পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমিষ খাদ্য &&. নিরামিষভোজী জন্তু স্বভাবতঃ ভীরু । অতি প্রকাও হস্তী সিংহ ও ব্যান্ত্রের গর্জন শ্রবণে ভয়ে বিহবল হইয়া ইতস্ততঃ ছুটাছুটি করে । স্বন্দরৰনে হরিণের পাল হইতে এক কুকুরকে এক বৃহৎ হরিণ ধরিতে দেখিয়াছি । কুকুরটা ছুটিয়া যেই একটা হরিণের পা কামড়াইয়া ধরিল, অমনি হরিণটা ভয়ে আড়ষ্ট হইয়া মৃতবৎ পড়িয়া গেল । কোন একটা বলদ খড় পাইয়া খাইতে আরম্ভ করিলে, তখন কেহ তাড়া দিলে, ইহাকে মুখের খড় ব্যতীত অন্য খড় লইয়া পলাইতে কখনও দেখা যায় না । কিন্তু মাংসাশী বিড়াল কিরূপ চতুরতার সহিত খাদ্য চুরি করিয়া পলায়ন করে, তাহ হয় ত সকলেই প্রত্যক্ষ করি য়াছেন । মাংসাশী জন্তু স্বভাবতঃ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ স্বার্থরক্ষার নিমিত্ত প্রাণপণে যুদ্ধ করিয়া ইহার প্রাণ দিতে পারে । নিরামিষভোজী জন্তুবা তাহ পারে না । আর্য্য ঋষিগণ । ভীরুতার উপহাস করিবার স্থলে অজ ও বলিবর্দের লড়াইর উদাহরণ দিয়াছেন । শুনিয়াছি, দৌড়ের ঘোড়াকে মাংস বা মাংসের ঝোল, না খাওয়াইলে ইহাব অচিরাং অকৰ্ম্মন্ত হইয় পড়ে । নিরামিষভোজী জন্তু বলিষ্ঠ হইতে পারে কিম্বা দীর্ঘজীবী হইতে পারে, স্বীকার করিয়া লইতে প্রস্তুত আছি, কিন্তু ইহার কখনও আমিষভোজী জস্তুর স্তায় সুচতুর ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়া আত্মরক্ষা করিতে সক্ষম হইবে, তাহা কখনও বিশ্বাস করিব না । মনুষ্যের পক্ষে মুখ হইয়া দীর্ঘজীবী হওয়া কখনও বাঞ্ছনীয় হইতে পারে না । শিকারে মনুষ্যের আশুবদ্ধি, চতুরতা, দক্ষতা ও বীরত্ব বুদ্ধি হয় । এই জন্ত মৃগয়া সংসারী লোকের পক্ষে অবশু কৰ্ত্তব্য । - কোন কোন ধীশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি জ্ঞানমার্গের উচ্চতম স্থানে উঠিয়া মাংস ত্যাগ করিয়াছেন, অথবা মাংস ত্যাগ করিতে উপদেশ দিয়াছেন । বুদ্ধধৰ্ম্মের পূৰ্ব্বে অাৰ্য্যাবৰ্ত্তে মাংস গ্রহণের যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল। এমন কি শ্ৰাদ্ধাদি ও বৈদিক যজ্ঞক্রিয়ায় বলিদান প্রধান অঙ্গ ছিল । প্রাচীন