পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৫৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্ণলিপি [ مواجه ] বর্ণলিপি ভারতবর্ষে এইরূপে মান লিপি প্রচলিত থাকিলেও সকল লিপির ঠিক রূপ নির্দেশ করা কঠিন। ভারতের বিভিন্ন রাজবংশের রাজত্বকালে কোন বংশের ব্যবহৃত লিপি কতদূর প্রচলিত ছিল, সংক্ষেপে তাহারই পরিচয় দেওয়া যাইতেছে। बां★१ डओ वl cमोईiनिनि ! মৌর্য্য-সম্রাটু অশোক ৰে ব্ৰাহ্মী লিপি ব্যবহার করিতেন, চিমালয়ের তরাই হইতে সিংহল পর্য্যস্ত সেই লিপির নিদর্শন বাহির হইয়াছে। মহাবংশ হইতেও আমরা জানিতে পারি যে, অশোকের এক পুত্র ও এক ফন্ত সিংহলে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচার করিতে গিয়াছিলেন । তাছাদের সহিত মাগধ ব্রাহ্মীলিপিও গিয়াছিল, তাহারই নিদর্শন সিংহলে খৃষ্টপূৰ্ব্ব ১ম শতান্ধে উৎকীর্ণ অভয়গামিনীর শিলালিপিতে পাওয়া গিয়াছে। কেবল সিংহল বলি কেন, চীনসমুদ্রের তীরবর্তী কম্বোজ ও মল্লম রাজ্য হইতেও ব্রাহ্মী লিপির বিকাশ দৃষ্ট হয়। পূর্বেই লিখিয়াছি যে, দাক্ষিপাত্যের কৃষ্ণাজেলার ভট্রিপ্রোঙ্গু হইতে যে দ্রাবিড়-ব্রাহ্মীলিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার যুক্তস্বরের সামান্ত প্রভেদ ছাড়া অপরাপর বর্ণের সহিত সেরূপ পার্থক্য নাই। স্থানভেদে লিপিকরের হাতে ক্রমে ক্রমে পৃথক্ হইয়া পড়িতেছিল। পিপ রাবার খৃষ্টপূৰ্ব্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীর লিপি ও তৎপরবর্তী খুইপূৰ্ব্ব ১৫০ অন্ধে উৎকীর্ণ নানাঘাটের আঞ্জুলিপি অর্থাৎ ঐ সময়ের আর্য্যাবর্তের সমুদয় লিপি প্রায় একই রূপ —ইহাতে বেশ দেখা যাইতেছে যে, ভারতবর্ষে প্রায় ২ • • বর্ষ কাল একই লিপি সমভাবে চলিয়াছিল, পিপ রাবার পুর্ণাবয়ব লিপি হইতে মনে হইবে যে, তৎপূৰ্ব্বেও মন্ততঃ • • • বর্ষ কাল অর্থাৎ বর্তমান সময় হইতে প্রায় ৩০০০ বর্ষ ভারতে সেই এক প্রকার ব্রাহ্মীলিপি প্রচলিত থাকাই সম্ভবপর। যাহা হউক, আবিষ্কৃত শিলালিপিসমূহ আলোচনা করিয়া মনে হইতেছে, প্রাচীন লিচ্ছবিবংশ, ননবংশ, মৌর্য্যবংশ, চেতবংশ এবং শুঙ্গমিত্রবংশের রাজত্বকালে প্রায় এক প্রকার ব্রাহ্মী লিপিই প্রচলিত ছিল । তৎপরে ভারতের উত্তরপশ্চিম সীমায় শকাধিপত্য বিস্তারের সহিত ব্রাহ্মী লিপির আকার সামান্ত সামান্ত পরিবর্তন হইতে থাকে ; সেই ব্রাহ্মীলিপি ইতিহাসে শকলিপি নামে গণ্য হইবার যোগ্য। আধুরী, মুরাষ্ট্র প্রভৃতি স্থান হইতে শকলিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই সময়ে দাক্ষিণাত্যে সাতবাহন-রাজবংশের যে সকল লিপি পাওয়া গিয়াছে, তাহা মৌর্য বা শকলিপির সংস্কার বলিয়াই মনে করি। নাসিকে কাদম্ব, জুয়র ও জগয্যপেটে অন্ধভূত এবং কাঞ্চী প্রকৃতি স্থানে পাব রাজবংশের যে সকল লিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে, শকলিপির অক্ষরের সহিত ঐ সকল লিপির সাপ্ত আছে। এই শকব্রাহ্মী লিপি হইতে কিরূপে বর্তমান উত্তর-ভারতীয় নাগরী ও গৌড়লিপি উৎপত্তি হইল, অপর পৃষ্ঠায় ভারতীয় ব্রাহ্মী লিপির তালিকা দেখিলেই জানা যাইবে । দাক্ষিণাত্যলিপি । विकाग्निब्र नचिक८१ ४छब्राङ, कांटैिब्रांबांफ़ **jड ८य स्थित्रि প্রচলিত, তাহাকেই আমরা দাক্ষিণাত্য লিপি বলিয়া, গ্রহণ করিলাম। পূৰ্ব্বে যে দ্রাবিড়ী ব্রাহ্মী লিপির কথা লিখিয়াছি, তাছাই সমস্ত দাক্ষিণাত্য লিপির জননী । কৃষ্ণা জেলার ভট্রিপ্রোপু হইতে আবিষ্কৃত দ্রাবিড়ী ব্রাহ্মীর কথা পূৰ্ব্বে জানাইয়াছি, আৰ্য্যাবৰ্ত্তে গুপ্ত ও তদন্ত্রবর্তী বিভিন্ন বংশের লিপির স্তায় দাক্ষিণাত্যেও সেই দ্রাবিড়ী লিপি হইতে তথাকার আস্তু, শক, গুপ্ত, বলভী, গুর্জর, বাকাটক, কদম্ব, প্রাচ্য ও প্রতীচ্য চালুক, চের, চোল, পল্লব, গঙ্গ, রাষ্ট্রকুট, কাকতীয়, বাণ, পাণ্ড্য প্রভৃতি রাজবংশের বিভিন্ন সময়ে ব্যবহৃত লিপিসমূহ ক্রমশঃ পরিপুষ্ট হইয়াছে । জুনাগড়, গিরনার প্রভৃতি স্থানের খৃষ্টায় ১ম হইতে ৩য় শতাব্দীর শকক্ষত্রপ লিপি, নাসিক, কুড়, জুল্লব, কশোর প্রভৃতি স্থান হইতে খৃষ্টীয় ১ম হইতে ৩য় শতাব্দীয় সাতবাহন-লিপি, কৃষ্ণা জেলার জগয্যপেট হইতে খৃষ্টীয় ৩য় শতাকে উৎকীর্ণ অলঙ্কত ইক্ষাকুরাজ সিরিবীর পুরসত্তে'র লিপি, কাঞ্চীপুর হইতে খৃষ্টীর ৪র্থ শতান্ধে উৎকীর্ণ পল্লবলিপি, সান্ধী ও মন্দসোর হইতে খৃষ্টীয় ৫ম ও ষষ্ঠ শতাৰো প্রচলিত গুপ্তলিপি, স্বরাষ্ট্র ও গুজরাত হইতে খৃষ্টীয় ৬ষ্ঠ হইতে ৮ম শতাকে উৎকীর্ণ বলভীরাজবংশের লিপি, ৬ষ্ঠ ও ৮ম শতাব্দীর মধ্যে উৎকীর্ণ গুর্জররাজবংশের লিপি, মধ্যপ্রদেশে ৫ম ও ষষ্ঠ শতাকে উৎকীর্ণ বাকাটক রাজবংশের লিপি, নাসিক জেলার খৃষ্টীয় ৫ম শতাদে উৎকীর্ণ কদম্বরাজগণের লিপি, কর্ণাট ও মহারাষ্ট্র হইতে খৃষ্টীয় ৬ষ্ঠ হইতে ৮ম শতাদের প্রতীচ্য চলুক্য রাজবংশের লিপি, গোদাবরী ও কৃষ্ণা জেলা হইতে খৃষ্টীয় ৭ম শতাদের প্রাচ্য চালুক্য রাজগণের লিপি, কাঞ্চী ও তাছার নিকটবর্তী স্থান হইতে খৃষ্টীয় ৫ম হইতে ৭ম শতাব্দীর পল্লবরাজগণের লিপি, মহিমুর হইতে খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দীর গঙ্গ ( দক্ষিণশাখা ) ও চেররাজগণের লিপি, গুজরাত ও কর্ণাট হইতে আবিষ্কৃত রাষ্ট্রকূটলিপি, কলিঙ্গের খৃষ্টীয় ৯ম হইতে ১২শ শতাব্দে উৎকীর্ণ গঙ্গরাজগণের লিপি উল্লেখযোগ্য। ঐ সকল বিভিন্ন লিপি আলোচনা করিলে আমরা বেশ বুঝিতে পারি কলিঙ্গের গঙ্গলিপি হইতে বৰ্ত্তমান উড়িয়া, চালুক্যলিপি হইতে বর্তমান তেলখ ও ৰণাত্নী এবং চের ও চোললিপি হইতে তামিল লিপি গঠিত হইয়াছে। দাক্ষিণাত্যের লিপিতৰপ্ৰণেতা ডাক্তার বুর্ণেল, দাক্ষিণাত্যের লিপিমালাকে প্রধানতঃ চারিভাগে বিভক্ত করিয়াছেন