পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (বৈশ্য কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>む8 বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস [***-*te দাতব্যচিকিৎসালয় তাহার প্রকৃষ্ট নিদর্শন। যতদূর জানা গিয়ছে, তাহীতে বলিতে পারা যায় যে পৃথিবীর অন্য কোন স্থানে তখন এরূপ অনুষ্ঠানের কল্পনাও করা হয় নাই। । - উক্ত চীনপরিব্রাজক মলিল প্রদেশের শাসনপ্রণালী, সমৃদ্ধি এবং প্রকৃতিপুঞ্জের মুখস্বচ্ছন্দস্তার যে চিত্র অঙ্কিত করিয়া গিয়াছেন, ভাহা বিস্ময়জনক। রাজার খামার জমি হইতে যে রাজস্ব আদায় হইত, প্রধানতঃ তাহ লইয়াই তিনি পরিতৃপ্ত থাকিতেন। রাজকৰ্ম্মচারিগণও নির্দিষ্ট বেতন পাইতেন বলিয়া কাহারও উপর পীড়ন করিতেন না। বিশেষ বিবেচনা করিয়া অপরাধীর গুরুত্ব অমুসারে শাস্তি প্রদান করা হইত। প্রাণদণ্ড একপ্রকার অপরিজ্ঞাতই ছিল যাহারা পুনঃ পুন: রাজদ্রোহ অপরাধে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত হইত, তাহাদিগের দক্ষিণ হস্ত কাটিয়া দেওয়া হইত। কিন্তু এরূপ শাস্তি প্রায় কাহারও ভাগ্যে ঘটিত না। অধিকাংশ অপরাধেই কেবল অর্থদণ্ড করা হইত। কোন অপরাধেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হইত বলিয়া জানা যায় নাই। একদেশ হইতে অন্যদেশে যাইতে হইলে প্রজাদিগের ছাড়-পত্রের আবশ্বক হইত না। বাড়াঘরের তালিকাও রাখা হইভ না । - সাধারণতঃ চন্দ্রগুগু বিক্রমাদিত্যের আমলে ভারতবর্ষের বহুস্থান ঐসম্পন্ন ও সমৃদ্ধিশালী হইয়া উঠিয়াছিল। প্রজার কার্য্যে এবং তাহার আয়ের উপর রাজা প্রায়শঃই হস্তক্ষেপ করিতেন না। ধৰ্ম্মমতের জস্ব কাহাকেও উৎপীড়ন করা হইত না ! লোকে নির্বিঘ্নে পথঘাটে চলাফেরা করিত। দস্থ্যতস্করের ভয় একপ্রকার ছিলই না। চণ্ডাল, শিকারী, ধীবর এবং কসাই ব্যতীত কাহাকেও জীবহিংসা করিড়ে দেখা যাইত না। মন্ত, গেয়াজ এবং রম্বন কেহই স্পর্শ করিতেন না । উীহার জামলে ভারতবর্ষ যেরূপ সুন্দরভাবে শাসিত হইয়াছে, প্রজারা যেরূপ সুখে, স্বচ্ছন্দে ও শান্তিতে দিন কাটাইয়াছে এবং সাধারণতঃ দেশের যেরূপ শ্ৰীবৃদ্ধি হইয়াছিল, ঐতিহাসিক যুগে সেরূপ কখনও হইয়াছিল ৰলিয়া বোধ হয় না। কিন্তু কয়েকটি স্থান পুর্বসমৃদ্ধিভ্রষ্ট এবং লোকসংখ্যায় হীন হইয়া পড়িয়ছিল। বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাব মুলিন হইয়া আসিবার সঙ্গে সঙ্গে ইহার কেন্দ্রস্থানগুলিও ক্রমশঃই ঐহীন হুইয়াঞ্জি এই সময়ে কপিলবস্তু এবং কুশীনগর প্রায় জনমানবশূন্ত শ্মশানে পরিণত হইয়াছিল সাঙ্গাস্ক কয়েকজন ভিক্ষু এবং ঠাহীদের বেতনভোগী