পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেদার রাজা રઉ૧ —কমলার সম্পকে কে ? —সম্পকে"-এই ঠাকুরপো-- কমলার ঠাকুরপো কি রকম শরৎ ভাল বঝল না । লোকটির বয়স চল্লিশের কম নয়— তা হলে কমলার দোজবরে কি তেজবরে স্বামীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে নকি ? না হলে অত বড় ঠাকুরপো হয় কি করে ? কমলার ওপর কেমন একটু করণা হ’ল শরতের । আহা, এমন মেয়েটি ! কমলাও একটু অবাক হয়ে প্রভাসের বৌদিদির দিকে চাইলে । সে যেন অনেক কিছুই বুঝতে পারছে না। শরৎ জিজ্ঞেস করলে, আপনি প্রভাসদার কে হন ? কমলা কিছু বলবার আগে প্রভাসের বৌদিদি উত্তর দিলে, ও আমার পিসতুতো বোন হয় । এখানে থেকে পড়ে । হঠাৎ শরৎ কমলার সিথির দিকে চাইলে । সত্যই তো, ওর এখনও বিয়ে হয় নি। এতক্ষণ সে লক্ষ্য করে নি। তবে আবার ওর ঠাকুরপো কি রকম হ’ল। শরতের বড় ইচ্ছে হচ্ছিল এসব গোলমেলে সম্পকের একটা মীমাংসা সে করে ফেলে—এদের প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে । কিন্ত দরকার কি পরের বাড়ির খাঁটিনাটি কথা জিজ্ঞেস করে। একটু পরে প্রভাস বাইরে থেকে ডাকলে, কমলা, তোমায় ডাকছেন —শনে যাও— কমলা চলে যাবার আগে হাত তুলে ছোট্ট একটা নমস্কার করে শরৎকে বললে, আচ্ছা, আসি ভাই— — কেন, আপনি আর আসবেন না ? —কি জানি যদি কোন কাজ পড়ে— --কাজ সেরে আসবেন—যাবার আগে দেখা করেই যাবেন— — আপনি কতক্ষণ আছেন আর ? প্রভাসের বেদি বললেন, উনি এখনও ঘণ্টাখানেক থাকবেন— কমলা বললে, যদি পারি আসবো তার মধ্যে – ও চলে গেলে শরৎ প্রভাসের বৌদিদির দিকে চেয়ে বললে, বেশ মেয়েটি— -- কমলা তো ? হ্যাঁ ওকে সবাই পছন্দ করে— — বড় চমৎকার গলা— — গানের মাস্টার এসে গান শিখিয়ে যায় যে ! এখন বোধ হয় সেই জন্যেই উঠে গেল । আপনি বসন চায়ের দেখি কি হ'ল -- শরৎ ব্যস্ত হয়ে বললে, না না, আপনি যাবেন না । আমি চা খেয়ে বেরিয়েছি— --বেরলেন বা । তা কখনও হয়? একটু মিটিমখ— —না না—আমি এসময় কিছুই খাই নে— —বসন, আমি আসছি । —বসছি কিন্ত খাওয়ার যোগাড় কিছু করবেন না যেন.। আমি সত্যিই কিছু খাব না। প্রভাস বললে, থাক বরং বৌদি, উনি এসময় কিছর খান না। ব্যস্ত হতে হবে না। এই সময় অরণ ও গিরীন বলে সেই লোকটা ঘরে ঢািকল। শরৎ হাসিমুখে বললে, এই যে অর্ণবাব আসন —দেখন মাথায় টনক আছে আমার । কি করে জানলাম বলন আপনি এখানে এসেছেন— গিরীন প্রভাসকে বাইরে ডেকে নিয়ে বললে, কি ব্যাপার ? প্রভাস বিরক্ত মুখে বললে, আরে, ওই হরি সা না কি ওর নাম, সব মাটি করে দিয়েছিল दि. ब्ल. e-s१