পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ಸಿb বিভূতি-রচনাবলী কি দরে কে ওবেলা বাজারে ইলিশ মাছ কিনেছে সেই সব—ও হাউ আই হেট দেমূ! আপনি জানেন না, এই সব র্যাঙ্ক স্ট্যুপিডিট দেখলে আমার রক্ত গরম হয়ে ওঠে—বরদাস্ত করতে পারি নে মোটে—গা যেন কেমন— —কিন্তু ভাই, তোমার ও-গডের মাঠে আমার মন ভোলে না—মোটরের শব, মোটর বাইকের ফট্ ফটু আওয়াজ, পেট্রোল গ্যাসের গন্ধ, ট্রামের ঘড়ঘড়ানি—নামেই ভাই মাঠ, গঙ্গার কথা আর না-ই বা তুললাম! —কাল আপনাকে নিয়ে যাব এক জায়গায়! বুঝতে পারবেন একটা জিনিস—একটা ছেলে-আমার এক বন্ধুর বন্ধু—ছেলেট সাউথ আফ্রিকায় মানুষ হয়েছে, সেইখানেই জন্ম— সেখান থেকে তার বাবা তাদের নিয়ে চলে এসেছে কলকাতায়, ফিয়ার্স লেনে থাকে । তার মুখের কথা শুনে এমন আনন্দ হয়। এমন মন ! এখানে থেকে মরে যাচ্ছে-শুনবেন তার মুখে সেখানকার জীবনের বর্ণনা—হিংসে হয়, সত্যি ! অপু এখনি যাইতে চায়! অনিল বলিল, আজ থাক কাল ঠিক যাব দু'জনে! দেখুন অপূর্ববাবু, কিছু যেন মনে করবেন না, আপনাকে তখন কি সব বললাম বলে । আপনার কি জন্তে তৈরী হয়েছেন জানেন ? ওসব চিপ ফাইনারীর খদের আপনারা কেন হবেন ? দেখুন, এ পুরুষ তো কেটে গেল, এ সময়ের কবি, বৈজ্ঞানিক, দাতা, লেখক, ডাক্তার, দেশসেবক—এর তো কিছুদিন পরে সব কৌত হবেন, তাদের হাত থেকে কাজ তুলে নিতে হবে কাদের, না, যাব এখন উঠছে। একদল তে চাই এই জেনারেশনের হাত থেকে সেই সব কাজ নেবার ? সাহিত্যে, বিজ্ঞানে, আর্টে, দেশসেবায়, গানে—সব কিছুতে, নতুন দল যার উঠছে, বিশেষ ক’রে যাদের মধ্যে গিফটু আছে, তাদের কি হুল্লোড ক’রে কাটাবার সময় ? অপু মুখে হাসিয়া কথাটা উড়াইয়া দিল বটে, কিন্তু মনে মনে ভারী খুশী হইল—কথার মধ্যে তাহারও যে দিবার কিছু আছে বা থাকিতে পারে সেদিকে ইঙ্গিত করা হইয়াছে বুঝিয়া। পরে দু’জনে বেড়াইতে বাহির হইল । নবম পরিচ্ছেদ ছাত্রীকে পড়াইতে যাইবার সময় অপুর গায়ে যেন-জর আসে, ছুটি-ছাঁটার দিনটা না যাইতে হইলে সে যেন বাচিয়া যায়। অদ্ভুত মেয়ে! এমন কারণে অকারণে প্রভুত্ব জাহির করার চেষ্টা, এমন তাচ্ছিল্যের ভাব—এই রকম সে একমাত্র অতসীদি’তে দেখিয়াছে ! একদিন সে ছাত্রীর একটা রূপাবধানে পেন্সিল হারাইয়া ফেলিল। পকেটে ভুলিয়া লইয়া গিয়াছিল, কোথায় ফেলিয়াছে/ তারপর আর কিছু খেয়াল ছিল না, পরদিন প্রতি সেটা