পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশম অধ্যায়—ঝাল।
১৭৩

কষাইয়া রাখ। ঘৃতে, অভাবে তেলে জিরা, তেজপাতা, লঙ্কা ফোড়ন দিয়া মাছ ছাড়। আংসাও। ধনিয়া বাটা ও লঙ্কা বাটা অল্প জলে গুলিয়া ঢালিয়া দাও। আংসাও। ভাজা মশলার সুগন্ধ বাহির হইলে চেলেনী জলে নুণ (হলুদ) গুলিয়া ঢালিয়া দাও। ফুটিলে কষান আলু ও বুট (ভিজান) ছাড়। সিদ্ধ হইলে জিরা-মরিচ বাটা, তেজপাত বাটা ও একটু চিনি দিয়া ঝাল রস গাঢ় গোছ হইলে নামাও। একটু গাওয়া ঘি মিশাও। ইচ্ছা করিলে ধনিয়া পূর্ব্বেই কাটখোলায় ভাজিয়া গুঁড়া করিয়া লইয়া জিরা-মরিচ প্রভৃতি বাটনার সহিত একত্রে জল দিয়া একটু বাটিয়া লইয়া মিশাইতে পার।

 চেলেনী জলের পরিবর্ত্তে নারিকেল দুগ্ধ দিয়াও রাঁধিতে পার।

 বাইম মাছের ‘কলাপতু’ এই প্রকারে রাঁধিবে।

২০৬। মনোমোহিনী[১] ঝাল-চড়চড়ী

 এই ঝাল-চড়চড়ীতে আনাজের মধ্যে কেবল মাত্র আলু, বেগুণ, (বোঁটার দিকের অংশ দ্বারাই ভাল হয়), গাভ থোড় ও বিলাতী (মিঠা) কুমড়া ব্যবহৃত হইয়া থাকে, এবং ইহা পাকা রোহিতাদি মৎস্যের মুড়া-কাঁটা-গাদা যোগে রাঁধা হইয়া থাকে। ইহার আস্বাদন প্রকৃতই মন মোহন করে। অনাজ ডুমা ডুমা করিয়া কুটিয়া পৃথক পৃথক ভাবে তৈলে কষাইয়া লও। রুই মাছের মুড়া-কাঁটা-গাদাও তেলে কষাইয়া লও। ঘৃতে জিরা, তেজপাত, কালজিরা ও লঙ্কা ফোড়ন দিয়া কষান মাছ ও আনাজ ছাড়। নুণ, হলুদ ও লঙ্কা বাটা দিয়া জল দাও। সিদ্ধ হইলে মুড়া ভাঙ্গিয়া দিয়া জিরা-মরিচ বাটা ও তেজপাত বাটা মিশাও। শুকনা শুকনা করিয়া নামাও। ইচ্ছা করিলে একটু ভাজা রাঁধুনীর গুড়া মিশাইতে পার।



  1. আমার ৺মাসীমাতা মহাশয়ায় নিকট আমার স্ত্রী এই রান্নাটি শিখিয়াছিল সুতরাং তাঁহার নামেই ইহার নামকরণ করা গেল।