পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
২৩১

থাবা মারিয়া সব ঠাণ্ডা করিয়া দিত। আসলে গান্ধী-সৈন্যের সত্যাগ্রহীরা ইংরেজকে কিছুমাত্র শঙ্কিত করিতে পারে নাই―উত্তেজিত করিয়াছিল মাত্র; যদি কেহ উদ্বিগ্ন করিয়া থাকে―সে ঐ বিপ্লবীগণ। এইরূপে ১৯২৯-৩০ সাল আসিয়া পড়িল।

 ইহার পর যাহা ঘটিয়াছিল, আমি পুর্ব্বে তাহা সবিস্তারে বলিয়াছি। সুভাষচন্দ্র ১৩৩৪ পর্য্যন্ত গান্ধী-কংগ্রেসের সেই নাকালের কথা লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, তিনি এই পরিণামকে “Defeat and Surrender” নাম দিয়া পৃথক অধ্যায়ে তাহার আলোচনা করিয়াছেন। সে যে কেমন “পরাজয় ও আত্মসমৰ্পণ” তাহার একটি নমুনা উদ্ধৃত করি―

 ‘This meeting (A. I. C. C.―Patna 1933) offered a surprise to the public in as much as Mahatma Gandhi himself sponsored the idea that Congressmen should enter the legislatures —After the meeting when the Government felt that the defeat and humiliation of the Congress was complete―they withdrow the ban on most of the Congress Organisations in the country and allowed them to function’. (P. 370).

 আমি পূর্ব্বে গান্ধীর সেই একক-যুদ্ধ-অভিনয়ের হাস্যকর সংকল্প এবং তাহার শোচনীয় পরিণাম উল্লেখ করিয়াছি। লর্ড উইলিংডনই গান্ধী-কংগ্রেসের সেই কর্ম্মভোগ, তাহার সেই গত্যন্তরহীন অবস্থা ঘুচাইয়া তাহাকে মুক্তি দিয়াছিলেন। ইহার পর ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট আপন খুসীমত তাহাকে ‘ওঠ-বোস’ করাইয়াছে। গান্ধী স্পষ্টই বুঝিতে পারিলেন, ব্রিটিশের সহিত তিনি রাজনীতির যুদ্ধে পারিয়া উঠিবেন না –অন্ততঃ তিনি যে উপায়ে তাহদের হিতসাধন করিতে চাহিয়াছিলেন, তাহারা তাহা গ্রাহ্য করিবে না। কিন্তু তখন সেইরূপ রাজনীতির মুখোসেও আর প্রয়োজন নাই; জনগণ এখন সম্পূর্ণ বশীভূত হইয়াছে, তাই ব্রিটিশকে ছাড়িয়া তিনি এইবার তাঁহার নেতৃত্ব আর এক