পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উমি্মখের 866. কলকাতা পৰ্যন্ত সবাই জানে, আপনার শ্ৰীগরের চরণকৃপায়, হে’ হে । কৌতুহলের সহিত ওর মুখের দিকে চাইলাম। কোন ছদ্মবেশী মহাপরেষের সঙ্গে এতক্ষণ আমার ভ্রমণ করবার সৌভাগ্য ঘটেচে না জানি । লোকটা বললে—আমার নাম, দাদাবাব, হাজারী পরটা । আমি অবাক হয়ে বললাম—হাজারী—? —আজ্ঞে, হাজারী পরটা । —হাজারী পরটা ? —আজ্ঞে, সেই আমিই এই অধীন। বলে সে আমার মুখের ভাব পরিবত্তন লক্ষ্য করবার জন্যে আমার মথের দিকে চেয়ে রইল। বোধ হয় আমার বিস্ময়কে পণ বিকাশের সময় দেওয়ার জন্যে। কিন্তু আমি তখনও সেই অবাক ভাবে চেয়ে আছি দেখে বললে, দাদাবাব, যদিও আমরা ভট্চাযি কিন্তু আমার উপাধি পরটা । মানে এমন পরটা আর কেউ তৈরি করতে পারতো না নদে-শাস্তিপরের মধ্যে। পাঁচ সের ওজনের একখানা খাস্তা পরটা—যেখানে ধরন খসে আসবে। আমার দোকান ছিল গ্রাম চাঁদপাড়ায়, দৈনিক দশ-বারো টাকা বিক্লি, পরটা, লাচি, আলর দম, ডিম, মাংস। আমার দোকানে যে একবার খেয়েচে দাদাবাব, সে আপনাদের বাপ-মার আশীবাদে কখনো ভুলতো না । কলকাতা পয্যন্ত আমার নাম-ডাক। খু’্যাদা মিত্তিরের বাড়ি রশনই করেচি এক হাতা-বেড়ীতে পাঁচ বছর। to তার গল্প তখনও ভাল করে শেষ হয় নি, একজন ডেকে বললে,—এই যে, বেয়াই মশাই যে ! আসনে আসন, কি সৌভাগ্য আমার । নমস্কার, নমস্কার । হাজারী পরটা সিমতহাস্যে বললে—নমস্কার। তা আপনারা তো খোঁজ করবেন না, মেয়েটা আছে পড়ে, বলি এই একবার-আচ্ছা দাদাবাব, আসন একটু পায়ের ধলো নিই। বলেই লোকটা ঝুকে পড়ে আমার পায়ের ধলো নিয়ে বসলো। তারপর তার বেয়াই-এর দিকে চেয়ে বললে—দাদাবাবর সঙ্গে দেখা হয়েই ববেচি উনি মহৎ লোক। ও’র সঙ্গে জজবাবর বাড়িতে গিয়ে খাসা আম, উৎকৃষ্ট সন্দেশ, চা কত কি খেলাম। কি আদর সেখানে ও’র। শনেই তার বেয়াই আমায় বিনীত ভাবে অনুরোধ করতে লাগলো, সেখানে পেরে থাকবার জন্যে। ভাবলে, জজ বাবরা যখন খাতির করেচে, তখন আমিই বা কোন ডেপুটি কি অন্ততঃ পক্ষে একজন পলিসের দারোগা না হব ? আমি আমার অক্ষমতা জানিয়ে বিদায় নিলাম। তারা সকলে যতক্ষণ আমাকে দেখতে পায়, আমার দিকে প্রশংসমান দটিতে চেয়ে রইল এবং আমার সম্বন্ধে কি সব কথা বলাবলি করতে লাগলো। আমি বেরিয়ে এসে মাঠে পড়লাম। দ-ধারে আউশ ধানের ক্ষেত। একটা বহৎ জিউলি গাছের তলায় যখন পে'ছেচি, তখন জোর ব্যষ্টি আসাতে গাছের নিচে বসলাম । DD DBD DBBS BB BBB BBBBBBB BBBB BBB BB BBSBB BB সপ্রভার চিঠি আটবার জন্যে বারাকপুরে একটু জিউলির আঠা খুজে পাই নি । কি সন্দের লাগছিল উন্মুক্ত মাঠের হাওয়া, দু-ধারে সবুজ ধানের ক্ষেত, বর্ষান্নাত গাছপালায় ঝোপঝাড়। একটা প্রকাণ্ড বটগাছ মাঠের মধ্যে, তার তলায় অনেকক্ষণ বসে অপেক্ষা করলাম বটি না থামা পয্যন্ত । ট্যাঙরা সন্দেরপুর, কমলাপর প্রভৃতি গ্রাম পার হয়ে একটা সন্দের জলাশয়ের তীরে এক প্রকাণ্ড বট গাছের তলায় কলের গান হচ্চে দেখে সেখানে গেলাম। অনেক গ্রাম্য লোক জড় হয়েচে । গ্রামবধরা ওপারের ঘাট থেকে গান শনচে । জন-দুই পথ-চলতি লোক কলের গান নিয়ে যেতে যেতে এখানে বট গাছের তলায় প্লাস্তি দর করবার জন্যে বসে কল বাজাচ্ছে । আমিও গিয়ে দটো রেকড বাজাতে বললাম।