষ বলা হয়―সেইরূপ পুরুষের মধ্যেও, মনীষী বঙ্কিমচন্দ্র একমাত্র শ্রীকৃষ্ণকেই শ্রেষ্ঠ বলিয়া স্বীকার করিয়াছিলেন, তাঁহার ‘কৃষ্ণচরিত্রে’ তিনি সে-পক্ষে যথেষ্ট যুক্তি ও চিন্তার সমাবেশ করিয়াছেন। আমি অবশ্য সুভাষচন্দ্রের জন্য