পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ অধ্যায় “ਿsਿਛੋ! ভূক্ত দ্রব্য নানারূপ রসের সহিত মিশ্রিত হষ্টয় পাকস্থলী ও অন্ত্রাশয়ে জ"র্ণ হয় । যাহা পরিপাক হয় না তাহা মলমূত্ররূপে বহির্গত হইয়া যায় । শিশুগণের খাদ্যের প্রায় অৰ্দ্ধভাগ পরিপাক হয়,—পক্ষান্তরে বয়োপ্রাপ্ত এবং স্থূলকায় ব্যক্তির খাদ্যের শতকরা ৮০–৯০ ভাগই পরিত্যক্ত হয় । পরিশ্রমী ব্যক্তি যাহা জীর্ণ করিতে পারে, অলস ব্যক্তি তাহ পারে না । তামরা নিম্নস্থলে পাকস্থলীর চিত্র ও পাকক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রকাশ করিতেছি । মুখের অমৃত –ভুক্ত দ্রব্য চৰ্ব্বণকালে মুখের লাল মিশ্রিত হয় । লাল কিঞ্চিৎ ক্ষার গুণবিশিষ্ট তরল পদার্থ উত্তমরূপে চৰ্ব্বণ করিলে অধিক পরিমাণে লাল উৎপন্ন হয় । সাধারণ তঃ এক ব্যক্তির এক দিবসে কিঞ্চিদধিক একসের লাল উৎপন্ন হতয়া থাকে । মাংসাশী জন্তু চৰ্ব্বণ করিয়া আহার গ্রহণ করে না বলিয়া ইহাদের খাদ্যে অতিশয় অল্প লালা যুক্ত হয় । আমিষ খাদ্য পরিপাকের নিমিত্ত লালার বিশেষ প্রয়োজনও হয় না। লাল কর্তৃক ভুক্ত দ্রব্যের শ্বেতসার পদার্থ শর্করায় (মলটোজ) পরিণত হইয়া জীর্ণ হয় । চলিত কথায় লালে মুখের অমৃত বলা হয়, বাস্তবিকই লালা অমৃত । খাদ্যদ্রব্যের শ্বেতসার পাকস্থলীতে প্রবেশ করিয়াও প্রায় এক ঘণ্টা কাল লাল কর্তৃক শর্করায় পরিবৰ্ত্তিত হইয়া থাকে পাকস্থলীতে যখন অমরসের আধিক্য হয়, তখন এই ক্রিয়া ( শ্বেতসার শর্করায় পরিবর্তন ) স্থগিত হয় । শুষ্ক খাদ্য, শর্করা, অন্ন এবং সুগন্ধী ও স্বস্বাছ দ্রব্য গ্রহণ করিলে মুখে বিলক্ষণ পরিমাণে অমৃত উত্থিত হয় ।