পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৌরীফুল ২৬১ তাহার স্বামীও তো তাহাকে কত আদর করিত, রাত্রে ঘুমাইতে না দিয়া নানা গল্পে জুলাইফ জাগাইর রাখিত, মুশীলা পান খাইতে চাহিত না বলিয়া কত সাধ্যসাধনা করিয়া পান মুখে তুলিয়া তি—সেই স্বামী তাহার কেন এমন হইল ? তাহার বুকটার মধ্যে কেমন হু হু করিয়া উঠিল। कुछप्न उांशंब्रl थॉनिकच५ शांtइब्र झांब्रांब्र नशैब्र थां८ब्र ७लिक ७शिक cवफ़ाहेण, क् िप्रमब्र দেখায় চারিদিক 'নীল আকাশ সবুজ মাঠের উপর কেমন উপুড় হইয়া আছে "ওম, পানকৌড়ির বাক চরের উপর বসিয়া বসিয়া কেমন ঝিমায়।. কলিকাতার বউটি বলিল—এল ভাই, আমরা একটা কিছু পাতাই। কেমন । মুশীলা খুশি হইয়া বলিল—খুব ভাল ভাই, কি পাতাব বলো... —এক কাজ করি এস—আসতে আসতে নদীর ধারে যে মৌরীফুল দেখে এলাম, এস আমরা দুজনে পাতাই। কেমন ? স্বশীলা আহ্নাদের সঙ্গে এ প্রস্তাবে সন্মতি দিল। নদী হইতে অঞ্জলি করিয়া জল তুলিয়া তাহার মৌরীফুল পাতাইল । এমন সময় মোক্ষদা ডাকিলেন—বউমারা এদিকে এস । তাহারা গিয়া দেখিল গাছতলায় অনেক লোক—সেদিন পূজা দিতে অনেক লোক আসিয়াছিল। প্রকাও বটগাছ, তাহার তলায় ভাঙা ইটের মন্দির। গাছতলা হইতে একটু দূরে এক বুড়ী নানা ঔষধ বিক্রয় করিতেছে। সুশীলা ও তাহার সঙ্গিনী সেখানে গিয়া জিজ্ঞাসা করিয়া জানিল, রোগ সারা, ছেলে হওয়া হইতে শুরু করিয়া সকল রকমের ঔষধই আছে, গরু হারাইলে খুজিয়া বাহির করিবার পর্যস্ত। মেয়েরা সেখানে ভিড় করিয়া দাড়াইয়া ঔষধ কিনিতেছে। মুশীলার সঙ্গিনী হাসিয়া তাহার হাত ধরিয়া টানিয়া তাছাকে সেখান হইতে মন্দিরের দিকে লইয়া চলিল, বলিল-চলো মৌরীফুল, দেখিগে কেমন পুজো হচ্ছে। একটুখানি মন্দিরে দাড়াইয়া মুশীল একটা ছুতায় সেখান হইতে বাহির হইয়া আসিয়া ঔষধ-বেচা বুড়ীর নিকট দাড়াইল। সেখানে তখন কেহ ছিল না, বুড়ী বলিল—কি চাই। মুশীলার মুখ লজ্জার আরক্ত হইয়া উঠিল। বুড়ী বলিল—আর বলতে হবে না মীঠাকুরুপ। তা তোমার তো এখনও ছেলে-পিলে হবার বয়েস যায় নি, ও বয়েসে অনেকের -- মুশীলা সলজ্জভাবে বলিল—তা নয়। বুড়ী বলিল—এবার বুঝলাম মা-ঠাকুরুণ—তা যদি হয়, তা হ'লে তোমার লোয়ামীর বারমুখে টান আছে। একটা ওষুধ দিই, নিয়ে যাও, একমাসের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবেও-রকম সব ঠিক হয়ে যাবে—ও-রকম কত হয় মা-ঠাকুরুণ--- বুড়ী একটা শিকড় তুলিয়া বলিল—এই নাও, বেটে খাইয়ে দিও। যেন কেউটের না পায়, টের পেলে আর ফল হবে না। আট আনা লাগবে । স্বামীর বারমুখে টান আছে—একখা শুনিয়া স্বশীল খুব দমিয়া গেল। তাহার চেলে