পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবিন্দ দাসের করচা হরিনাম দান করে পাপীরে ডাকিয়া । তাহাকে দেখিলে চিত্ত উঠে তপাসিয়া ॥ এক পক্ষ দ্বারকায় থাকি গোরা রায় । দ্বারকাপতির কাছে নিত্য আসে যায় ॥ নিত্য গিয়া দরশন করে প্রাণ ভরি। ভক্তি রসে মাতাইলা দ্বারকানগরী ॥ দ্বারকানিবাসী যত ভক্তিপরায়ণ । প্রভুরে দেখিতে সবে করে আগমন ॥ সকলের সঙ্গে প্রভু ইষ্টগোষ্ঠী করে। কীৰ্ত্তন করিয়া সবে নাচে প্রেমভরে ॥ ধৰ্ম্মের ভাবেতে পুরী করে টল মল । সকলের চিত্ত যেন হইল নিৰ্ম্মল ৷ মন্দমণ বায়ু সদা বহিতে লাগিল । পুষ্পগন্ধে চারি দিক্ যেন আমোদিল । সব লোক আনন্দিত প্রভুসঙ্গ পাইয়া। কিবা নারী কিবা নর সবে আসে ধাইয় ॥ চারিদিকে মঙ্গলের চিহ্ন দেখা দিল । হরিনামে দিক সব প্রসন্ন হইল ॥ কিবা পাও| কিবা গৃহী সকলে মিলিয়া। ধৰ্ম্ম উপদেশ শুনে শ্রবণ পাতিয়া ॥ যেই জন নাহি বুঝে তাহারে বুঝায়। নানা বুলি বলি প্ৰভু তাহারে মাতায় । কখন বা মোর প্রভু কাই মাহ বলে । কাই মাই বাত বলি বুঝায় সকলে । কেমন বুঝায় লোকে সৰ্ব্ব শক্তিমান । * উপদেশ শুনি সবে হইল অজ্ঞান। কিবা জ্ঞানী কিবা মুখ সকলে আসিয়া। পুলকিত হৈল সবে প্রভূরে দেখিয়া ॥

  • যে দেশের লোকদের কথা বোঝা জায় না, উহাদেরে যে তিনি কি ভাবে প্রণের কথা বুঝাইয়৷ দেন, তাহ আশ্চৰ্য্য।

어 《X এক দিন সন্ধ্যাকালে প্ৰভু ধীরে ধীরে। উপনীত হৈলা গিয়া কৃষ্ণের মন্দিরে ॥ বহুতব লোক যায় প্রভূর পেছনে । ভালমন্দ নাহি বলে শচীর নন্দনে ॥ মন্দিরের দ্বারে গিয়া অষ্টাঙ্গ করিল। তাহা দেখি লোক সব গড়াগড়ি দিল ॥ জোড় হস্ত করি প্রভু বহু স্তব করে | অমনি নয়ন হৈতে অশ্রজল ঝরে । । প্রেমরসে ডগমগ প্রভুর হৃদয় । যে দিকে তাকায় দেগে সব কৃষ্ণময় ॥ চক্ষু মুদি কৃষ্ণ বলি ডাকিতে লাগিল । প্রেমভরে কলেবর শিহরি উঠিল । সেইভাব যে জন না দেখেছে নয়নে । মুহি অতি মূখ তারে বুঝাব কেমনে ॥ যেই খানে মরক্ষেত্র কিছু মাত্র নাই । সেখানে বঙ্গল নদী চৈতন্য গোসাই ॥ সমস্ত দেশের মধ্যে পাপী না রহিল । ভক্তি দিয়া পাপিগণে প্রভু উদ্ধারিল ৷ একদিন পা গুণগণ আনন্দ করিয়া । মহামহোৎসব করে ভোগ লাগাইয়া ॥ অতিথি বৈষ্ণবগণে করি নিমন্ত্রণ | ক্ষার দধি পুৰী আদি করয়ে বণ্টন ॥ পক্ষুদের মধ্যে গিয়া গোর গুণমণি । প্রসাদ বণ্টনপ্রভু করেন আপনি ॥ রজনীতে সবে মেলি কুটীরেতে যাই । পরম আনন্দে মোর রজনী কাটাই ॥ এইরূপে পক্ষ কাল ইষ্টগোষ্ঠী করি । পরদিন ছাড়ে প্রভু দ্বারকা নগরী ॥ প্রভু বলে এইবার নীলাচলে যাব। নীলাচলে সবে মেলি আনন্দে কাটাব ॥ চল বিদ্যানগরে যাইৰ সবে মেলি । এক না যাইব পুরী রামরায়ে ফেলি।