পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্তদশেখর gई नर्सडी##ईहड़ अमरू:१थ,*****ञ्च भू-भानि श्रनप्लाज्र इँच्ने बिनछे ఫ్లి কপালে কি সে মুখ ঘটিবে না? - . অঙ্গে কিসের শীতল স্পর্শ অনুভূত হইল। এক বিন্দু বৃষ্টি 4 ফোট, ফোট, ফেঁটা । তার পর দিগন্তব্যাপী গর্জন । সে গর্জন বৃষ্টির, বায়ুর এবং মেঘের ; তৎসঙ্গে কোথাও বৃক্ষশাখাভঙ্গের শব্দ, কোথাও ভীত পশুর চীৎকার, কোথাও স্থানচ্যুত উপলখণ্ডের অবতরণ শব্দ। দুরে গঙ্গার ক্ষিপ্ত তরঙ্গমালার কোলাহল । অবনত-মস্তকে পাৰ্ব্বতীয় প্রস্তরাসনে শৈবলিনী বসিয়া ; –মাথার উপরে শীতল জলরাশি বর্ষণ হইতেছে । অঙ্গের উপর বৃক্ষলতাগুল্মাদির শাখা সকল বায়ুতাড়িত হইয়৷ প্ৰহত হইতেছে, আবার উঠিতেছে, আবার প্রহত হুইতেছে। শিখরাভিমুখ হইতে জলপ্রবাহ বিষম বেগে আসিয়! শৈবলিনীর উরুদেশ পর্যন্ত ডুবাইয়া ছুটিতেছে । তুমি জড় প্রকৃতি । তোমায় কোটি কোটি কোটি প্রণাম ! তোমার দয়া নাই, মমতা নাই, স্নেহ মই,—জীবের প্রাণনাশে সঙ্কোচ নাই, তুমি অশেষ ক্লশের জননী—অথচ তোম। হইতে সব পাইতেছি— তুমি সৰ্ব্বমুখের আকর, সর্বমঙ্গলমী, সৰ্ব্বার্থসাধিকা, সৰ্বকামনাপূর্ণকারিণী, সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরী ! তোমাকে নমস্কার । হে মহা ভয়ঙ্করী নানারূপরঙ্গিণি ! কালি ! তুমি ললাটে চাদের টিপ পরিয়া, মস্তকে নক্ষত্রক্রিাট ধরিয়া ভুবনমোহন হাসি হাসিয়া, ভুবন মোহিয়াছ, গঙ্গার ক্ষুদ্রোৰ্ম্মিতে পুষ্পমাল গাথিয়৷ পুষ্পে পুষ্পে চন্দ্র ঝুলাইয়াছ ; সৈকত বালুকায় কত কোটি কোটি হীরক সালিয়াছ ; গঙ্গার হৃদয়ে নীলিম। ঢালিয়। দিয়| তাহাতে কত মুখে যুবক যুবতীকে ভাসাইয়াছিলে ! যেন কত অাদর জান—কত আদর করিয়াছিলে । আজি এ কি ? তুমি অবিশ্বাসযোগ্য৷ সৰ্ব্বনাশিনী । কেন জীব লইয়। তুমি ক্রীড়া কর, তাহা জানি না-তোমার বুদ্ধি নাই, জ্ঞান নাই, চেতন নাই—কিন্তু তুমি সৰ্ব্ব ময়ী, সৰ্ব্বকত্রী, সৰ্ব্বনাশিনী এবং সৰ্ব্বশক্তিময়ী । రి = 4 8X তুমি ঐশী মায়, তুমি ঈশ্বরের কীৰ্ত্তি, তুমিই অজেয় । তোমাকে কোটি কোটি কোটি প্রণাম ! অনেক পরে বৃষ্টি থামিল ; ঝড় থামিল না । কেবল মন্দীভূত হইল মাত্র । অন্ধকার যেন গাঢ়তর হইল । শৈবলিনী বুঝিল যে জলসিক্ত পিচ্ছিল পৰ্ব্বতে আরোহণ অবতরণ উভয়ই অসাধ্য। শৈবলিনী সেইখানে বসিয়া । শীতে কঁাপিতে লাগিল। তখন তাহার গার্হস্থ্য স্থখপূর্ণ বেদগ্রামে পতিগৃহ স্মরণ হইতেছিল । মনে ise . যে, যদি অার একবার সে সুখাগার দেখিয়া মরিতে । পারি, তবুও সুখে মরিব । কিন্তু তাহা দূরে থাকুক— · বুঝি আর সূর্য্যোদয়ও দেখিতে পাইব না । পুনঃ পুনঃ যে মৃত্যুকে ডাকিয়াছি, অদ্য সে নিকট । এমন । সময় সেই মনুষ্যশৃঙ্গ পৰ্ব্বতে, সেই অগম্য বনমধ্যে, সেই মহাঘোর অন্ধকারে, কোন মনুস্থ্য শৈবলিনীর গায়ে হাত দিল । •. শৈবলিনী প্রথমে মনে করিল, কোন বন্য পশু । শৈবলিনী সরিয়া বসিল । কিন্তু আবার সেই হস্তস্পর্শ --স্পষ্ট মনুষ্য হস্তের স্পর্শ–অন্ধকারে কিছু দেখা যায় ন। শৈবলিনী ভয়বিকৃতকণ্ঠে বলিল, “তুমি কে ? দেবত ন| মনুষ্ঠা ? মনুষ্য হইতে শৈবলিনীর ভয় নাই –কিন্তু দেবত হইতে ভয় অাছে, কেন না, দেবত দণ্ডবিধাতা " কেহ কোন উত্তর দিল না । কিন্তু শৈবলিনী বুঝিল যে, মনুষ্য হউক, দেবতা হউক, তাহাকে দুই হাত দিয়া ধরিতেছে । শৈবলিনী উষ্ণ নিশ্বাসম্পর্শ স্কন্ধদেশে অনুভূত করিল। দেখিল, এক ভুজ শৈবলিনীর পৃষ্ঠদেশে স্থাপিত হুইল—আর এক হস্তে শৈবলিনীর দুই পদ একত্র করিয়া বেড়িয়া ধরিল। শৈবলিনী দেখিল, তাহাকে উঠাইতেছে । শৈবলিনী একটু চীৎকার করিল—বুঝিল যে, মনুষ্য হউক, দেবত হউক, তাহাকে ভুজোপরি উখিত করিয়া কোথায় লইয়া যায়। কিবৃৎক্ষণ পরে অনুভূত হইল যে, সে শৈবলিনীকে ক্রোড়ে লইয়। সাবধানে পৰ্ব্বতারোহণ করিতেছে । শৈবলিনী ভাবিল ষে, এ যেই হউক, লরেন্স ফষ্টর নহে ।