পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গজ [ ১৬৬ ] श्रैश्च বিন্ধু থাকে, ইহারা মল্লায়াসেই শিক্ষা গ্রহণ করে এবং সকল স্থানেই বাইতে ভালবাসে। এইরূপ হস্তী সকলেই যে নিন্দনীর বা প্রশংসনীয় তাহা নহে। অবস্থা ও লক্ষণ দেখিয়া ভাল বা মন নিরূপণ করিতে হয়। (১) পরাশ্নরসংহিতায় হস্তীর নখ হইতে শুড় পর্য্যন্ত প্রত্যেক অবয়বেই শুভাশুভ লক্ষণ উক্ত হইয়াছে, কিন্তু তাহা চিনিয়া লওয়া দুঃসাধ্য। এই কারণ পরাশয় নিজেই বলিয়াছেন যে, “কোথায়ও সৰ্ব্বলক্ষণযুক্ত হাতী দেখিতে পাওয়া যায় না, অতএব প্রধান যে কয়ট লক্ষণ, তাহ দ্বারাই শুভাশুভ নির্ণয় করিতে হয়।” অনাবশুক মনে করিয়া সেই সকল সুক্ষলক্ষণের কথা উল্লেখ করা হইল না, প্রধান প্রধান লক্ষণ কয়টাই লিখিত হইল । হস্তীর গুড়টা লাঙ্গুল অপেক্ষ ক্ষুদ্র, অথবা লাস্কুলের সমান অভিশয় দীর্ঘ, ক্রমায়ত ক্ষুদ্র, অতিশয় স্থল, রূক্ষ, ব্ৰণযুক্ত বা ক্ষুদ্র অঙ্গুলিযুক্ত হওয়া ভাল নহে। ইহার বিপরীত হইলে ভাল । শুড় পুচ্ছের সমান, ছোট বা অতিশয় বৃহৎ হইলে দুঃখপ্রদ, ক্ষুদ্র হইলে রোগকর ও অতিশয় স্থল হইলে অর্থনাশক । হস্তীয় দন্তবেষ্ট দুইট রোমহীন, অতিশয় স্থল, অসমান ও শিথিল হইলে প্রভুর অমঙ্গল এবং রোমযুক্ত সুশৃঙ্খলাবদ্ধ ও কিঞ্চিৎ উন্নত হইলে স্বামীর সমৃদ্ধি হয় । হস্তীর মুখের দুইপাশে যে দুইট বৃহৎ দাত বাহির হয়, তাহাকেই এস্থলে গজদন্ত বলা যাইতে পারে । গজদন্ত কুইট পরম্পর অসমান, সঙ্কীর্ণ, উন্নত, ভষ্মের ন্যায় শুভ্রবর্ণ, বক্র, হ্রস্ব, ধুসর, রূক্ষ, মৃদু, অধোগামী, মূল ও মধ্যে সরু, প্রান্তভাগ স্থল, দীর্ঘ বা অতিশয় আয়ত হইলে দোষজনক । ইহাতে বাহক ও প্রভুর নানাপ্রকার অমঙ্গল ঘটিয়া থাকে। হস্তীদন্ত সমান, স্নিগ্ধ, অসঙ্কীর্ণ, পূর্ণ, ব্ৰণশূন্ত, মুকুল সদৃশ, দৃঢ়, মুণাল বা কুমুদের স্থায় শুভ্রবর্ণ হইলে ভাল । হস্তীর তালু, শ্বেতবর্ণ বা কযায়বর্ণ হইলে তাল, ইহা ধন ও আয়ুবৰ্দ্ধক । হস্তীর ওষ্ঠসন্ধি দুইট পরিমাণে ছোট হইলে মুখরোগ হয়। কিন্তু ১২ অঙ্গুল প্রমাণ হইলে সৰ্ব্ববিষয়ে মুখ হয়। ওষ্ঠ লোমশূন্ত শম্বলীযুক্ত, ঈষৎ তাম্রবর্ণ হইলে মুখরোগ হয় এবং দীর্ঘরোমযুক্ত, সম্পূর্ণ, পদ্মের ন্যায় রক্তবর্ণ, ১৬ অস্কুল অনাহু, ও ১২ অঙ্গুল আয়ত হইলে স্বামীর আয়ুবৃদ্ধিকর। হস্তীকুম্ভৰয় বিষম, রোমহীন, দেহচ্ছায় বিবর্ণ, সমান, t>) *वtनएषष्ठबू ৰাৰে প্ৰধানামধাম্বোত্তমঃ। প্রশস্ত। নিশ্বিভাশ্চাপি তেষাং ৰক্ষ্যামি লক্ষণমূ " (পরাশয় ) কণ্ঠ ও পৃষ্ঠ হইতে অধিক, অসংপূর্ণ, ব্যক্ত, হ্রস্ব, प्रितगाम শুষ্ঠ এবং ক্ষুদ্র হইলে ভাল নহে। কুম্ভ দুইটা পরস্পর সমান, দীর্ঘরোমযুক্ত, বিশাল শিখরবিশিষ্ট, কর্ণমূল হইতে অৰ্দ্ধহস্ত পর্যন্ত বিস্তৃত, সংহত ও স্থল হইলে নানাবিধ মুখ হইয়া থাকে। কৰ্ণ লোমশূন্য, ক্ষুদ্রচর্শ্ব ও ছিদ্রযুক্ত, শিরা সম্বলিত, ংকীর্ণ, বিষম, রূক্ষ, কঠিন, স্তন্ধ বা বৰ্ত্তল হইলে হস্তীর আয়ু নাশ করে। নাড়ী শূন্য, বৃহৎ ছিদ্রবিশিষ্ট, স্নিগ্ধ, দ্বন্দুভির ন্যায় শব্দবিশিষ্ট, কপোলের আস্ফালনে দারুণ শব্দযুক্ত, চামরতুল্য, ময়ূর ও তালবৃন্তের সদৃশ হওয়া ভাল । হাতীর কণ্ঠদেশ অবক্র, অহীন ও দীর্ঘ হইলে ভাল । পৃষ্ঠদও অতিশয় উন্নত, পা নিম্ন বা খাট হইলে তাল নহে । ৯৬ অঙ্গুলি আয়ত ও অশ্বফলকাকৃতি হওয়া ভাল । হস্তীর গাত্র পরস্পর সমানভাবে উন্নত বা মাংসযুক্ত, বিষম, হ্রস্ব, দীর্ঘ বা কেশযুক্ত হইলে অমঙ্গল হয় । ইহার বিপরীত ভাল । হাতীর নখগুলি ক্ষুদ্র, কৃষ্ণবর্ণ, খণ্ডাকৃতি, রূক্ষ হইলে অমঙ্গল হয়। স্নিগ্ধ অৰ্দ্ধচন্দ্রের ন্যায় প্রভাবিশিষ্ট ও পূৰ্ব্বোক্ত লক্ষণের বিপরীত হইলে ভাল । হস্তিচরণ হীন, রূক্ষ এবং তলভাগে অতিশয় মনোহর হইলে দুঃখকর হইয়া থাকে। কিন্তু দৈর্ঘ্যে একহস্ত ও কুৰ্ম্মাকার হইলে শুভজনক, ইহা ছাড়া আরও কত স্থল্ম লক্ষণ মুনি ঋষিরা নির্ণয় করিয়াছেন, জানিতে ইচ্ছা হইলে পরাশরসংহিতা দ্রষ্টব্য । , মনুষ্যেরা যেরূপ পিতামহ ব্ৰহ্মাকে আপনাদের পূর্বপুরুষ বলিয়া পরিচয় দেয়, মহাকায় হাতীরাও সেইপ্রকারে ঐরাবত্ত প্রভৃতিকে আপনাদের পিতামহ বা পুৰ্ব্বপুরুষ বলিয়া পরিচয় দিতে পারে। ইহাদের পূর্বপুরুষ আটটা । ঐরাবত, পুওরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদন্ত, সাৰ্ব্বভেীম ও সুপ্রতীক। ইহারা সকলে দিগগজ নামে বিখ্যাত । এই সকল দিগ্‌গজের বংশধর মহাকায় গজ পৃথিবীর বিশাল অরণ্যে, আপনাদের আধিপত্য বিস্তার করিয়াছে । ইহাদেয় বংশমর্য্যাদাও নাকি দেখিতে পাওয়া যায়, আকারগত পার্থক্যও আছে। অষ্টদিগ্‌গজের বংশজাত বলিয়া হস্তীরাও আটভাগে বিতক্ত । ইহাদের মধ্যে ঐরাবত বংশীয় হস্তীরাই শ্রেষ্ঠ। ষে হস্তী শুভ্রবর্ণ লোমশূন্য, অল্পভোজী, বলবান, অত্যন্ত বৃহৎ, যুদ্ধকালে ক্রোধনস্বভাব, অন্য সময়ে নম্র, শীঘ্রজলপায়ী, লোম ও পুচ্ছে স্বল্পতাযুক্ত, যাহাদের গুগু খেতবর্ণ ও দীর্ঘ, লিঙ্গ ক্ষুদ্র অথচ পুষ্ট এবং याशप्लग्न भौज्ञ श्रेष्ठ अङ्घउ ७ उत्ने भन्न छन निःश्ड श्य,