পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিম [ १७ ] বিষ ঐ স্থানে বুদবুদ উঠিতে থাকে। এই বমিতেও কোন প্রকার শাস্তিবোধ হয় না । বমির সহিত রক্তের কণা দেখিতে পাওয়া যায়। এমন কি, অল্পবহানালীর গাত্র এই বিষে অপচিত হইয়া উহার ঝিল্লি গুলি পর্যন্ত বিশ্লিষ্ট ও বিচ্যুত হয় এবং বাস্ত পদার্থের সহিত বিমিশ্রিত হইয়া পড়ে। বায়ুতে উদরাখান হয়। উদরের উপর হাত দিলে রোগীর পক্ষে উহা অসহ্য হইয় উঠে । ভয়ঙ্কর জর হয়। ‘মুথের মাংসাদিতে অনেক স্থলেই স্পষ্টত; ক্ষত দেখা দেয় । বিষের পরিমাণ অধিক হইলে অতি অল্পক্ষণেই রোগীর মৃত্যু ঘটে। তৎক্ষণাৎ মৃত্যু না ঘটলেও মুথে ও অন্ত্রে ক্ষতাদি হইয়া নিদারুণ যাতনায় ক্লেশভোগ করিতে করিতে অনশনে রোগীর দুঃখময় জীবনের অবসান হয় । এই সকল বিষপীড়িত রোগীর চিকিৎসার মধ্যে সৰ্ব্বপ্রথমে অন্ত্রনালী ও আমশিয়ের ধৌতি প্রধান প্রয়োজনীয় । এই নিমিত্ত পাশ্চাত্য চিকিৎসকগণ zz staz HfFFR-sifat și strz ( Soft Siphon tube ) stai আমাশয় ধৌত করার ব্যবস্থা করেন। বিষের ক্রিয়ায় আমাশয়ের প্রাচীর অত্যন্ত দুৰ্ব্বল হইয়া পড়ে ; সুতরাং সেস্থলে “ষ্টমাক পাম্প" ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত নহে। স্নিগ্ধকারক পানীয়, বালীর জল এবং অহিফেন ঘটিত ঔষধাদি প্রয়োগ করা কর্তব্য ভিন্ন ভিন্ন বিষে ভিন্ন ভিন্ন প্রকার দ্রব্য বিযচিকিৎসায় বাবস্বত্ত হয়। যদিও এই শ্রেণীর অস্তভুক্ত সকল প্রকার বিষেই প্রায় সদৃশ লক্ষণ প্রকাশ পায়, কিন্তু বিষ দ্রব্যবিশেষে চিকিৎসার দ্রব্যাদি ও প্রয়োগ প্রকার স্বতন্ত্র বর্ণিত হইয়াছে। নিম্নে কতিপয় প্রধান ও বস্থল প্রচারিত বিষদ্রব্যের চিকিৎসা-প্রণালীর উল্লেখ কৰা যাইতেছে :- - (১) করোসিব সবলিমেট —করোসিব সবলিমেটকে সংস্কৃত ও বাঙ্গালায় রসকপুর বলা যাইতে পারে। কিন্তু রসকপুর বিশুদ্ধ করোসিব সবলিমেট নছে, উহাতে প্রচুর পরিমাণে কালোমেল বিমিশ্রিত থাকে । আয়ুৰ্ব্বেদীয় কোন কোন ঔষধে রসকপুরের প্রয়োগ দেখিতে পাওয়া যায়। বাজারের রসকপূরে কালোমেল ও করোসিব সবলিমিটের পরিমাণের স্থিরতা নাই । কিন্তু উহাতে যখন করোসিব সবলিমেটের পরিমাণ অধিক থাকে, তখন ঐ পদার্থের অতি অল্পমাত্রা ব্যবহার করিলেও ভয়ানক বিধলক্ষণ প্রকাশ পায়। পাশ্চাত্য চিকিৎসাশাস্ত্রেও করোসিব সবলিমেট বিৰিধ রোগে হাইড্রাঙ্গ পারক্লোরাইড নামে ব্যবহৃত হয় । ইহার মাত্রা এক গ্রেণের ৩২ ভাগ হইতে ১৬ ভাগ পৰ্য্যন্ত । কিন্তু রসকপুর ৮ গ্রেণ মাত্রাতেও ব্যবস্বত হইয়া থাকে। রসকপূরে হাইডুtঙ্গ পারক্লোরাইডের ভাগ অপেক্ষাকৃত অনেক কম থাকে বলিয়াই f5कि९म o এইরূপ মাত্রায় ব্যবহৃত হইতে পারে। এক গ্রেইন করোসিব সবলিমেট সেবনে মানুষের মৃত্যু হইতে দেখা গিয়াছে। ইহার প্রতিষেধক ঔষধ ডিম্বের মওলাল পদার্থ। ডিম্বের অওলাল জলে গুলিয়া তৎক্ষণাং সেবন করাইলে বিষ শোধিত হইতে পারে না। প্রচুর পরিমাণে পুনঃপুন ডিম্বের অওলাল সেবন করাইয়া বমিকারক ঔষধের স্বার বমন করান বিধেয় । (২) খনিজ এসিড-সালফিউরিক, নাইটিক, হাইডেক্লোরিক প্রভৃতি খনিজ এসিড সমূহ দ্বারা বিষাক্ত হইলে ক্ষার, ক্ষারকাৰ্ব্বনেট ও চকু প্রভৃতি দ্রব্য সেবন করান কৰ্ত্তব্য । এই সকল প্রক্রিয় দ্বারা এসিডের ক্রিয়া বিনষ্ট হয় । (৩) অকৃজালিক এসিড—অক্জালিক এসিড ভয়ঙ্কর বিষ । ইহাতে ১৫ মিনিটে বা ৩০ মিনিটে লোকের মৃত্যু হইতে পারে। অকৃজালিক এসিড খনিজ নহে, উদ্ভিজ্জ। সাধারণতঃ হৃৎপিণ্ডের উপরেই ইহার বিষক্রিয় প্রকাশ পায়। এই বিষ সেবন মাত্রই ৷ রোগী অত্যন্ত দুৰ্ব্বল হয় এবং সহসা মুস্থিত হইয়া প্রাণত্যাগ করে। ইহার দ্বারা বিষাৰ্ত্ত হইলে সৰ্ব্বপ্রথমে বমিকারক ঔষধ দেওয়া বিধেয় । তৎপরে চাখড়ি ব্যবহার করিলে অকজালিক ७निtछन्न दियग्निग्न मठे श्ञ ! (৪) ক্ষার দ্রব্য—পোটাস, সোডা, এবং ইহাদের কার্বনেট ও সালফাইড সেবনেও খনিজ এসিডের স্তায় বিষক্রিয়া প্রকাশ পায় । অধিকন্তু এই সকল দ্বারা দেহে বিষলক্ষণ প্রকাশ পাইলে তৎসঙ্গে অতিসারও উহার একটা আমুসঙ্গিক লক্ষণরূপে প্রকাশ পাইয়া থাকে । অল্পদ্রব্য সেবন দ্বারা এই অবস্থায় প্রতিকfর করা কৰ্ত্তব্য । (৫) কাৰ্ব্বনিক এসিড –ইহাও একটা ভয়ঙ্কর বিষ । এই বিষ দেহের যে স্থানে স্পষ্ট হয়, সেই স্থানই দেখিতে দেখিতে শ্বেতবর্ণ ধারণ করে, দেহতত্ত্ব সঙ্কুচিত হইয়া যায়। স্বায়ুকেন্দ্রে বিষের ক্রিয় সত্বরে প্রকাশ পায়, এই নিমিত্ত রোগী সহসা অচেতন হইয়া পড়ে । ইহার সবিশেষ লক্ষণ এই যে, এই বিষ সেবনের পরে প্রস্রাব ঘোর সবুজ বর্ণে পরিণত হয় । ইছার প্রতিকার চুণের জলে চিনি মিশাইয়া সরবত করিয়া রোগীকে যথেষ্ট পরিমাণে সেবন করিতে দেওয়া বিধেয় । সালফেট অব সোডা জলে দ্রব কবিয়া সেবন করিতে দিলেও যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায় । $4ष्ठांछनय दिक् । উগ্ৰতাজনক বিষসমূহ উৎপত্তিস্থলভেদে ত্রিবিধ—ধাতব, জঙ্গম ও উদ্ভিজ্জ। এই শ্রেণীর বিষ সেবনে বা গাত্র স্পশে স্পৃষ্ট স্থানে প্রদাহ উৎপন্ন হয় অর্থাৎ স্পষ্ট স্থল রক্তরসারি দ্বারা স্ফীত ও বোনযুক্ত হইয়া উঠে। ধাতব উগ্ৰতাজনক বিষের