পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬২
বরেন্দ্র রন্ধন।

সামান্য একটু পিঠালী দিয়া ঝোল কিছু থকথকে কবিয়া নামাও। ইচ্ছা করিলে আলু বাদ দিতেও পার।

১৯৩। গন্ধ-ভাদালীর ঝাল

 আমাশয়ের বা পেটের পীড়ায় রোগীকে অন্ন পথ্য দিবার সময়ে গন্ধ ভাদালীর পাতার ঝাল সহ ভাত দেওয়া হইয়া থাকে। সুতরাং ইহাতে লঙ্কার সংস্পর্শ অদৌ করিবে না এবং অপরাপর মশল্লাও যথাসম্ভব কম পরিমাণে ব্যবহার করিবে, তৈলের পরিবর্ত্তে ঘৃত ব্যবহার করিবে, এবং আনাজ প্রভৃতিও কচি দেখিয়া লইবে। পটোল, বেগুণ, গাভথোড়, আনাজি কলা, থোক্‌সা-ডুমুর প্রভৃতি লইয়া ছোট ছোট করিয়া কুটিয়া লও। তেজপাত ফোড়ন দিয়া আনাজ ছাড়। আংসাও। নুণ (হলুদ) সহ চেলেনী জল দাও। সিদ্ধ হলে সামান্য চিনি দাও। জিরা-মরিচ বা পিপুল (ও দুটো কালজিরা) গন্ধ-ভাদালীর পাতার সহিত একত্রে জল দিয়া বাটিয়া লইয়া ঢালিয়া দাও। ঝোল ঘন হইয়া আসিলে নামাও। সামান্য একটু গাওয়া ঘি মিশাও।

১৯৪। বিলাতী কুমড়ার বীচির শাঁসের ঝাল

 বিলাতী কুমড়ার বীচি সংগ্রহ করিয়া খূঁটিয়া তাহাব শাঁস বাহির করিয়া লও। পাটায় বাট। হাতে টিপিয়া ছোট ছোট দলা পাকাইয়া ফুটন্ত জলে ছাড়িয়া সিদ্ধ করিয়া জল-বড়া বাঁধ। জল-বড়ায় নুণ, (হলুদ) মাখিয়া তৈলে বা ঘৃতে অল্প কষাও। দলা বড় বড় হইলে সিদ্ধ পর চাকু দ্বারা ডুম ডুমা করিয়া কাটিয়া লইয়া ঘৃতে ভাজিবে। আলু ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া কষাইয়া রাখ। কলাইশুঁটী থাকিলে তাহাও ছাড়াইয়া রাখিতে পার, অথবা বুট ভিজাইয়া রাখিতে পার। এক্ষণে তৈলে বা ঘৃতে জিরা, তেজপাত, লঙ্কা ফোড়ন দিয়া ধনিয়া বাটা ও লঙ্কা বাটা একত্রে অল্পজলে গুলিয়া ছাড়। আংসাও। বেশ ভাজা ভাজা হইলে চেলেনী জল দাও। ফুটিলে বীচির