পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষমজুর মধ্যে শীত, কম্প ও দাহুযুক্ত বিষমজর নষ্ট হয়। বাতশ্লেষ্মপ্রধান এবং শ্বাস, কাস, অরুচি ও পার্থবেদনাযুক্ত বিষমজরে কন্টিকারী, গুড়ী, শুঠ ও কুড় এই কয় দ্রব্যের বাথ প্রশস্ত ; ইহাতে ত্রিদোযজ জ্বরেরও উপকার হয়। মুখা, আমলকী, গুড়,চী, শুঠ ও কণ্টকারিক, ইহাদের কাথের সহিত পিপুলচুর্ণ ও মধু মিশ্রিত করিয়া সেবন করিলে বিষমজর নষ্ট হয় । প্রাতঃকালে বা আহারের পূৰ্ব্বে, যে সময় হউক, তিলতৈলের সহিত রম্বন উত্তমরূপে নিপিষ্ট করিয়া ভক্ষণ করিলে বিষমজর নাশ হয় । ব্যাখ্রীর চব্বি ( বসা ) সমান পরিমাণ হিমু ও সৈন্ধবের সহিত অথবা সিংহের বস পুরাণঘ্নত ও সৈন্ধবের সহিত মিশ্ৰিত করিয়া নস্ত গ্রহণ করিলে বিষমজার উপকার হয়। সৈন্ধব, পিপুলচুর্ণ ও মনঃশিলা তিলতৈলে উত্তমরূপে পেষণ করিয়া অঞ্জনরূপে ব্যবহার করিলে বিষমজর নিবৃত্ত হয় । গুগগুল, নিশ্বপত্র বচ, কুড়, হরীতকী, সর্ষপ, যুব ও ঘৃত এই কয়েক দ্রব্য একত্র করিয়া তাহার ধুপ (ভাপরা ) গ্রহণ করিলে বিষমজর বিনষ্ট হয় । জর রসধাতুস্থ হইলে বমন ও উপবাস প্রশস্ত। সেক ( জরস্থ পদার্থের কাথ দ্বারা অবসেচন ), প্রদেহ ( জরনাশক দ্রব্য উত্তমরূপে নিপিষ্ট করিয় তাহার প্রলেপ ) ও সংশমন ( দোষ প্রশমক দ্রব্যের কাপ চুর্ণাদি ) রক্তস্থজরে হিতকর । রক্তমোক্ষণেও রক্তগত জ্বরের উপকার হয় । মাংস ও মেদস্থিত জ্বরে বিরেচন ও উপলtস প্রশস্ত । অস্থি ৪ মজ্জগত জারে নিরূহণ ( কযায় দ্রব্যের বস্তি বা পিচকারি ) ও অনুবাসন ( স্নেহ-বস্তি ) প্রয়োগ কৰ্ত্তব্য। BBBBBBB BBBBBBB BBB S BBBBBB BBBBBB ক্রিয়াও বিধেয়। শুক্রস্থানগতজরে "মরণং প্রাপুয়ান্ত শুক্রস্থানগতে জরে” জর শুক্রস্থানগত হইলে বলরক্ষক শ্রেষ্ঠতম শুক্ৰধাতুর অতিশয় নির্গমহেতু রোণীর মৃত্যু হয়। কৃষ্ণজীরা কিঞ্চিৎ ভাজিয়া উহার তুল্য পৰিমাণ পুরাতন ইক্ষু গুড় সহ মিলিত করিয় তাহীর দুই তোলা পরিমাণে সেবন করিলে বিযমজর নষ্ট হয় । তুলসীপাতার অথবা দ্রোণপুষ্পীব ( গুম্মা বা দগু-কলসীর ), রস, মবিচচূর্ণের সহিত পান করিলে বিষমজবের উপশম হয়। বলাডুমুব, কটকী, অনন্তমূল ও খামালতা এবং পলতা, মুথা, বৃহদস্তী, কটক ও অনন্তমূল এই দুইটী যোগের অন্ততরের কাথ দোষ প্রশমনের জন্ত সততাদি জরে নিয়ত প্রযোজ্য। পণত, ইন্দ্রযব, অনন্তমূল, হরীতকী, নিম্বছাল, গুলঞ্চ ও বালা ইহাদের কাথে সততক এবং কিসমিস, পলতা, নিমেরছাল, মুথা, ইন্দ্রযব, আমলকী, হরীতকী ও বয়ড়া ইহাদের কাথে অন্ত্যেঙ্কজর নিবৃত্তি হয় । বেণারমূল, রক্তচন্দন, মুখা, ওলঞ্চ, ধনিয়া ও শুঠ ইহাদের কাথে চিনি ও মধু প্ৰক্ষেপ [ ৯০ 1 霹 देिशभक्त्र o দিয়া তৃষ্ণাদাৰসংযুক্ত তৃতীয়কজরে প্রযোজ্য। রবিবার আপাদের মূল তুলিয়া সাতগাছি লালরঙ্গের স্বতার দ্বার কটিদেশে বন্ধন করিলে তৃতীয়কজর দূর হয়। শালপান, ভূম্যামলকী, দেবদারু, হরীতকী, বাসকছালু ও শুঠ ইছাদের কাথ মধু ও চিনিসংযোগে পান করিলে চাতুর্থকজর বিনষ্ট হইয় থাকে। অগস্ত্য পত্রের (বকফুলের পাতার) স্বরস এবং শিরীষপুষ্পের স্বয়সে হরিদ্র ও দারুহরিদ্রার কন্ধ ও ঘৃত মিশ্রিত কলিয়া নস্ত করিলে চতুর্থকজর বিনষ্ট হয়। যে জররোগী জরের বেগ এবং জর হইবার সময় চিন্তা করিতে করিতে ক্ষীণ হয় তাহকে বাঞ্ছিত দ্রব্য কিম্বা কোন আশ্চৰ্য্য অথবা বিষম অর্থাৎ দুঃসহ, হুগ্রহি ও দুৰ্ব্বোধাদি দ্বারা স্মরণ বিষয়ের অপনোদন করিতে হয়। বিষমজর দীর্ঘকালজাত হইলে রোগীকে উৎকৃষ্ট অথচ হিতকর এবং বাঞ্ছিত সামগ্রী দ্বারা চিকিৎসা করিতে হয় । সততাদিজরের চিকিৎসা যেরূপ কথিত হইল সততাদিবিপৰ্য্যয় জরের চিকিৎসা ও তক্রপ জানিতে হইবে, অর্থাৎ সততষিপৰ্য্যয়ে সততক্ষরের, অষ্ঠে্যুষ্ক-বিপৰ্য্যয়ে অন্তেচু্যন্ধজল্পের চিকিৎসার স্তায় চিকিৎসা করিতে হইবে । শীতদাহাদি জ্বরে শীতীর্তকে শীতনাশক ও দাহার্বকে দাহ নাশক ক্রিয় দ্বারা চিকিৎসা করা কৰ্ত্তব্য। শীতাদিজরাক্রান্ত ব্যক্তির অত্যন্ত শত উপস্থিত হইলে তুলানিৰ্ম্মিত শয্যা বা আস্তরণ এবং কম্বল প্রভৃতি দ্বারা শীত নিবারণ করিবে । এই সকল ক্রিয়াতেও যদি শত প্রশমিত না হয়, তাছা হইলে একটা প্রশস্তনিতস্বিনী সুন্দরী যুবতীকে আনিয়া বোণীর পাশ্বে শয়ান করাইবে, রমণীস্পর্শে স্বভাবতঃই রোগীর রক্ত গরম হইয়া শীতের উপশম হয় । কিন্তু এই প্রক্রিয়াতে শীত নিবারণের পর যদি কামোদ্রেক হয় তবে তৎকালে সেই স্ত্রীলোকটাকে স্থানান্তরিত ক্ষরিতে হইবে । এই শীতাপগমে যখন দহ উপস্থিত হইবে তখন এরওপত্র বা শীতল দ্রব্যাদি (শীতল কাংস্তাদি পাত্র ) অঙ্গে ধারণ করিয়া দাহ নিবারণ করিতে হইবে। লিপ্ত (গোময় ও জল দ্বারা লেপা ) ভূমিতে এরওপত্র বিন্যস্ত করিয়৷ তদুপরি দাহাৰ্বরোগীকে শায়িত করিলে জ্বরের সহিত দাহ প্রশমিত হয়। প্রথমে দাহ হইয়া যদি তৎপরে দেহে শীতলত উপস্থিত হয়, তবে রোগীর উত্তাপরক্ষার জন্ত পুনরায় তাহাকে সুগন্ধী চন্দন কপূর প্রভৃতি দ্বারা বিলেপিততন্ত্ৰী যৌবনবতী বনিতা দ্বারা বেষ্টন করাইবে । দাহোপশমে কামোদ্রেকের সম্ভাবনা থাকিলে পুৰ্ব্ববৎ ঐ যুবতীকে অপসারিত করিবে । শিবজট, গোশূঙ্গ, বিড়ালের বিষ্ঠা, সর্পনিৰ্ম্মোক ( সাপের খোলধ) মদনফল, জটামাংসী, বাঁশের নীল, রুদ্রনিৰ্ম্মাল্য, স্থত, যব,