পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষ [ १¢ ] বিষ বিষপদার্থ শরীরে শোষিত হইয়াছে। সুতরাং দূরবর্কিনী ক্রিয় .প্রকাশের প্রধানতম সাধন – দেহে বিষশোষণ । সকল অবস্থাতে বিষের ক্রিয়া একরূপ পরিলক্ষিত र न। বিষের মাত্ৰাধিক্য, দেহে উহ্যর ক্রমোপচয় ও দৈহিক পদার্থ সহ সংমিশ্রণ এবং বিষাৰ্ত্ত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থামুসারে বিষের ক্রিয়ার তারতম্য ঘটিয়া থাকে। দৃষ্টান্ত স্থলে অহিফেনের কথাই ধরিয়া লউন, মাত্রার তারতম্যান্থসারে কোন স্থলে অহিফেন শ্রেষ্ঠতম ঔষধের ন্যায় কাৰ্য্য করে, আবার কোনও স্থলে উহাদ্বারা বিষলক্ষণ প্রকাশ পায়। যে মাত্রায় একজন যুবকের পক্ষে উহা মহোপকারী ফলপ্রদ ঔষধ বলিয়। গণ্য হয়, ঠিক সেইমাত্রাই একটি শিশুর পক্ষে সংঘাতক বিষ । শিশুর কথাই বা বলি কেন, যে যুবকের পক্ষে ঐ মাত্র সময় বিশেষে অমৃতবৎ কাৰ্য্য করে, অবস্থাবিশেষে তাহাই বিষের ন্যার কার্য্য করিতে পারে। বেরিয়াম নামক পদার্থের রাসায়নিকপ্রক্রিয়ায় প্রস্তুত সকল প্রকারের প্রস্তুতিই বিষ-ক্রিয়া-প্রকাশক ; কেন না ঐ গুলি সমস্তই দ্রবণীয় পদার্থ। কেবল উহার অদ্রবণীয় সালফেটই বিয-ক্রিয়া-প্রকাশক নহে । বিশুদ্ধ সায়েনাইড (Cyanide ) এবং উহার দ্বিগুণ মিশ্রণ মাত্রেষ্ট বিষক্রিয়াজনক । কিন্তু পেটাশিয়াম ও দ্বিগুণ সায়ে নাইড অব আয়ুরণ দ্বারা যে প্রাসিয়েট অব পোটাশিয়াম প্রস্তুত হয়, উহ! আদেী বিষক্রিয়াজনক নহে। আবার দেহের স্থানবিশেষের সহিত সংস্পর্শ ও সংযোগ দ্বার বিষের ক্রিয়ার যথেষ্ট তারতম্য হইয়া থাকে। চৰ্ম্মের উপরে বিষ সংস্পষ্ট হইলে উহা সহজে শোষিত হইতে পারে না। শ্লেষ্মধর *nta ( inucous membrano) shr»t*t >{<t* c,tfärs হয়, আবার ইহার নিম্নস্থ রক্তরসধৱ কলায় ৰিষ সংযুক্ত হইলে অবিলম্বে উহা শোষিত হইয়া থাকে । অসভ্যেরা বাণের অগ্রভাগে এক প্রকার বিষ মিশ্রিত করিয়া দেয়। ঐ বিষ কোন প্রকারে উদরন্থ হইলেও তাহা হইতে আদৌ কোন বিষ ক্রিয়া প্রকাশ পায় না, কিন্তু উহা রক্তেব সহিত সংযুক্ত হওয়া মাত্রই সংঘাতক ठ्हेब्रु खेप्% । আবার ব্যক্তিবিশেষের সাত্ম্যের ( Idiosyncrasy ) উপরে বিষক্রিয়ার যথেষ্ট তারতম্য পরিলক্ষিত হইয় থাকে। মুগের দাইল থাইলে কাহারও আমাশয় হয়, দুধ ও বৃত অতি প্রয়োজনীয় নিত্য ব্যবহার্য্য খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে পরিগণিত হইলেও কাহারও কাহারও পক্ষে উহা অসুখকর ও অসহ্য হইয়া উঠে । কোন কোন ব্যক্তি প্রচুর পরিমাণে অহিফেন সেবন করিয়া থাকে, তাহাতে বিযলক্ষণের চিহ্ন মাত্রও পরিলক্ষিত হয় না। আসেনিক বা শিমূলক্ষার অতি ভয়ানক বিষ। ইহার হত্যের विरुयििग्नङ्गि ठब्रिउब] মাত্রা সেবনেও ওলাউঠার স্থায় বিষলক্ষণ দৃষ্ট হয়, কিন্তু কেই কেহ অভ্যাসের গুণে অনায়াসে প্রচুর পরিমাণেও এই বিষ সেৱন করিয়া থাকে । আবার এমনও দেখা যায় যে, কোন কোন পীড়ায় কোন কোন বিষের ক্রিয় দেহে প্রকাশ পাইতে পারে না । ধমুষ্টঙ্কারে প্রচুর পরিমাণে অহিফেন সেবন করিলেও উহাতে সহসা বিষের ক্রিয় প্রকাশ পায় না। কোন কোন জরে পাল্লুদের বিষক্রিয়া দেহে প্রতিফলিত হয় না। আবার অপরপক্ষে কোন কোন পীড়ায় অতি অল্পপরিমাণ বিষবৎ পদার্থও ভীষণ বিষলক্ষণ প্রকাশ क्८न्न । ८कम न| उमवश्ाग्न डेश्! जक्ष्ज! ८नश् बृहेरठ मिश्नास्त्र হইবার উপযুক্ত পথ পায় না। আয়ুৰ্ব্বেদে বিষের যে প্রকার শ্রেণীবিভাগ করা হইয়াছে ; পাশ্চাত্য-বিজ্ঞানে বিষের শ্রেণীবিভাগপ্রণালী সেরূপ নহে। পাশ্চাত্য বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতগণ বলেন, বিষের শ্রেণীবিভাগ করা বড় সহজ নহে। বৈজ্ঞানিক প্রণালী অনুসারে বিষের শ্রেণীবিভাগের নিমিত্ত অনেক প্রকার যত্ন করা হইয়াছে, কিন্তু এখনও উহা বিশুদ্ধ বৈজ্ঞানিক প্রণালীর অনুমোদিত বলিয়া স্বীকৃত হয় নাই । পাশ্চাত্যবিজ্ঞানে নিখিল বিষসমূহকে চারিশ্রেণীতে বিভক্ত করা হইয়াছে যথা :– ( ১ ) করেসিভস (Corrosives) বা দেহতত্ত্বর অপচায়ক । (২ ) ইরিটাণ্টস (Irritants ) বা উগ্ৰতাকারক। (৩) নিউরোটিকস্ (Neurotics) বা স্নায়বীয় বিকৃতিবৰ্দ্ধক। ( 8 ) গ্যাসিয়াস ( Gaseous ) বা বায়ুবীয় বিষ । ১। দেহতত্ত্বর অপচয়কর বিষসমূহ। এই শ্রেণীর বিষ সকলের মধ্যে পারদ ঘটিত দ্রব্য গুলিই সৰ্ব্বপ্রথমে উল্লেখযোগ্য। এতদ্ব্যতীত সলফিউরিক এসিড, নাইট-ক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, অক্জালিক এসিড, কাৰ্ব্বনিক এসিড, পোটাশ, সোডা, এমোনিয়া, বাইসলফেট অব পোটাস, ফটকারী, এন্টিমণি, নাইটেট অব সিলভার এবং ক্ষার পদার্থের বিবিধ কাৰ্ব্বনেট সমূহও এই শ্রেণীর অন্তভূক্ত। এই সকল বিষ দ্বারা দেহ বিষাক্ত হইলে নিম্নলিপিত লক্ষণ সকল প্রকাশ পায় । কোন প্রকার পদার্থ গলাধঃকরণ হওয়ার পরেই মুখে, মুখ গহবরের নিয়ে, তালুতে ও আমাশয়ে অত্যন্ত জ্বালা বোধ হয়। ক্রমে এই জ্বালা সমগ্র অস্থে প্রকাশ পাইয় থাকে। অতঃপর দুর্নিবাৰ্য্য বমনের উপদ্রব দেখা t দেয় । খনিজ এসিড, অথবা অকৃজালিক এসিড সেবনে যে বমি হয়, সেই বমির উদ্ধান্ত পদার্থগুলি পাকাঘরের মেঝের উপরে পড়িলে উহাতে এসিডের ক্রিয়া তৎক্ষণাৎ প্রকাশ পায়, অর্থাৎ शिtदद्र ८अनैदिछन्।