পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yዓe বিভূতি-রচনাবলী এ যেন কেমন অদ্ভুত লাগে। Sense of space মানুষের ক্রমেই কেমন পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে।...এক শত বৎসর পূর্বে যা কিনা পাকা তিন দিনের পথ, গরুর গাড়িতে চার দিনের পথ ছিল !...কে জানে আমাদের পৌত্র বা প্রপৌত্রদের Sense of space আরও কত পরিবর্তিত হবে – আজ অনেকক্ষণ কার্জন পার্কে একা একা বেড়ালুম। পশ্চিম আকাশে স্বৰ্যটা অস্ত যাচ্ছিল, —আমার শুধু মনে যুগ যুগের কল্পনা জাগে। ঐ নক্ষত্রটা যে ওইখানে উঠেছে, ওতেও কত অপূর্ব জীবনলীলা. মৃত্যু, বিরহ এসব যদি জীবনে না থাকতো তবে জীবনটা একঘেয়ে, বৈচিত্র্যহীন হয়ে পড়তো—হারাবার শঙ্কা না থাকলে প্রেম, স্নেহও হয়তো গভীর ও মধুর হতে পেত না । তাই যেন মনে হয় কোন সুনিপুণ শিল্প-স্রষ্টা এর এমন মুনার ব্যবস্থা করেচেন যেন অতি তুচ্ছ, দরিদ্র লোকেরও জীবনের এ গভীর অনুভূতির দিকটা বাদ না যায়। এ জীবনের অবদানকে খুব কম লোকেই বুঝলে—কেউ এ সম্বন্ধে চিস্ত করে না—সকলেই দৈনন্দিন আহার চিস্তায় ব্যস্ত। কে ভাবে জন্ম নিয়ে, মৃত্যু নিয়ে, আকাশ, ঈশ্বর, প্রেম, অনুভূতি— এসব নিয়ে কণর মাথাব্যথা পড়েচে ? কুটু ও নায়েব ও সন্তোষবাবুর সঙ্গে বেড়াতে গেলুম —Lief Ericsson was spacehungry: So am I. জানি না কেন আজি ক'দিন থেকে মনটা কেবলই মুক্তির জন্ত ছটফট করচে। কি ভাবের মুক্তি ? আমাকে কি কেউ শিকলে বেঁধে রেখেচে ?—ত নয়। কিন্তু কলকাতার এই নিতান্ত মিনমিনে, একঘেয়ে, ঘরোয় জীবনযাত্রা, আজ পনেরো বৎসর ধরে যে জীবনের সঙ্গে আমি সুপরিচিত,-সেই বহুবার দৃষ্ট, গতানুগতিক, একরঙা ছবির মত বৈচিত্র্যহীন জীবনযাত্রা আর আমার ভাল লাগে না । আজ দুপুরবেলা স্কুলের অবসর ঘণ্টায় চুপি চুপি এসে বাইরের ছাদটাতে বসেছিলুম। আকাশ ঘন নীল, কোথাও এতটুকু মেঘ নেই কোনোদিকে—কেবল একটা চিল বহুদূরে একটা কৃষ্ণ-বিন্দুর মত আকাশের গা বেয়ে উড়ে যাচ্ছে—সেদিক চোখ রেখে ভাবতে ভাবতে আমার মন কোথায় যে উড়ে গেল, কি অপূর্ব প্রসারিত করে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা যে মনে জাগল—সে-সব কথা কি লিখে বলা যায় ? মনের সে উচ্চ আনন্দের বর্ণনা দেওয়ার উপযুক্ত ভাষা এখনও তৈরি হয় নি। কিন্তু কেন সে আনন্দটা এল, তাও বুঝতে পারি—সেটা এল শুধু জগতের বড় বড় মর, বিশাল অরণ্যভূমি, দিকৃদিশাহীন সমুদ্র, মাঠ ও বনঝোপ, মুক্ত প্রকৃতির অপূর্ব মুক্ত রূপের কল্পনায় । 尊 বুঝতে পারি এরই জন্তে মনটা ইপিাচ্চে। প্রকাও কোনো মাঠের ধারে বন, বনের প্রান্তে একটি বাংলো—কিংবা জঙ্গলে ঘেরা অভ্রের খনি, বালুমিশ্রিত পাথুরে মাটির গায়ে অস্ত্ৰকণা চিক্-চিকু করচে, নয়তে উচ্চাবচ পাহাড়ে জমি, যেদিকে চোখ যায় শুধুই বন—এই রকম शांप्नहे cवरउ फ्रांरे-शंकरउ फ्रांऐ१ ७डप्लेकू शांन फ्रांद्र न मन । फ्रांद्र श्रांब्रस श्रट्नक वज्र