ভাঙ্গিয়া ছাড়। সিদ্ধ হইয়া জল মরিয়া আসিলে বাটা ঝাল ও প্রচুর পিঠালী দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া আঁটিয়া নসনসে করিয়া নামাও। একটু ঘি মিশাও।
বালুতে ভাজা মুগ বা মাষকলাইর ডাইলও অনুষঙ্গরূপে ইহার সহিত ব্যবহার করিতে পার।
শুধু বথুয়া শাকেরও বেগুণ ও শলুপ যোগে এই প্রকারে ঘণ্ট রাঁধিবে।
১৬৯। মটর শাকের ঘণ্ট
মটর শাক কুচি কুচি করিয়া কুট। তৎসহ বেগুণ ও শলুপ শাক কুচি কুচি করিয়া মিশাও। ইচ্ছা করিলে, এতৎসহ শিমও কুচি কুচি করিয়া মিশাইয়া লইতে পার। পালং শাকের ঘণ্টের ন্যায়, মাষকলাইর বড়ী কিম্বা ভাজা মুগ বা মাষ ডাইল অনুষঙ্গ যোগে, প্রচুর পিঠালী দিয়া ঘণ্ট রাঁধ।
আশ্কে পিঠার সহিত এই ঘণ্ট খাইতে ভাল।
খেঁসারীর শাক, মুলা শাক, কল্মী শাক, ডাঁটা শাক এবং কচুর মাইঝ পাতার এইরূপে ঘণ্ট রাঁধিবে। খেঁসারীর শাক ধীরে ধীরে আংসাইবে, নচেৎ অম্ল-স্বাদবিশিষ্ট হইবে। ডাঁটা শাকের এবং কচুর মাইঝ পাতার ঘণ্টে পিঠালীর পরিবর্ত্তে মটর ডাইল বাটা জল দিয়া তরল করিয়া লইয়া ফেনাইয়া ধীরে ধীরে ঢালিয়া দিয়া নাড়িয়া নাড়িয়া মিশাইবে। ইহাতে ঘণ্ট মজিয়া বেশ আটা আটা মত হইবে।
১৭০। সজিনা ফুলের বেস্বরী
সজিনা ফুল বাছিয়া লইয়া ভাপ দিয়া জল গালিয়া ফেল। বেগুণ মিহি করিয়া কুটিয়া লও। মাষকলাইর বড়ী ভাজিয়া তোল। তেলে জিরা, তেজপাত, লঙ্কা ফোড়ন দিয়া ফুল ও বেগুণ ছাড়। আংসাও। নুণ, হলুদ দিয়া জল দাও। ফুটিলে ভাজা বড়ী ভাঙ্গিয়া ছাড়। সিদ্ধ হইলে বাটা ঝাল ও পিঠালী দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া নসনসে করিয়া নামাও। একটু ঘি মিশাও।