পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০২
বরেন্দ্র রন্ধন।

বাটা মিশাইয়া থকথকে করিয়া নামাও। একটু গাওয়া ঘি মিশাও। বেগুনের সহিত করিলা (একটু লম্বা ছাঁদে কুটিয়া) মিশাইয়া এই শুক্ত রাঁধিতে পার।

১২১। করিলা-বেগুন

 ফাল্গুন চৈত্র মাসে বেগুন বুড়া হইলে করিলা, নিমপাতা, গিমা শাক প্রভৃতি কোনও একটা তিক্তস্বাদ বিশিষ্ট সবজীর সহিত রাঁধিয়া খাইতে হয়।

 বেগুন ও করিলা ডুমা ডুমা করিয়া অথবা একটু লম্বা ছাঁদে কুট। নুণ হলুদ মাখ। তৈলে তেজপাতা, লঙ্কা মেথি, ও সরিষা ফোড়ন দিয়া করিলা আংসাও। বেগুন ছাড়, আংসাও। জল দাও। ফুটিলে কষান মাষকলাইর বড়ী ভাঙ্গিয়া ছাড়। একটু পিঠালী দিয়া ঘন করিয়া নামাও। একটু গাওয়া ঘি মিশাও।

 কেহ কেহ পিঠালীর পরিবর্ত্তে একটু আদা বাটা মিশাইয়া থাকেন।

১২২। গিমা-বেগুন

 গিমা শাক বাছিয়া লও। বেগুন ডুমা ডুমা বা ঈষৎ লম্বা ছাঁদে কুটিয়া লও। মটরের বড়ী ভাজিয়া রাখ। তৈলে তেজপাতা, লঙ্কা, মেথি ও সরিষা ফোড়ন দিয়া শাক ছাড়। আংসাও। বেগুন ছাড়, আংসাও। নুণ হলুদ দিয়া জল দাও। ফুটিলে ভাজা বড়ী ভাঙ্গিয়া মিশাও। সিদ্ধ হইলে সামান্য একটু পিঠালী দিয়া ঘন করিয়া নামাও। একটু গাওয়া ঘি মিশাও।

 পিঠালীর পরিবর্তে আদা ছেঁচা মিশাইতে পার। নিম বেগুন, মেথি (শাক) বেগুন প্রভৃতিও এই প্রকারে রাঁধিবে।

১২৩। করিলার রাউতা

 করলা বাকরিলা ঈষৎ লম্বা ছাঁদে কুটিয়া লও। তৈলে তেজপাতা, লঙ্কা, মেথি, রন্ধনী ও সরিষার গুঁড়া (সরিষার গুঁড়ার পরিবর্ত্তে ফুলকাসুন্দী হইলেই