পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
বরেন্দ্র রন্ধন

প্রকৃতপক্ষে ‘ছেঁচ্‌কী’ অধ্যায় ভুক্ত করিলেও নিতান্ত অন্যায় হয় না। তবে কেবল তাহাতে কচি আনাজ মৎস্য ব্যবহৃত হয় এবং অতিরিক্ত আংসাইতেও হয় না বলিয়া তদধ্যায়ভুক্ত করা যায় না।

 শুক্তানির সহিতও ‘ঝোলের’ সাদৃশ্য খুব নিকট—‘শুক্তানিতে’ অতিরিক্ত সরিষা ফোড়ন দিতে হয় ‘ঝোলে’ তাহা হয় না, শুক্তানিতে অনেক ক্ষেত্রে পরিশেষে আদা সংযোগ করিতে হয়, ‘ঝোলে’ তাহা হয় না, অথবা তিলপিঠালী প্রভৃতিও ঝোলে যোগ করিতে হয় না, এবং শুক্তানির ন্যায় ঝোলের স্বাদ তিক্ত করা হয় না।

 কোন কোন নিরামিষ ঝোলে ডাইল অনুষঙ্গরূপে ব্যবহৃত হয় এবং তাহাতে চেলেনী জল বা নারিকেল দুগ্ধ যোগ করা হয়। এইরূপ দুই এক স্থলে ঝোলে কেহ কেহ মেথির পরিবর্ত্তে জিরা ফোড়ন দিয়া থাকেন। ঝোলে প্রয়োজন হইলে, বিশেষতঃ কোন কোন মাছের ঝোলে বা ভাঙ্গায়, কদাচিৎ কিছু শুক্না লঙ্কা বাটা দেওয়া হইয়া থাকে। নচেৎ ‘ঝোলে’ অপর কোনও প্রকার বাটা ঝাল ব্যবহৃত হয় না। ‘ঝোলের’ সহিত ‘ঝালের’ এইখানেই একটি প্রধান পার্থক্য।

১৩২। লাউর ঝোল

 লাউ অপেক্ষাকৃত বড় বড় ডুমা আকারে কুটিয়া লও। কিছু মটরের ডাইল ভিজাইয়া রাখ। তৈলে তেজপাত, লঙ্কা, মেথি ফোড়ন দিয়া লাউ ছাড়। আংসাও। নুণ হলুদ দিয়া চেলেনী জল ঢালিয়া দাও। আবার শুধু জল দিয়াও সিদ্ধ করিতে পার। ফুটিলে ভিজান মটর ডাইল ছাড়। ঝোল ঝোল থাকিতে নামাও। (চেলেনী জল যেন কদাপি ঘন না হয়।)

 ইহার সহিত সচরাচর লাল আলু ও গাভথোড় ডুম ডুমা করিয়া কুটিয়া মিশান হইয়া থাকে।