পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশ (দাসবংশ ) [ 8७s ] বঙ্গদেশ (দাসবংশ ) সন্মানদানের পর তাহাকে অযোধ্যার সুবাদার পদে নিয়োজিত कुन । তৈমুর খান সুলতান আলৰ্তমাসের ক্রীতদাস ছিলেন। উহার বীরত্বাদি সদগুণে ও সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হইয়া সম্রাট, তাহাকে অযোধ্যার শাসনকর্তৃপদ দান করেন। তদনন্তর তিনি বাঙ্গালার মসনদ অলঙ্কত করিয়া দুই বৎসর মাত্র জীবিত ছিলেন, ৬৪৪ হিঃ গৌড় নগরে তাহার জীবলীলা শেষ হয়। ঐ রাত্রিতেই সুলতান তুঘান অযোধ্যানগরে দেহ রক্ষা করেন। অতঃপর ১২৪৬ খৃষ্টাব্দে তুর্কবংশীয় ক্রীতদাস শৈফউদ্দীন যুন তাত বাঙ্গালার শাসনকৰ্ত্ত হন। তিনি বিশেষ প্রতিভা ও যশের সহিত ৭ বৎসরকাল বাঙ্গালা শাসন করিয়া ১২৫৩ খৃষ্টাব্দে ( ৬৫১ হিঃ ) গৌড়নগরে জীবলীল। শেষ করেন, তাহার সময়ে উড়িষ্যার রাজা গঙ্গবংশীয় নরসিংহদেব বাঙ্গালা আক্রমণ করিয়া, গৌড় নগর অবরোধ করেন। যুগন থার প্রার্থনানুসারে ও দিল্লীশ্বরের আদেশে অযোধ্য হইতে সাহায্য আসিয়া উপনীত হইলে উৎকলসৈন্ত স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করিল। শৈফ উদ্দীন যুঘন তাতের পর অযোধ্যার শাসনকর্তা ইখতিয়ার উদ্দীন তুঘলখ মূলক যুজবেগ বাঙ্গালার শাসনকৰ্ত্ত হইয়া আসেন। তিনি বলদপিত উড়িষ্যাবাসীর প্রতিশোধ লইবার ইচ্ছায় উড়িষ্যা আক্রমণ করেন । দুইবার যুদ্ধে তাহার জয় লাভ হয়, কিন্তু তৃতীয় যুদ্ধে তিনি পরাজিত হইয়া পলায়ন করিতে বাধ্য হন । রাজারোহণের এক বৎসর পরে, তিনি আজমর্দনরাজকে (সম্ভবতঃ শ্ৰীহট্টরাজ ) পরাজয় করিয়া বহু ধনরত্ন সংগ্রহ করেন। এইরূপে অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিপতি হইয় তাহার হৃদয়ে স্বাধীন হইবার বাসনা বলবতী হইয়া উঠে। তিনি মুবিস উদ্দীন নাম ধারণ করিয়া শ্বেত ছত্রতলে উপবিষ্ট হন। পরে ১২৫৭ খৃষ্টাব্দে কামরূপ আক্রমণকালে তিনি শক্রহস্তে বন্দীকৃত ও নিহত হন ( ১২৭৫ খৃষ্টাব্দ ) । ৬৫৬ হিজিরায় মালিক যুজবেকের মৃত্যু সংবাদ দিল্লী সরকারে উপনীত হইলে, সম্রাট, নাসির উদ্দীন মহম্মদের মন্ত্রিবর্গ জলাল উদ্দীন খানি নামক একজন মুসলমান সেনাপতিকে বাঙ্গালার শাসনকর্তৃত্বে নিয়োগ করিয়া তদেশ অধিকারে প্রেরণ করেন। জলাল বাঙ্গালীয় উপনীত হইলে তথাকার মুসলমান সামন্তগণ র্তাহাকে বাঙ্গালার শাসনকর্তা বলিয়া গ্রহণ করিল। অতঃপর মুলতান জলাল উদ্দীন বাঙ্গালার রাজধানী লক্ষ্মণাবতীতে শাসনশৃঙ্খলা স্থাপন করিয়া পূৰ্ব্ববঙ্গের বিদ্বেষী রাজগণের স্বাধীনতাহরণে অগ্রসর হইলেন । এই সুযোগে কড়ার শাসনকৰ্ত্ত আর্মিলান থ গৌড়সিংহাসন অধিকার করেন। জলাল যুদ্ধে নিহত হইলে, আর্সিলান তদীয় সম্পত্তি ও হস্ত্যখরথাদির কতকাংশ দিল্লী সর কারে উপঢৌকনস্বরূপ প্রেরণ করিয়া গৌড়সিংহাসন নিষ্কণ্টক করিয়াছিলেন । সম্রাট আলতমাসের ক্রীতদাস ও সেনাপতি ইজা-উলমুলক তাজউদ্দীন আর্মিলান খী সঞ্জর বিজয়ী ১২৫৮ অৰে কড়ার শাসনকৰ্ত্ত হইয়ু মালব ও কালিঞ্জর আক্রমণেব আদেশ পান। তিনি ঘটনাচক্রে লক্ষ্মণাবতী অধিকার করেন। দুই বৎসরকাল গৌড়সিংহাসনে অধিষ্ঠিত থাকিয়া তিনি ১২৬০ খৃষ্টাঙ্গে লোকান্তর প্রাপ্ত হন । অতঃপর তৎপুত্র মহম্মদ তাতার র্থ বাঙ্গালার মসনদে অধিষ্ঠিত হইলেন । ইনি উদারচেতা, ধীর ও ধৰ্ম্মশীল ছিলেন। দিল্লীশ্বর নাসির উদ্দীন ঐ সময়ে মোগল আক্রমণ হইতে ভারতপ্রান্ত রক্ষা করিবার জন্য ব্যস্ত থাকায় গৌড়ের দিকে নয়ন ফিরাইতে পারেন নাই। ১২৬৫ খৃষ্টাব্দে দিল্লীর শাসনরশ্মি সুদক্ষ সম্রাটু বলম্বনের হস্তে সমৰ্পিত হইলে, গৌড়েশ্বর মহম্মদ দিল্লীশ্বরের তৃপ্তিবিধান জন্ত নানা উপঢৌকন প্রেরণ করেন । তদবধি ১২৭৭ খৃষ্টাব্দ পর্য্যম্ভ দিল্লীর অধীনস্থ সামস্তরূপে বাস করিয়া সুলতান তাতার খাঁ লক্ষ্মণাবতীতে দেহত্যাগ করেন। রাজসিংহাসন শূন্য জানিয়া সম্রাট, বলবন স্বীয় ক্রীতদাস ও প্রিয়পাত্র সুলতান মুঘিস্থ উদ্দীন তুঘলকে বাঙ্গালার শাসনকর্তা নিযুক্ত করিয়া পাঠাইলেন। তুঘল বীরত্ব দেখাইয়৷ উত্তলপুৰ্ব্ববঙ্গের হিন্দু রাজাদিগকে বশে আনিয়াছিলেন এবং তঁহিদিগকে করদানে বাধ্য করেন । ইতিহাসান্তরে প্রকাশ, এই সময়ে আমীন নামে এক ব্যক্তি গৌড়ের শাসনকর্তৃপদে নিযুক্ত হন, তুম্বুল নামক তাহার একজন নায়েব ছিলেন। সমাট, বলা অত্যন্ত পীড়িত হইয়াছেন সংবাদ পাইয়া তুঘল বিদ্রোহী হন ও বঙ্গের শাসনকৰ্ত্ত স্বীয় প্রভুকে বন্দী করেন। তৎপরে স্বয়ং মুলতান মুঘিস্থউদ্দীন নাম ধারণপূর্বক বঙ্গসিংহাসনে অধিষ্ঠিত হইয়াছিলেন ( ১২৭৯ খৃষ্টাব্দ ) । রাজাসনে আসীন হইয়া মুঘিস্যাজনগর (উৎকল )-রাজকে পরাজয় করিয়া তৎপ্রদেশ লুণ্ঠন করিলেন। এই সময়ে সম্রাটের পীড়ার সংবাদ পাইয় তিনি গৌড়রাজছত্রতলে উপবিষ্ট থাকিয়৷ আপনাকে স্বাধীন রাজা বলিয়া ঘোষণা করেন। দিল্লীশ্বর বলান এই সংবাদে তাহার বিরুদ্ধে ক্রমে ক্রমে দুই দল সৈন্ত পাঠান। প্রথম অভিযানে তিনি মালিক অবক্তজিনকে আমীন খা উপাধি দান ও বঙ্গের শাসনকৰ্ত্ত করিয়া অযোধ্যাপথে বাঙ্গালা অভিমুখে অগ্রসর হইতে আদেশ করেন। সম্রাট - বাহিনী ঘর্ঘরা অতিক্রম করিয়া গৌড়সীমান্তে উপনীত হইলে তুঘলের সহিত যুদ্ধ হয়। অবক্তজিন পরাজিত হন। সম্রাষ্ট্র অবক্তজিনের ফঁাসির আদেশ দিয়া তুর্মুতি নামক জনৈক