পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযাত্রিক 8్ఫలి চোখের সামনে । এ হল মনের রসায়ন, বোঝাতে পারিনে মুখে। অভিজ্ঞতার দ্বারা বুঝতে छ्ब्र ! रॐनद्वज cदांक शं★ नः । আমার বন্ধু হো হো করে হেসে উঠে বললেন—এ যে তুমি esoteric তথ্যের দলে নিয়ে গিয়ে ফেললে দেখচি। তোমাদের মতো লোককে লক্ষ্য করেই রবীন্দ্রনাথ ‘বাতায়নিকের পত্রে লিখেছিলেন 'মাথার ওপর যে আকাশ নীল তাই দেখতে ছুটে যাই এটেীয়া কাটোয়া— ওই ধরনের কিছু। অস্বীকার করতে পারো ? —এ হল অনুভূতির ব্যাপার, সুতরাং স্বীকার করিনে অস্বীকারও করিনে। যাই হোক, তোমার ভালো লাগচে কি না বলে । —কেন ভালো লাগবে না ? তুমি এখানে থেকে যাও, দিই না আমার স্কুলে একটা মাস্টারি জুটিয়ে। এ কথার স্কুলের শিক্ষক দুটি খুব উৎসাহিত হয়ে উঠলেন। খুব ভালো হয় তা হলে, হেডমাস্টারবাবু চেষ্টা করলে এখুনি হয়ে যায়। স্কুলের কমিটি কিছু নয়, সবই হেডমাস্টারবাবুর হাত। আমাকে তারা দুজনে বিশেষ করে অনুরোধ করলে থেকে যাবার জন্তে । রাত আটটার সময় আমরা সবাই ফিরলুম বোর্ডিংএ। ড্রইং মাস্টার বললে—তাই তো, আমার সকাল সকাল উঠে আসা উচিত ছিল, এখন দেখচি খেতে আপনাদের অনেক রাত হয়ে যাবে। ওরা রুটি করতে বসলে রান্নাঘরে। আমরা কাছে বসে আগে এক পেয়ালা করে চা খেলাম। ওরাই করে দিলে। আমার কতবার মনে হল কি সুন্দর লোক এরা ] পরের জষ্ঠে অক্লাস্ত সেবা করে যাচ্চে দিনের পর দিন—কোনো দিন এতটুকু বিরক্ত হয় না । আমার বড় মনে ছিল এই নিরীহ শিক্ষক দুটির কথা। মাটি দিয়ে মানুষ গড়লেও বোধ হয় এত নিরীহ, ভালোমান্বষ, এত বিনয়ী হয় না। যেদিন নরসিংদি ছেড়ে চলে আলি, ওদের দুজনকে ছেড়ে আসবার কষ্টই আমার বড় বেশি হয়েছিল। আমাকে পরদিন স্কুলের অন্তান্ত মাস্টার এবং ছাত্রেরা মিলে নিমন্ত্রণ করলে—আমাকে ও হেডমাস্টারকে নিয়ে তারা একসঙ্গে বসে খাবে। আবার সেইদিনই ড্রইং মাস্টারটিও আমাকে চায়ের নিমন্ত্রণ করে তার বাড়ি নিয়ে গেল। আমার বন্ধুকেও বলেছিল, কিন্তু সেই সময়ে স্কুল কমিটির মিটিং ছিল বলে তার যাওয়া হয়নি। শাটিরপাড়া গ্রামে এই প্রথম ঢুকি। ঢাকা জেলার অঙ্গ পল্লীগ্রাম কেমন দেখবার সুযোগ এর আগে কখনো হয়নি। গ্রামের মধ্যে ছোটবড় বেতঝোপ বড় বেশি, টিনের ঘরই বারোআনা—দু একটা কোঠাবাড়িও চোখে পড়লো। আমি গ্রামের মধ্যে বেশি দূর বাইনি দু-গ্রামে ঢুকে ড্রইং মাস্টারের বাড়ি বেশি দূর নয়। একটা টিনের ঘরের দাওয়ায় আমার নিয়ে গিয়ে বসালে । বেশ ফাঁকা জায়গা বাড়ির চারিদিকে । তত্ত্বপোশের ওপর শতরঞ্জি পাতা। একটি ছোট মেয়ে এসে আমাদের সামনে সাজা পান রেখে গেল। ড্রইং মাস্টার বললে—আমার ভাইঝি—ওর নাম মধু