পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণ-বিবরণ ›ፃ:: সেনরাজগণ যে মহন্ধুদ্দেষ্ঠে কুলবিধি ও সমীকরণ প্রবর্তন করেন, তাহদের গৌরব-রবি amনগণের অধঃপতনের অস্তমিত হইলেই প্রধান প্রধান কুলাচাৰ্য্যগণ তাহা প্রতিপালনে কারণ . যথেষ্ট উদ্যম ও কৌশল অবলম্বন করিয়াছিলেন । বিধৰ্ম্মিগণের রাজকীয় প্রভাব ও কুলীন-সস্তানগণের নানা স্থানে নিবাস হেতু কুলসংঘটনের, অনেক বাধা উপস্থিত হইয়াছিল ; সেই জন্তই সেনরাজগণের পরবর্তী পূৰ্ব্বতন কুলাচাৰ্য্যগণ কুলীনগণের উপর অতি কঠোর নিয়ম চালাইয়াছিলেন, পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব পরিচ্ছদে তাহার আভাস দিয়াছি। কিন্তু কুলাচাৰ্য্যগণের সে সকল নিয়ম রক্ষা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হইয়া পড়িয়াছিল। প্রথমতঃ কলাচাৰ্য্যগণ যে ২৫টা দোষ কুলহানিজনক হইবে বলিয়া স্থির করেন, তাহা দেশ কাল ও অবস্থার উপযোগী হয় নাই। দ্বিতীয়তঃ তখন ক্রমেই মুসলমানদিগের সহিত হিন্দুদিগের সম্মু ঘনিষ্টতর হইয়া উঠিয়াছিল। এখানে সংক্ষেপে তাহার একটু আভাস দিব। সেই সময়ের মুসলমান-ইতিহাস হইতে জানিতে পারি, যতদিন দিল্লীশ্বরের অধীনে মুসলমাম নবাবগণ বঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন প্রদেশ শাসন করিতেছিলেন, ততদিন হিন্দু ও মুসলমানে বেশী সম্প্রীতি জন্মে নাই । খাট মুসলমানগণ বাঙ্গালীদিগকে ঘোর শত্র বলিয়াই মনে করিতেন । কিন্তু যখন মুসলমানের দিল্লীশ্বরের প্রভাব অগ্রাহ করিয়া স্বাধীন হইবার চেষ্টা করিতে লাগিখেন, তখন বঙ্গের মুসলমান শাসনকৰ্ত্তারা বুঝিলেন বাঙ্গালীর সাহায্য ভিন্ন তাহদের অভীষ্ট পূরণ হইবার সম্ভবনা নাই । কাজেই বাধ্য হইয় তাহাদিগকে হিন্দুর সহিত মিশিতে ইইয়াছিল। 參 ৭৩৯ হিজির ( ১৩৪৮থুষ্টাব্দে ) হিন্দু মুসলমানের মিলন, এই বর্ষে ফখরউদ্দীন মুজফফর মুবারক শাহ দিল্লীশ্বরকে অমান্ত ও সুবর্ণগ্রাম অধিকার করিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।২ পূৰ্ব্ববঙ্গের প্রধান প্রধান জমিদারগণ র্তাহার সহায় হইয়াছিলেন । প্রথমতঃ তিনি হিন্দুদিগের সঙ্গিত যে ভাব দেখাইয়াছিলেন, কিছুদিন পরে তঁহার স্বজাতীয় আমীর ওমরাহগণের পরামর্শে তিনি আর সে তাব রাখিতে পারেন নাই। এ সময়ে লক্ষ্মণাবতীতে শামসুদ্দীন প্রবল হইয়t উঠিয়ছিলেন, তিনি বহুসংখ্যক বাঙ্গালীকে হস্তগত করিয়া জলপথে ফক্রুদ্দীনকে আক্রমণ ও সুবর্ণগ্রাম অধিকার করেন। ইস্থার পূৰ্ব্বেই দিল্লীশ্বর ফিরোজশাহ শামসুদ্দীন ইলয়াসকে শাসন করিবার জন্য "সসৈন্তে বঙ্গে আগমন করেন । পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুরাজা ও জমিদারবর্গ সকলেই ফিরোজশাহের পক্ষাবলম্বন কয়িয়াছিলেন বটে, কিন্তু পূৰ্ব্ববঙ্গের অনেক সন্ত্রান্ত ব্যক্তিই ইগ্যাসের পক্ষাবলম্বন করেন। সহদেব নামে একজন বাঙ্গালী বীর বঙ্গাধিপের সেনাপতিত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন। সেই সময়ের একজন মুসলমান ঐতিহাসিক লিখিয়াছেন যে, মহাবীর ১) 'তারিখ-ই-ফিরোজশাহীনামক মুসলমান ইতিহাস দ্রষ্টব্য। (২) তারিখ-ই-মুবারকৃশাহী স্রষ্টব্য। (৩) জিয়া-ই- বরণীর বিবরণ ষ্টেব্য ।