বাটা ও একটু চিনি দাও। পরে পিঠালী দিয়া আঁটিয়া থক্থকে করিয়া নামাও। ঘি ও গরমমশল্লা বাটা মিশাও। ডুমুরের কালিয়া এই ভাবে রাঁধিবে।
২০৯। মোচার কালিয়া
মোচা অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট করিয়া কুট। ভাপ দিয়া জল গালিয়া ফেলিয়া লও। আলু ছোট ছোট করিয়া কুটিয়া কষাইয়া রাখ। বুট ভিজাইয়া রাখ। ইঁচড়ের ন্যায় কালিয়া রাঁধ। বুটের পরিবর্ত্তে মটর ডালের চাপড়ি ভাজি, নারিকেল কুড়া এবং ছোট চিঙড়ী মাছাদি মিশাইতে পার।
২১০। বেগুণের গলা কালিয়া
উত্তম লাফা বেগুণ পোড়াইয়া বেশ করিয়া ছানিয়া লও। ঘৃতে বা তৈলে জিরা, তেজপাত, লঙ্কা গরম মশল্লা ও হিঙ বা পেঁয়াজ, ফোড়ন দিয়া বেগুণ ছাড়। আংসাও। জলে নুণ, হলুদ ও বাটা ঝাল গুলিয়া ঢালিয়া দাও। জল শুকাইলে অল্প পিঠালী দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া আঁটিয়া নামাও। একটু ঘৃত, (বা তৈল), আদা বাটা, রশুন বাটা এবং গরম মশল্লা বাটা মিশাইতে পার।
২১১। ছানার কালিয়া
ছানা ছিপিয়া জল বাহির করিয়া ফেল। ডুম ডুমা করিয়া কাট। ঘৃতে বাদামি রংএ কষাইয়া রাখ। আলু ডুম ডুমা করিয়া অথবা দুই ফাঁক করিয়া কুটিয়া কষাইয়া রাখ। ঘৃতে জিরা, তেজপাত, লঙ্কা ও গরম মশলা ফোড়ন দিয়া লঙ্কা বাটা, ধনিয়া বাটা ছাড়। আংসাও। সুগন্ধ বাহির হইলে নুণ হলুদ সহ জল দাও। ফুটিলে কষান ছানা ও আলু ছাড়। সিদ্ধ হইলে জিরা-মরিচ বাটা, তেজপাত বাটা ও চিনি মিশাও। অতঃপর পিঠালী দিয়া ঝাল রস ঘন করিয়া নামাও। ঘি ও গরম মশল্লা বাটা, (আদা বাটা) মিশাও। ঝুনা নারিকেলের কালিয়া এই প্রকারে রাঁধিবে।