মটরের ডাইলের পরিবর্ত্তে মটরের বড়ী বা ফুলবড়ী অথবা মটরের ডাইলের জলবড়া অনুষঙ্গরূপে ব্যবহার করিতে পার। এবং চেলেনী জলের পরিবর্ত্তে নারিকেল দুগ্ধ ব্যবহার করিতে পার।
চেলেনী জল—শুলী ধানের আতপ চাউল জলে ভিজাইয়া রাখ। সের জলে দুই ছটাক খানেক চাউল ভিজাইলেই চলিবে। ঘণ্টা দুই মত পরে চাউল রগড়াইয়া জল ঈষৎ শ্বেতবর্ণ হইলে ঐ জল আলগোছে ঢালিয়া বা ছাঁকিয়া লইয়া শুধু জলের পরিবর্ত্তে তদ্দ্বারা ব্যঞ্জন সিদ্ধ করিবে।
নারিকেল দুগ্ধ—উত্তম ঝুনা নারিকেল কুড়িয়া লও। একটা বড় বাটিতে রাখিয়া তদুপরি ফুটন্ত জল ঢালিয়া ঢাকিয়া রাখ। ঘণ্টা খানেক মত পরে নারিকেল কুড়া রগড়াইয়া বা জল অধিক গরম থাকিলে নাড়িয়া, কাপড়ে ছাঁকিয়া জলটুকু লও। চেলেনী বা শুধু জলের পরিবর্তে এই জলে সিদ্ধ করিয়া ঝোল রাঁধিতে পার।
১৩৩। ছাঁচী-কুমড়ার ঝোল
ছাঁচী-কুমড়া ডুম ডুমা করিয়া কুট। মটর ডাইল ভিজাইয়া রাখ বা ছোলার ডাইল অর্দ্ধ সিদ্ধ করিয়া রাখ। (ছোলার ডাইলেই স্বাদ ভাল হয়।) তৈলে তেজপাত, লঙ্কা, মেথি ফোড়ন দিয়া কুমড়া ছাড়। আংসাও। নুণ হলুদ দিয়া চেলেনী জল বা শুধু জল দাও। ফুটিলে ডাইল ছাড়। ঝোল ঝোল থাকিতে নামাও। ছাঁচী-কুমড়ার ঝোলে মেথির পরিবর্ত্তে জিরা ফোড়ন দিতে পার। ইহার সহিত কাঁটালবীচি (ভাপ দেওয়া) এবং ডাঁটা (ভাপ দেওয়া) সচরাচর মিশান হইয়া থাকে।
চেলেনী জলের পরিবর্ত্তে নারিকেল দুগ্ধ ব্যবহার করিতে পার।
শশার ঝোলও এই প্রকারে রাঁধিবে।