পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
২১৫

করিতে আছে? অতএব তিনি ঐ যুদ্ধ তখন স্থগিত রাখিবেন। এ যেন অনেকটা রামচন্দ্রের পিতৃ-সত্য-পালনের মত! আমি এই প্রসঙ্গ আর দীর্ঘ করিব না।

 বেশ বুঝিতে পারা যায়, গান্ধী ব্রিটিশের সহিত সত্যকার বিবাদ করিতে―কোন অবস্থাতেই―রাজী ছিলেন না। অথচ জনগণ ও সংগ্রামী নেতাগণকে সন্তুষ্ট করিবার জন্য ঐ যুদ্ধের একটা ঠাট বরাবর বজায় রাখিতে হইয়াছিল। লোকে মনে করিত, তিনি যাহা কিছু করিতেন তাহাতেই ব্রিটিশ-রাজশক্তিকে দমিত করিবার একটা সূক্ষ্ম কৌশল আছে―উহার দ্বারাই তাহারা পরাজয় মানিবে। ঐ প্রায়োপবেশনের দ্বারা তিনি সেই ব্রিটিশকেই বিপন্ন করেন, এইরূপ বিশ্বাসই করিত; তাহারা জানিত না, উহার দ্বারা তিনি জনগণকে অন্যমনা এবং বিপ্লবীদিগকে নিরস্ত করিতেন―ব্রিটিশকে প্রসন্ন রাখিতেই চেষ্টা করিতেন, যাহাতে তাহারা তাঁহাকে বন্ধু বলিয়াই শেষ পর্য্যন্ত বিশ্বাস করিতে পারে; এইজন্যই “according to some Britishers, Gandhi was the best policeman the Britisher had in India.”।

 আমি ঘটনাগুলির কালক্রম রক্ষা করি নাই; এইবার গান্ধীকংগ্রেসের ঐ স্বাধীনতা-সংগ্রামের শেষ পর্ব্ব এবং তাহাতে যে জয়লাভ সুরু হইল―তাহার একটু রীতিমত কাহিনী সুভাষচন্দ্রের গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃত করিব; ইহাও মনে রাখিতে বলি যে, ঐরূপ জয়লাভের জের, এবং তাহার শেষ ফল-স্বরূপ ভারত স্বাধীনতা লাভ করিয়াছে। কিন্তু যাহা বলিতেছিলাম। আমি গান্ধী-আরউইন্‌-চুক্তি, গোল-টেৰিল বৈঠক, সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা, এবং ভারত-শাসনের নূতন ব্যবস্থা ও