পাতা:জয়তু নেতাজী.djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
২৩৭

পাঠ করিলে সকলেই স্বীকার করিবেন। এইবার আমি সেই উপসংহারটি আর একটু সবিশেষ লিপিবদ্ধ করিব। ঐ ১৩৩৪ সালের পর ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট গান্ধী কংগ্রেসের ঝুঁটি ধরিয়া তাহাকে একটার পর একটা খুঁটিতে বাঁধিয়া তাহাদেরই প্রস্তুত জাবনা খাইতে বাধ্য করিয়াছে,―তাহাদের শাসন-নীতি ও শাসন-ব্যবস্থার কিছুমাত্র পরিবর্তন করে নাই। কংগ্রেস তাহাই হজম করিয়া―ব্রিটিশের সেই আবরণহীন ছলনাকেও তাহার সুবুদ্ধির নিদর্শন ও নিজেদের ক্রমিক জয়লাভ বলিয়া, জনগণের নিকটে ইজ্জত রক্ষা করিয়াছে; গোলটেবিল-বৈঠকের পর যে নূতন ভারত-শাসনতন্ত্র প্রবর্ত্তিত হইল, তাহাকে সাগ্রহে বরণ করিতে গান্ধী-কংগ্রেস কিছুমাত্র লজ্জিত হয় নাই। কিন্তু জনমত বলিতে তখন আর কিছুই ছিল না―ত্রিশকোটি প্রজার মত একজনের মতে লয় হইয়া গিয়াছে; সেই একজন তাঁহার কর্তৃত্ব যে কয়জন পার্ষদকে বাঁটিয়া দিয়াছেন তাহারাই জনগণের প্রতিনিধি; তাহাদের কার্য্যকলাপকে ভারতবাসীর কার্য্যকলাপ বলিয়া অভিহিত না করিলে―‘heretic’ বা বিধর্ম্মী হইতে হয়। এখনও সেই কর্তৃত্বের নাম—খাঁটি ডিমোক্রেসী! জনগণের কোন কথা কহিবার ইচ্ছা বা অধিকার ছিল না―গান্ধীর সেই অ-ব্যাবহারিক, অহিতকর নীতির ফলেই যাহা অবশ্যম্ভাবী তাহাই তখন ঘটিতে লাগিল; তখন তাহার প্রতিকার প্রার্থনা করিলে, অর্থাৎ তাঁহাকে পুনরায় সংগ্রামে অবতীর্ণ হইতে বলিলে, তিনি ব্রিটিশের সেই মূর্ত্তির পানে চাহিয়া বিমূঢ় হইয়া পড়িতেন,―কিছু করিতে না পারার কৈফিয়ৎ স্বরূপ তিনি দুই তিনটি কথার সাহায্য লইতেন, যথা―কংগ্রেসে পাপ ঢুকিয়াছে (অর্থাৎ সকলে চরকা-ধর্ম্ম পালন করিতেছে না); বাতাসে হিংসার বারুদ-গন্ধ পাইতেছি; আলোক দেখিতেছি না। এই আলোক-দর্শনের কথা