পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

we বদলে গেল—কোন অদৃশু স্পর্শমণির ছোয়ার কাচ কাঞ্চনে পরিণত হয়ে গেল। চেনা বন্ধজগৎ ছেড়ে আমরা ক্ষণেকের জন্য হুঙ্কামুভূতির অমর্ত্যলোকে পৌঁছে গেলাম। তারপর আলর ৮ । জগৎ ফিরে এল—গল্পবৃত্ত সম্পূর্ণ হল। জলস্ত্র একটি নিখুঁত নিটোল রসোত্তীর্ণ গল্প—এবং আমার মতে আলোচ্য গ্রন্থের শ্রেষ্ঠ গল্প। ‘রাক্ষস-গণ গল্পের উপসংহারেও লেখক এই টেকৃনিক প্রয়োগের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সে চেষ্টা পূর্ণ সার্থকতা লাভ করতে পারে নি—কারণ গল্পটি মূলত কাহিনী-ভিত্তিক এবং ঈষৎ sentimentalism-cwtrès to চরিত্রভিত্তিক গল্পই বোধ হয় বিভূতিভূষণ সবচেয়ে বেশী লিখেছেন। কিন্তু তার গরে বর্ণিত চরিত্রগুলির কোনটিই প্রচলিত অর্থে নায়কোচিত গুণবিশিষ্ট নয়। কেউ কেউ বা একটু ছিটুগ্ৰস্ত বা খ্যাপাটে ধরনের মাছুষ ; কারও কারও মধ্যে হয়তো একটা অস্পষ্ট আদর্শবাদের সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু অধিকাংশই অতি সাধারণ মানুষ—চাষী, ক্ষেতমজুর, দোকানদার, ভিক্ষুক, পাড়াগেয়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধ বা বৃত্তিহীন ভবঘুরে ; পল্লীবাসীসুলভ সরলতা ও সহজ মানবতা ছাড়া এদের চরিত্রে বৈশিষ্ট্য কিছুই নেই। বিভূতিভূষণের বহু শ্রেষ্ঠ ছোটগল্পের মধ্যে এরা যে মর্যাদার আসন পেয়েছে—একমাত্র Wordsworth-এর কাব্যে ব্যতীত আর কোথাও তার তুলনা মেলে না। রুপো বাঙাল, সিস্থরচরণ, কবি কুণ্ডু মহাশয়, ধনটন কাকা, ভঙুল মামা বা ‘মুক্তি’ গল্পের নিস্তারিণীর মত চরিত্রকে উপজীব্য করে এবং আকস্মিক চমক স্বাক্টর কোন চেষ্টা না করে আমাদের দেশের কজন লেখক গল্প লিখতে সাহস করেছেন ? বিদেশী সাহিত্যেই বা কটি এ জাতীয় গল্প রচিত হয়েছে জানতে ইচ্ছা করে। ‘মৌরীফুল এ গ্রন্থের একমাত্র চরিত্র-ভিত্তিক গল্প। গল্পের নায়িকা মুশীলা অতি সাধারণ গ্রাম্য বধূ। শিক্ষিত নয়, বিশেষ বুদ্ধিমতীও নয়—শ্বশুর-শাশুড়ী তার প্রতি যে অস্কার আচরণ করেন তার প্রতিবাদে নিজে অক্ষায় কাজ করতে একটুও ইতস্তত: করে না। সে মুখরা— গালির পরিবর্তে গালি দেওয়াই তার স্বভাব। অর্থাৎ নামে মুশীলা হলেও আচরণে সে আদৌ মুশীলা নয়। কিন্তু সে নেহাৎ ছেলেমানুষ, স্বভাবতঃই স্নেহের কাঙাল। বাপের বাড়ীতে স্নেহ সে পেয়েছে কিন্তু এখানে শুধু শাসন করে সবে, করে না স্নেহ । তার এই অপরিতৃপ্ত স্নেহবুভুকু মনের বিদ্রোহুই তাকে দুঃশীলা করে তুলেছে। কলকাতা থেকে ঘদিনের জন্ত আসা একটি সমবয়সী বধূর সাহচর্য ও প্রতিস্পর্শ ভাই তার মনকে এত গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল। কলকাতার বেী কলকাতার ফিরে গেল, রেখে গেল শুধু প্রতিক্ষিপ্ত মৌরীফুলের স্বরভি। স্নেহের ক্ষুধা তার মিটল না।--মাহা । তার স্বামীও যদি তাকে একটু ভালোবাসত। তাহলে বোধ হয় সে অঙ্গ সব দুঃখই অনায়ালে সহ করতে পারত। তাই সে ‘তুক করে স্বামীর মন পাবার চেষ্টা করল—এবং তারই ফলে এল শোচনীয় মৃত্যু। গল্পটি করুশ রসাত্মক, কিন্তু কোথাও ছিচকাদুনে মনোভাবের বিন্দুমাত্র প্রকাশ নেই। कर्छांद्र निग्ननश्यप्यब्र बैंषिन भग्नबागब्र ८क्ठाष्ट्रउि घürउ zक्त्वनि । दिङ्कउिफूबरगंद्र अंषष औरटनद्र BBS B BBBB BBBSBBB DDSDD DDD DBBB BBB BBBD DDDD