পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩০
জয়তু নেতাজী

তাহাদের একমাত্র কর্ত্তব্য; লক্ষ লক্ষ নর-নারী কেবল মহাত্মার দর্শন লাভ করিয়াই ধন্য হইতে লাগিল। সুভাষচন্দ্র লিখিয়াছেন―

 “During the Congress session, the Mahatma used to hold a public prayer in the morning and unprecedented crowds attended it. No propaganda could be more effective in drawing public support.” (P. 290).

 শেষে এমন হইল যে, ভারতে গান্ধীর ধর্ম্মমত বা রাজনীতির প্রতিবাদ করে এমন একজন ব্যক্তিও রহিল না―ঐ গণ-মনোভাবই বিদ্যা-বুদ্ধি ও বিচারশক্তিকে পরাভূত করিয়া গান্ধীকেই ত্রিশকোটির ‘একমেবাদ্বিতীয়ম্’ করিয়া তুলিল। যাহারা মহাত্মার মাহাত্ম্য হৃদয়ঙ্গম করিবার জন্য দুই চক্ষু মুদ্রিত করিতে পারিল না, তাহারা জাতির জীবনরঙ্গমঞ্চ হইতে নির্ব্বাসিত হইল; যাহার কোনরূপে টিকিয়া থাকিতে চাহিল তাহারা নিজেদের বিবেক ও বিদ্যাবুদ্ধি জলাঞ্জলি দিয়া প্রকাশ্যে গান্ধী-মন্ত্র গ্রহণ করিল; তাহারাই গান্ধীবাদ ও গান্ধীধর্ম্মের ভাষ্যরচনায় তাহাদের সেই বিদ্যাবুদ্ধির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করিল; বড় বড় বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক, এমন কি, ধর্ম্মমঠের গুরু বা অধ্যক্ষও গান্ধীর জয়গান করিতে লাগিল। এমনই করিয়া ভারত হইতে স্বাধীন চিন্তা, সত্যনিষ্ঠা, এবং জ্ঞানের আলোক নির্ব্বাপিত হইয়াছে, এবং তাহারই ফলে ভারত ‘নেশন’ হইয়া উঠিয়াছে। এমন কাজ ভারতে পুর্ব্বে কেহ করিতে পারে নাই, পৃথিবীর আর কোন অংশে এমন স্বাধীনতাধর্ম্মী ‘নেশন’ জন্মলাভ করে লাই। এই 'নেশন’কে ভারতের ভাগ্যবিধাতাও যেমন, ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টও তেমনই ভালরূপ চিনিয়াছিল―দুইয়ের কাহারও আর কোন চিন্তার কারণ রহিল না। তথাপি গান্ধী-সেনার সেই অনর্থক উপদ্রবের কারণ ঐ স্থূলবুদ্ধি ইংরাজ বুঝিতে না পারিয়া বড়ই বিরক্ত হইত,―ব্রিটিশ-সিংহ কখনও লাঙ্গুল-আন্দোলন, কখনও দংষ্ট্রাব্যাদান, কখনো বা দুই চারিটা