পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত సిర —Oh, at times I felt so terribly homesick—homesick for Bengal— শেষ দু-বছর দেশ দেখবার জন্য পাগল হয়েছিলম— । zo ফুটপাত বাহিয়া কয়েকটি ফিরিঙ্গি মেয়ে হাসি কলরব করিতে করিতে পথ চলিতেছে, অপ সাগ্রহে সেদিকে চাহিয়া রহিল । মানুষের গলার সরে মানুষের কাছে এত কাম্যও হয় । রাস্তাভরা লোকজন, মোটর গাড়ি, পাশের একটি একতলা বাড়িতে সাজানো গোছানো ছোট ঘরে কয়েকটি সাহেবের ছেলেমেয়ে ছ.টোছুটি করিয়া খেলা করিতেছে—সবই অদ্ভুত সবই সুন্দর বলিয়া মনে হয় । আলোকোজল রেস্তোরটিায় অনবরত লোকজন ঢুকিতেছে, বাহির হইতেছে, মোটর হনের আওয়াজ, মোটর বাইকের শব্দ, একখানা রিকসা গাড়ি ;ং ঠুং করিতে করিতে চলিয়া গেল—অপর চাহিয়া চাহিয়া দেখিতেছিল—যেন এসব সে কখনও দেখে নাই । সুরেশ্বরকে বলিল—দেখনে জানালার ধারে এসে—ঐ যে নক্ষত্রটা দেখছেন, আজি ক'বছর ধ'রে ওটাকে উঠতে দেখেছি ঘন বন-জঙ্গল-ভরা পাহাড়ের মাথার ওপরে । আজ ওটাকে হোয়াইটওয়ে লেডলর বাড়ির মাথার ওপরে উঠতে দেখে কেমন নতুন নতুন ঠেকছে । এই তো পৌনে দশটা রাত ? এ সময় গত পাঁচ বৎসর শুধ, আমি জঙ্গল পাহাড়—আর তেড়িয়ার ডাক, কখনো কখনো বাঘের ডাকও— । আর কি loneliness ! শহরে বসে সে সব বোঝা যাবে না । 穌 o সরেখবরও নিজের কথা বলি । চট্টগ্রাম অঞ্চলে কোন কলেজের অধ্যাপক, বিবাহ করিয়াছে কলিকাতায় । সম্প্রতি শালীর বিবাহ উপলক্ষে আসিয়াছে । বলিল—দ্যাখ ভাই, তোমার ও জীবন একবার আসবাদ করতে ইচ্ছে হয়—কিন্তু তখন কি জানতুম বিয়ে এমন জিনিস হয়ে দাঁড়াবে ? যদি কিছু করতে চাও জীবনে, বিয়ে ক'রো না কখনও, বলে দিলাম । বিয়ে করো নি তো ? so অপম হাসিয়া বলিল—ওঃ, আমি ভাবছি আপনার এ লেকচার যদি ধৌদি শুনতেন !-- —না না, শোনো । সত্যি বলছি, সে উনিশ-শো পনেরো সালের সরেশধর আর নই আমি । সংসারের হাড়িকাঠে যৌবন গিয়েছে, শক্তি গিয়েছে, স্বপ্ন গিয়েছে, জীবনটা ব্যথা খইয়েছি—কত কি করবার ইচ্ছে ছিল—ও, যেদিন এম. এ. ডিপ্লোমাটা নিয়ে কনভোকেশন হল থেকে বেরলাম, মনে আছে মাঘের শেষ, গোলদীঘির দেবদার গাছে নতুন পাতা গজিয়েছে, সবে দখিনা হাওয়া শরদ হয়েছে, গাউন সমেত এক দোকানে গিয়ে ফটো ওঠালম, কি খুশী ! মনে হ’ল; সারা পৃথিবীটা আমার পায়ের তলায় । ফটোখানা আজও আছে— চেয়ে দেখে ভাবি, কি ছিলাম কি হয়ে দাঁড়িয়েছি ! পাড়াগাঁয়ের কলেজে তিন-শো চব্বিশ দিন একই কথা আওড়াই, দলাদলি করি, প্রিন্সিপ্যালের মন যোগাই, পত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করি, ছেলেদের ডান্ডার দেখাই, এর মধ্যে মেয়ের বিয়ের ভাবনাও ভাবি—না না, তুমি হেসো না, এসব ঠাটা নয় । অপর বলিল—এত সেণ্টিমেন্টাল হয়ে পড়লেন •কেন হঠাৎ সরে্বরদা—এক পেয়ালা কফি— —না না, তোমাকে পেয়ে সব বললাম, কারার কাছে বলি নে, কে বুঝবে, তারা সবাই দেখছে, দিব্যি চাকরি করছি, মাইনে বাড়ছে; তবে তো বেশই আছি । আমি যে মরে যাচ্ছি, তা কেউ বুঝবে না । রেস্তোর হইতে বাহির হইয়া পরস্পর বিদায় লইল । অপর বলিল-জানেন তো বলেছে —In each of us a child has lived and a child has died—a child of promise, who never grew up—WI&T, Eloi o fefish Hoxoal—oss সহজে তাকে উড়িয়ে দেওয়া চলে না। আচ্ছা আসি, বড় আনন্দ পেলাম আজ । যখন প্রথম .