পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (বৈশ্য কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»भ ज९* । ] বৈশ্বাসমাজের অভু্যদয় సి సి. এমন কি চন্দ্রগুপ্তের অভু্যদয়ের প্রধান সহায় চাণক্যের নাম বা তাহার আভাস পৰ্য্যন্ত কেহ দিয়া যান নাই, এরূপ স্থলেও গ্ৰীকবর্ণিত সান্দ্রোকোত্তসকে আমর প্রথম মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত বলিয়া গ্রহণ করিতে পারিতেছি না । তবে আলেকসান্দরের সমসাময়িক উক্ত সান্দ্রোকোত্তাস্ কে ? স্বপ্রাচীন বৌদ্ধগ্রন্থ অশোকাবদানে বিবৃত হইয়াছে,— “চুপ নগরীতে এক ব্রাহ্মণের একটা পরম সুন্দরী কস্ত জন্মে। এক দৈবজ্ঞ সেই কষ্ঠাকে দেখিয়া বলিয়াছিলেন, এই কুমারী রাজরাণী ও রাজমাতা হইবে । ধনের লোভ বড় লোভ। ব্রাহ্মণ লোভে পড়িলেন, কথাকে বয়স্থা দেখিয় তাহাকে লইয়া পাটলিপুত্রে আসিলেন এবং রাজা বিন্দুগারকে প্রদান করিলেন। বিন্দুসার ব্রাহ্মণকন্যাকে রাজান্তঃপুরে পাঠাইয়া দিলেন । পুরমহিলীগণ সেই রূপসীকে দেখিয়া ভাবিলেন, এরূপ সুন্দরীকে পাইলে আর কি রাজা আমাদিগকে চাহিবে ? সকলে পরামর্শ করিয়া সেই ব্রাহ্মণবালাকে নাপিতানী করিয়া রাখিল ও তাহাকে ক্ষৌরকর্ম শিক্ষা দিতে লাগিল। কিছুদিন যায়,সেই ব্রাহ্মণকস্তা রাজা বিন্দুসারের দাড়ি চুল কামাইতে থাকেন। এক দিন রাজা অতিশয় প্রীত হইয়। তাহাকে বলিলেন, “আমি তোমার উপর বড় প্রীত হইয়াছি, তুমি কি চাও, বল। আমি তোমার অভিলাষ পূর্ণ করিব। তখন ব্রাহ্মণবালা মুখ হেঁট করিয়া আস্তে আস্তে বলিলেন, “আমি আপনাকে চাই । রাজা কছিলেন, সে কি, আমি মুৰ্দ্ধাভিষিক্ত, আর তুমি নাপিতনী, তোমাকে আমি কিৰূপে গ্রহণ করিব ? ব্রাহ্মণকুমারী কহিলেন, “আমি নাপিতানী নহি । আমি ব্রাহ্মণকস্তা, আপনার পত্নী হইবার জন্যই পিতা দিয়া গিয়াছেন। পুরমহিলারাই আমাকে এ কাজ শিখাইয়াছে।’ তখন রাজা ব্রাহ্মণকন্যার কামনা পূর্ণ করিলেন। এখন সেই দরিদ্র ব্রাহ্মণকস্তাই পটেশ্বরী হইলেন। তাহার গর্ভে দুইটা পুত্র জন্মিল—১ম অশোক, ২য় বিগতশোক বা বীতশোক । “অশোকের পূর্বে পট্টমহিষীর গর্ভে বিন্দুসারের স্বসীম নামে এক পুত্র জন্মিয়ছিল। অশোকের আচরণে বিন্দুসার ভtহার উপর অসন্তুষ্ট ছিলেন । তক্ষশিলানগরবাসীর বিন্দুসারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করিলে, বিন্দুসার সেখানেই অশোককে বিসর্জন করেন। পথে অশোক বহু দলবল সংগ্ৰহ কfরয়। তক্ষশিলায় আসিলেন। নগরবাসিগণ র্তাহার সাজসজ্জা দেখিয়। ৰিমাৰুদ্ধে ওঁাছকে ভক্ষশিলা ছাড়িয়া দিল ও উহার যথেষ্ট অভ্যর্থন করিল