পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত Ꮌ☾Ꮌ ভাগ্যে কখনও জোটে নাই—কিন্তু পথ-হইতে ধরিয়া-আনিয়া বরকে দেখিয়া সকলে একবাক্যে স্বীকার করিলেন—এইবার অপর্ণার উপযুক্ত বর হইয়াছে বটে। প্ৰণবের বড় মামীম তেজস্বিনী মহিল, তিনি বাকিয় না বসিলেবোধ হয় ওই বায়ুরোগগ্রস্ত পাত্রটির সহিঙই আজি উহার মেয়ের বিবাহ হইয়া যাইত নিশ্চয়ই। এমন কি তাহার আমন রাশ-ভারী স্বামী শশীনারায়ণ বাড়য্যে যখন নিজে বন্ধ দরজার কাছে দাড়াইয়া বলিয়াছিলেন —বড়বে, কি কর পাগলের মত, দোর খোলে, আমার মুখ রাখো—ছি—তখনও তিনি অচল ছিলেন। তিনি বলিলেন—ম, যখনই একে পুলুর সঙ্গে দেখেছি, তখনই আমার মন যেন বলছে এ আমার আপনার লোক—ছেলে তো আরও অনেক পুলুর সঙ্গে এসেছে গিয়েছে কিন্তু এত মায়া কারোর উপর হয়নি কখনও—ভেবে ছাথে মা, এ মুখ আর লোকালয়ে দেখাবে। না ভেবেছিলাম—ও ছেলে যদি আজ পুলুর সঙ্গে এ বাড়ি না আসতো— পূর্বের সেই প্রৌঢ় বাধা দিয়া বলিলেন—তা কি ক’রে হবে মা, ওই যে তোমার অপর্ণার স্বামী, তুমি আমি কেনারাম মুখুয্যের ছেলের সঙ্গে ওর সম্বন্ধ ঠিক করতে গেলে কি হবে, ভগবান যে ওদের দুজনের জন্তে দুজনকে গড়েছেন, ও ছেলেকে যে আজ এখানে আসতেই হবে মা— প্রণবের মামীম বলিলেন—আবার যে এমন ক’রে কথা বলব তা আজ দুঘণ্টা আগেও তাবিনি—এখন আপনারা পাচজনে আশীৰ্বাদ করুন, যাতে—যাতে— চোখের জলে র্তাহার গলা আড়ষ্ট হইয়া গেল। উপস্থিত কাহারো চোখ শুষ্ক ছিল না, অপুও অতি কষ্টে উগত অশ্রজল চাপিয়া বসিয়া রহিল। প্ৰণবের মামীমার উপর শ্রদ্ধা ও ভক্তিতে তাহার মন-মায়ের পরই বোধ হয় এমন আর কাহারও উপর...কেবল আর একজন আছেন—মেজবৌরাণী— লীলার মা। তা ছাড়া মায়ের উপর তাহার মনোভাব, শ্রদ্ধা বা ভক্তির ভাব নয়, তাহ আরও অনেক ঘনিষ্ঠ, অনেক গভীর, অনেক আপন—বত্রিশ নাড়ীর বাধনের সঙ্গে সেখানে যেন যোগ— সে-সব কথা বুঝাইয়া বলা যায় না...যাক্ সে কথা। বিশ্বাসঘাতক প্রশব কোথা হইতে আসিয়া সকলকে জানাইয়া দিল যে, নূতন জামাই খুব ভাল গাহিতে পারে। অপর্ণার মা তখনই বাসর হইতে চলিয়া গেলেন ; বালিকা ও ওরণীর দল একে চায় তো আরে পায়, এদিকে অপু ঘামিয়া রাঙা হইয়া উঠিয়াছে। না সে পারে ভালো করিয়া কাহারো দিকে চাহিতে, না মুখ দিয়া বাহির হয় না কোন কথা। নিতান্ত পীড়াপীড়িতে একটা রবিবাবুর গান গাহিল, তারপর আর কেহ ছাড়িতে চায় ন—সুতরাং আর একটা । মেয়েরাও গাছিলেন, একটি বধূর কণ্ঠস্বর ভারী মুমিষ্ট। প্রৌঢ়া ঠানদি নববধূর গ ঠেলিয়া দিয়া বলিলেন—ওরে ও নাতনি, তোর বর ভেবেছে ও বাঙালদেশে এসে নিজেই গান গেয়েআসর মাতিয়ে দেবে—শুনিয়ে দে না তোর গলা—জারিজুরি একবার দে না ভেঙে— অপু মনে মনে তাৰে—কার বর .সে আবার কার বয় ?...এই মুসজ্জিত মুম্বী নন্তমুখী মেয়েটি তাছার পাশে বসিয়া, এ তার ক্ষে হৰ 1.ী.তাহারই স্ত্রী ।