পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@仓 অামিষ খাদ্য পাকস্থলী তাহাদের খাদ্য অল্প সারবান হইলেও অধিক পরিমাণে ভুক্ত হয় এবং তদ্বারা তাহীদের স্বাস্থ্য রক্ষা হয় । মকুষ্যের দস্ত আমিষ ও নিরামিষভোজী উভয় জাতীয় জন্তুর দন্তের সদৃশ । বিশুদ্ধ নিরামিষভোজী জস্তকে ৰি শুদ্ধ মাংসাশী করান যায় না । জোর করিয়া কেবল মাংস খাওয়াইলে ঠহার। অচিরাং মরিয়া যায় । পক্ষাস্তরে মাংসভোজী জন্তু যেমন বিড়াল কুকুরকে ভাত, ডাইল ও দুগ্ধ খাওয়াইয়াও বাচান যায়। তবে ইহাতে তাহাদের শক্তি ও স্বাস্থ্যের ব্যতিক্রম ঘটে সন্দেহ নাই । সেইরূপ মনুষ্য নিরামিষভোজী হইয়া বাচিয় থাকে বলিলে যে মাংস তাহীদের অস্বাভাবিক ইহা বলা যায় না । প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে মাংসাশী জীবজন্তু স্বভাবতঃ সুচতুর, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, কৰ্ম্মঠ ও চঞ্চল এবং নিরামিষভোজী জন্তু ভীরু ও অলস বা সুস্থির । তবে নিরামিষভোজী জন্তু অনাহারেও কষ্ট সহ্য করিতে পারে কিন্তু মাংসাশী জন্তু তাহা পারে না । মাংসাশী জন্তুর সময় মত আহার না জুটিলে তুমুল কাও করিয়া তুলে । কেহ কেহ বলেন, আমিষ ভোজনে মমুষ্যের যেরূপ শারীরিক বল বৃদ্ধি হয়, ইন্দ্রিয়াদি রিপুও প্রবল হইয়া মনুষ্যকে কুকার্য্যে রত করে । দেহে বল হইলে যে ইঞ্জিয় প্রবল হয় তাহা বোধ হয় না । বলীয়ান ব্যক্তি যেরূপ ইন্দ্রিয়সংযমী হয়, দুৰ্ব্বল ব্যক্তি সেরূপ হয় না । মহাবীর ভীষ্ম ও অর্জুন বিখ্যাত ইন্দ্রিয়সংযমী মহাপুরুষ ছিলেন । প্রাকৃতিক জগতে দৃষ্ট হয় যে সিংহ, ব্যাঘ্র প্রভূতি মাংসাশী জন্তু অপেক্ষ নিরামিষভোজী ছাগল, বলদ বহু পরিমাণে ইন্দ্রিয়াসক্ত । যাহারা নিম্নশ্রেণীর অজ্ঞ মুসলমানের দুই চারিট কুকার্য্যের দৃষ্টান্ত দিয়া মাংসপ্রিয় সমস্ত মুসলমান সমাজকে ব্যভিচারী বলেন, তাহাদিগকে আমরা একদেশদশী ও সংকীর্ণচেতা বলিব। নিম্নশ্রেণীর বাঙ্গালী মুসলমান বাঙ্গালী হিন্দু অপেক্ষা অধিক পরিমাণে মাছ বা মাংস গ্রহণ করিতে সক্ষম হয় না, অজ্ঞতা নিবন্ধনই তাহারা অসংযত ও উচ্ছৃঙ্খল হইয়া পড়ে ।