পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণ-বিবরণ ها یاد রাজপুত্ৰদিগকে বিশেষ সতর্ক করিয়া দিলেন। হিন্দুগণ আবার রাজানুগ্রহে স্বধৰ্ম্মপালনে তৎপর হইলং , সমাজ-বন্ধনের জন্য আবার তাহীদের মতিগতি ফিরিল। এই সময়ে প্রসিদ্ধ কুলাচাৰ্য্য বন্দ্যঘটীয় দেবীবরমিশ্রের অভু্যদয় । এই মহাত্মা স্থভাবেই হউক, আর কুভাবেই হউক, রাঢ়ীয় ব্রাহ্মণ-সমাজের অবস্থা, একবার বিশেষ করিয়া পৰ্য্যালোচন করিয়াছিলেন। তিনি বুঝিয়াছিলেন, কুণীনসমাজের আর সে প্রভাব, সে কুলানুরাগ কিছুই নাই ; কুলীনগণের সম্পূর্ণ অধঃপতন ঘটয়াছে। পরবৰ্ত্তিকালে কুলমর্যাদা যদি পুরুষানুক্রমিক ন হইত, যে কোন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ পরবর্তী কালে যদি কুলীন হইবার অধিকারী হইতেন, তাহ হইলে বোধ হয় কুলীনসমাজের অবনতি ঘটিত না, বরং পরবর্তী কালে সুফল ফলিবার সম্ভাবন ছিল । কিন্তু কুলাচাৰ্য্যগণের হাতে, কৌলীন্তমৰ্য্যাদা পুরুষানুক্রমিক হওয়াতে তাহfরই ফলে অপাত্রে পড়িয়া কুলবিধির অবমাননা ঘটিল। অধিকাংশ কুলীনসন্তানই প্রকৃত প্রস্তাবে কুলভ্রষ্ট ইয়াছিলেন ; কিন্তু তাহদের আত্মাভিমান ও কুলগরিমার কিছুমাত্র লাঘব হয় নাই । আধুনিক কুলাচার্যাগণ বলিয়া থাকেন,এই তুচ্ছ অহমিকা হইতেই দেবীবর কর্তৃক মেলের উৎপত্তি ঘটে। এ সম্বন্ধে ঘটকগণ এইরূপ একটা উপকথা বলিয়া থাকেন— ‘দেৰীবল ও যোগেশ্বর পণ্ডিত এক মাতামহের দৌহিত্র । যোগেশ্বর কুলমৰ্য্যাদায় ও পাণ্ডিত্যে দেবীবর অপেক্ষ অনেক বড় ছিলেন, সুতরাং দেবীবর অপেক্ষা সমাজে যোগেশ্বরের . (3) costs s Stewart's History of Bengal ox ( 2 ) বৈষ্ণব কবি জয়নন্দ এ সময়েৰ এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন,— “নদীয় উচ্ছন্ন হেন শুনি গৌড়েশ্বর। রাত্রিকালে স্বপ্ন দেখে মহাঘোরতর। কালী খড়্গখপরধারিণী দিগম্বরী। মুণ্ডমাল গলে কাট কাট শব্দ করি । ধরিয় রাজার কেশে বুকে মারে শেল। কর্ণরন্ধে নাসারন্ধে ঢালে তপ্ত তেল । আজি তোর গঙ্গাএ পেলিমু গৌড়পাট । সবংশে কাটিমু তোর হস্তী ঘোড়া 站、 § গৌড়েন্ত্র বলিল মাতা মোর দেহে থাক। নবদ্বীপ বসাইব যদি প্রাণ রথ। নাকে গত দিল রাজা তবে কালী ছাড়ে। মুচ্ছ গেল গৌড়েন্ত্র ধরণীতলে পড়ে। প্রভাতে কহিল স্বপ্ন রাজার বিশ্বাসে। শুনিয়া আশ্চৰ্য স্বপ্ন সৰ্ব্বলোকে ত্রাসে। ੱੋੜ আজ্ঞা নবদ্বীপ হখে বন্ধ। রাজকর নাহি সৰ্ব্বলোক চাস 5श् ॥ আজি হৈতে হাট ঘাট বিরোধ যে করে। রাজকর দণ্ডী হয়ে ত্রিশূল সে পারে । দেউল দেহরী ভাঙ্গে অশ্বথ যে কাটে। ত্ৰিশূলে চড়াহ তাকে নবদ্বীপের হাটে । বৈদ্য ব্রাহ্মণ যত নবদ্বীপে বসে। নানা মহোৎসব कप्ने भनत्व इन्जिाब । নাট্য গীত বাদ্য যজু প্রতি ঘরে ঘরে। কলসে পতাকা উড়, মন্দির-উপরে ॥ দেবপূজা কর সুখে যজ্ঞ হোম দান । হাট ঘাট মান নাহি কারু গঙ্গাস্নান । • রাজার অজ্ঞ। এ নবদ্বীপ পুন স্থষ্টি। শরৎকালে রীত্রিশেষে হৈল পুষ্পবৃষ্টি ॥” ( नीग्न-१७ । )