পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দৈনিক রঙ্গঙ্গ میb , সাধ্য, ইহা সাধারণের পক্ষে ব্যবস্থা করা যায় না । সাধারণ লোকে দৈনিক পাচ পোয় চাউলের অল্প ও অৰ্দ্ধ পোৱা সুসিদ্ধ ডাল ভক্ষণ না করিলে চলিবে না। খাস ৰঙ্গদেশে কদাচিৎ গম উৎপন্ন হয়, সুতরাং ময়দা সাধারণের পক্ষে দৈনিক খাদ্যরূপে প্রবর্তন করা যায় না । যাহাঁদের চলে, তাহদের দৈনিক অৰ্দ্ধ সের মাছ মাংস গ্রহণ কৰ্ত্তব্য। মাছ অপেক্ষ মাংস অধিক পরিমাণে পরিপাক করা যায় ; কিন্তু অধিক মসলা স্বারা রন্ধন করিলে মাংসও দুষ্পাচ্য হয় । অৰ্দ্ধ সিদ্ধ ডিম্ব সহজে জীর্ণ হয় । মাছে জিলেটিন অধিক থাকায়, ইহা মাংসের মত সুপাচ্য নহে। মাছ ও মাংস ভক্ষণে বুদ্ধি শক্তির প্রখরতা বৃদ্ধি হয়। মাংসাশী জীবজন্তু অতিশয় সুচতুর ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ । ইহার অতি দ্রুততার সহিত স্ব স্ব কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতে পারে । নিরামিষভোজী জন্তুর এ সব গুণ নাই । ইহার স্বভাবতঃ ভীরু এবং সাধারণতঃ অলস ৷ গঠন ও প্রকৃতি তত্ত্বামুন্ধান করিলে আমিষ ও নিরামিষ উভয়বিধ খাদ্যই মনুষ্যের প্রয়োজনীয় বলিয়া অনুমান করা যায় । সুতরাং দেহ রক্ষা কিংবা দেহের উন্নতি বিধানার্থে বিভিন্ন রুচির ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন মাছ ও মাংস ভক্ষণ কখনও নিন্দনীয় হইতে পারে না । আমরা বিভিন্ন অবস্থার ও বিভিন্ন রুচির ব্যক্তির নিমিত্ত নিম্নলিখিত দৈনিক রসদ ব্যবস্থা করিতেছি । ইহা উল্লেখ করা উচিত যে সকলের পক্ষে একরূপ খাদ্য ব্যবস্থা করা যায় না । ভাত অতিশয় লঘুপাচ্য খাদ্য, কিন্তু ইহাও কোন কোন ব্যক্তির পক্ষে উপৰোগী হয় না, কিন্তু সেই ব্যক্তি সহজে গুরুপাচ্য রুটা পরিপাক করিতে পারে। দ্বন্ধের ন্তায় লঘুপথ্যও কোন কোন ব্যক্তির পক্ষে দুষ্পাচ্য হইয়া,থাকে। অপ্রবৃত্তির সহিত স্থখাদ্য গ্রহণ করিলেও ইহা বিষণ্ডুল্য হইতে পারে। আবার অভ্যাসে, অরুচিকর খাদ্যও রুচিকর হইয় খাকে । & মধ্যৰিৎ অৰস্থাপন্ন এক ৰাঙ্গালী ভদ্রলোকের দৈনিক রসদ 2–