পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাইবার উকলি নামে একজন সিজন বা সর্দারের অধীন। লোকসংখ্যা প্রায় গচিশ হাজার, আয় প্রায় ৮২**\টাকা । এখানে খনিজ দ্রব্যের মধ্যে চুণ, কয়লা ও লৌহ উৎপন্ন হয়। পূর্কে এখানে লৌহ গলাইবার বৃহৎ কারখানা ছিল, তাহার নিদর্শনস্বরূপ এখনও স্থানে স্থানে বৃহৎ বৃহৎ গৰ্ত্ত পড়িয়া আছে। এখানকার লৌহের আকর অতি বিশুদ্ধ। লোঁহেয় বাট করিয়া স্থানে স্থানে প্রেরিত হয়। দেশীয় কামারের বিলাতী লৌহাপেক্ষা এই লৌহের অধিক আদর করে। বিলাতী লৌহের আমদানীতে মূল্য হ্রাস হইয় পড়ায় দেশীয় ব্যবসায়ও লোপ পাইতেছে। তবে এথনও পাহাড়ী দা, কোদাল, হাতুড়ি ও লোহার খাঁচা প্রস্তুত হইয়৷ নানাস্থানে রপ্তানী হয়। এ ছাড়া এখানে তুলা, এড়িয়া রেশম, মাদুর ও চুবড়ীর ব্যবসা বলে। ধান, কানি, কার্পাস, বিলাতী আলু, কমলানেৰু, লঙ্কা, সুপারি ও পাশের চাষ হয়। এখানকার বনে, মধু, কৃষ্ণজীর, লাক্ষা প্রভৃতি পাওয়া যায়। খাইবার, পেশবার জেলাস্থ আফগানস্থানে যাইতে একটা গিরিসঙ্কট। এই গিরিসঙ্কটের মধ্যভাগ অক্ষা ৩৪°৬' উঃ, দ্রাঘি” ৭১৫ পূৰ্ব্বে অবস্থিত। খাইবার পর্বত হইতে ইহায় নামকরণ হইয়াছে। খাইবার পর্বত সফেদকে নামক গিরিমালার শেবভাগ। থাইবারপথ প্রায় ১৭ ক্রোশ। পেশবারের পশ্চিমে জমরুদ হইতে আরম্ভ করিয়া ঢাকা অবধি বিস্তৃত। এই গিরিসঙ্কটের স্থানভেদে উচ্চতার তারতম্য লক্ষিত হয়। যথা—জমরুদ ১১১৩ হাত, আলীমসজিদ ১৬২২ হাত, লওঁীথান৷ ১৬৫৯ হাত, লওঁীকোটাল ২২৪৯ হাত ও চাকা ৯৩৬ হাত উচ্চ। জরীপ বিভাগের স্কটসাহেবের মতে জমর ১৬২২ হাত উচ্চ, যদি এই মাপ ঠিক হয়, তাহা হইলে প্রত্যেকটার মাপ পূৰ্ব্বাপেক্ষ প্রায় ৫-৮০ হাতের অধিক উচ্চ হইয়া পড়ে। এই গিরিপথই আফগানস্থান ও ভারতবর্ষের মধ্যে সৰ্ব্বোদীচ্যগীমায় অবস্থিত। ইহা পূৰ্ব্বদিক হইতে ক্রমশঃ উচ্চ। কিন্তু আবার পশ্চিমভাগ ক্রমনিক্স হইয়া গিয়াছে। আলীমসজিদ নামক সঙ্কট একটী ক্ষুদ্র নদীর গর্ড, এখানে দুইধারে ভৃগু আছে। লওঁীখানার গিরিসঙ্কট ৮ হাত প্রশস্ত, ইহার একধার সমান্তরাল প্রাচীর ও অপরধীরে তুঙ্গ শৃঙ্গ, যেন কাবুল রাজ্যের প্রবেশপথ শক্রর দুর্ভেদ্য করিয়া রাখিয়াছে। সকল গিরিসঙ্কটের স্থায় এখানেও সামান্ত বৃষ্টি হইলে বস্ত আসে। অপর সকল সময়ে শুষ্ক থাকে। এখানকার জল অম্বাস্থ্যকর। খাইবার পাহাড়ে প্রধানতঃ ফুেট, চুণী পাথর ও বালুপাথর পাওয়া যায়। [ на 1 शै। এখানকার অধিবাসীরা খাইবার নামে অভিহিত । খাইবারীয় আবার প্রধানতঃ ৩ ভাগে বিভক্ত। আফ্রিদি, শিল্বারা ও ওরাকজাই। খাইবারের পূর্ণ অংশে আফ্রিণি, পশ্চিম অংশে শিল্বার এবং তিরা নামকস্থানে, পেশবারের দক্ষিণপশ্চিমে ও স্থানে স্থানে আফ্রিদির সহিত ওরাকজাই জাতির বাস । খাইবারীদিগের মধ্যে এক একজন মালিক বা সর্দার আছে, সর্দার প্রধান হইলেও সকল সময় তাহার কথা থাকে ন, তাহাকেও সাধারণের মতামতের উপর নির্ভর করিতে হয়। খাইবারের মধ্যে পেশবার হইতে জলালাবাদ যাইবার পথে যে সকল আফ্রিদি ও শিল্বারী বাস করে, তাহার। পূৰ্ব্বে পথরক্ষা করিবার জন্ত সদোজই নামক সেই স্থানের অধিপতিদিগের নিকট হইতে বর্ষে ১২••• টাকা করিয়া পাইত । [ আফ্রিদি দেখ। ] ইহার আপ বিপদকালে চল্লিশ হাজার লোকসংগ্ৰহ করিতে পারে । শিল্বারাদিগের মধ্যে ৮ট শাখা আছে, তন্মধ্যে যথা (যক্ষ ?) ও কুকি নামক শাখাই সৰ্ব্বাপেক্ষ বলিষ্ঠ, সাহসী ও যুদ্ধপ্রিয়। কুকিরা ইংরাজরাজের সহিত মিত্রত স্থাপন করিয়াছে। যথারা এখনও ডাকাত বলিয়া প্রসিদ্ধ। মহারাজ রণজিতসিংহ যখন পেশবারে যাত্রা করেন, সেই সময় খাইবারীরা বাধ খুলিয়া দিয়া তাছার তাবু ভাসাইয়া দেয়। রণজিতসিংহ বিলম্ব না করিয়া নিজ রাজধানীতে ফিরিয়া আসেন। জলালাবাদ আক্রমণকালে ১৮৪২ খৃষ্টাধ হইতে এই খাইবার গিরিসঙ্কট দিয়া কএকবার ইংরাজ সৈন্তদিগকে যাতায়াত করিতে হয়, প্রথম কএকবার তাহাদিগকে বিশেষ কষ্ট পাইতে হইয়াছিল এবং কএকজন প্রধান প্রধান ইংরাজ কৰ্ম্মচারী খাইবারীর হস্তে প্রাণত্যাগ করেন। ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দে আমীরের সহিত সন্ধি হয়। সেই পৰ্য্যন্ত খাইবারীরা ইংরাজরাজের অধীনতা স্বীকার করিয়া আসিতেছে। খাউকী । খাদক শাজ) ১ যে খায়, সেবন করে। এই শব্দটী উপহাস বা নিনাস্থলে স্ত্রীলিঙ্গে ব্যবহার হয়। (গ্রাম্য) ২ ওজর, ছল । খাউড়ল ( দেশজ) পেটুক । খাওন (খাদন শঙ্কজ ) ভোজন, আহার । খাওয়ান (খাদন শব্দজ ) ভোজন করান। খাওয়ামলম্ (খাওয়া+পারসিজ মলমূ) ভেদক মলমবিশেষ। থা (পারী) - সন্ধান্ত লোকের উপাধি। ই কতকগুলি গ্রামের প্রধান ব্যক্তি, মগুলেশ্বর। ৩ মুসলমান মধ্যে সন্ধান স্বচকপদী।