পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&e বিভূতি-রচনাবলী क्रांश्बि cण cश्न मूझ हद्देश cश्रण ; ब्रः इनि७ उउर्फे कद्रगां नग्न, क्रूि करणांद्र ठेब्र वउ चैcन কখনো দেখে নাই, নদীর ধারের সরস সতেজ চিন্ত্রণ গুীম-কলমী-লতারই মত একটা সৰুৰ লাবণ্য যেন সারা মুখখানায় মাখানে । মুখখানি দেখিয়াই সে এই নিরাভরণা পাড়াগায়ের মেয়েটিকে ভালবাসিয়া ফেলিল। জিজ্ঞাসা করিল—উনি বসে আছেন কে ভাই, শাশুড়ী ? -ईif । —এস, আর একটু সরে এস ভাই, দুজনে গল্প করি আর দেখতে দেখতে যাই। তোমার বাপের বাড়ি কোথায় ভাই ? সুশীলার ভয় কাটিয়া যাইতেছিল, সে বলিল—সে হ’ল শিমলে। —কোন শিমলে । কলকাতা শিমলে ? কলকাতায় শিমলে আছে নাকি ? কৈ তাহা তো সুশীলা কোনদিন শোনে নাই সে বলিল—আমার বাপের বাড়ি এখান থেকে বেশী দূর নয়, পাচ ছ' কোশ পথ, গরুর গাড়ি করে যেতে হয় । নদীর ধারে যবক্ষেত, সর্ধেক্ষেত, বুনো গাছপালা দেখিয়া বউটি খুব খুশি । এ-সব সে পূর্বে বড় দেখে নাই, আঙুল দিয়া একটা মাছরাঙা পাখী দেখাইয়া বলিল—বা, বড় সুন্দর তো। ওটা কি পার্থী ভাই ? —ওটা তো মাছরাঙা পাখী, কেন তুমি দেখনি কখনো ? বউটি বলিল—ভাই, আমি কলকাতার বাইরে অ্যাদিন পা দিইনি, খুব ছেলেবেলা একবার বাবার সঙ্গে চন্দননগরে বাগানবাড়িতে যাবার কথা মনে আছে, তারপর এই আসছি—তুমি আমার একটু দেখিয়ে নিয়ে চল। ওটা কিসের ক্ষেত ভাই ? স্বশীল দেখিল তাহার সদিনী আঙুল দিয়া নদীর ধারের একটা মৌরীর ক্ষেত দেখাইতেছে —প্রথমটা সে সঙ্গিনীর চোখ-ঝলসানো রং, অদৃষ্টপূর্ব দামী সিদ্ধের শাড়ি, ব্লাউজ এবং চিক্‌চিকে নেকৃলেসের বাহার দেখিয়া যে ভয় অনুভব করিতেছিল, তাহার অজ্ঞতা দেখিয়া মুশীলার লে ভয় কাটির অঙ্গ-সঙ্গিনীর উপর একটু স্নেহ আলিল—কলিকাতায় মাছরাঙা পাখী, মেীক্ষেত, এসব সামান্ত জিনিসও নাই নাকি ? মুশীলা হাসিয়া বলিল—তুমি ফুলের গন্ধ দেখে বুঝতে পার না তাই ? ও তো মৌরীর ক্ষেত। কেন, আমাদের বাপের বাড়ির গারে কত তো মৌরীর ক্ষেত আছে—মোরীর শাক কখনো খাও নি ? কলকাতায় বুঝি নেই ? কলিকাতার বউটি বুঝাইরা দিল যে কলিকাতার অতীত ইতিহাসের সে খবর রাখে না, বর্তমান অবস্থায় সেখানে মৌরীক্ষেত প্রভৃতি থাকা সম্ভবপর নয়, তবে ভবিষ্যতে কি হয় বলা थांब्र नां । ঘণ্টাখানেক পরে যখন নৌকা শিবতলার ঘাটে গিয়া লাগিল, তখন তাঁহাদের দুজনের মধ্যে অনেক ঘনিষ্ঠ রকমের কথাবার্ত হইয়া গিয়াছে। সঙ্গিনীর মুখে স্বামীর আদরের গল্প শুনিয়া মুশীলার মনের মধ্যে একটা গোপন ব্যথা জাগিয়া উঠিল—সেটা সে অনবরত চাপিবার চেষ্টা করে, তৰু কি জানি কেন সেটা ফাক পাইলেই মাথা তোলে। প্রথম বিবাহের পর