পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘ “ ... * :”ds -- . -k ه. . " x : -; د.. ; : , ؟ه : জালিতেছে, বটিয়ার তাড়নে জল... মদের আলোয় জ্বলিতেছে । দেখিতে দেখিতে দেখা গেল, পাচখানা ছিপ লিপাহীভরা। ডাঙ্গাপথের সিপাহীরা আসিয়৷ পৌঁছিয়াছে, তারই সঙ্কেত বন্দুকের শব্দ। শুনিয়াই পাঁচখানা ছিপ খুলিয়াছিল। দেখিয়া প্রফুল্ল বলিল, “আর তিলাৰ্দ্ধ বিলম্ব করিও না। শীঘ্র আপনার পামূলীতে উঠিয়া চলিয়া যাও।” ত্র। কেন ? এ ছিপগুলো কিসের ? কিসের ? প্র । না শুনিলে যাইবে না ? ব্র । কোনমতেই না । প্র । এ ছিপে কোম্পানীর সিপাহী আছে। এ বন্দুক ডাঙ্গ৷ হইতে কোম্পানীর সিপাহী আওয়াজ করিল । ত্র । কেন এত সিপাহী এ দিকে আসিতেছে ? তোমাকে ধরিবার জন্য ? প্রফুল্ল চুপ করিয়া রহিল। ব্রজেশ্বর জিজ্ঞাসা করিল, “তোমার কথায় বোধ হইতেছে, তুমি পূৰ্ব্ব হইতেই এই সংবাদ জানিতে ” বন্দুক প্র । জানিতাম—আমার চর সৰ্ব্বত্র আছে । ব্র । এ ঘাটে আসিয়া জানিয়াছ, না আগে জানিয়াছ ? প্র । আগে জানিয়াছিলাম । ত্র। তবে জানিয়া শুনিয়া এখানে আসিলে কেন ? প্র । তোমাকে আর একবার দেখিব বলিয়৷ I ব্র । তোমার লোকজন কোথায় ? প্র । বিদায় দিয়াছি । তারা কেন আমার জন্য মরিবে ? ব্র । নিশ্চিত ধরা দিবে, স্থির করিয়াছ ? প্র । আর বঁাচিয়া কি হইবে ? তোমার দেখ। পাইলাম, তোমাকে মনের কথা বলিলাম, তুমি আমার ভালবাস, তাহ শুনিলাম । আমার যে কিছু ধন ছিল, তাহাও বিলাইয়া শেয করিয়াছি। আর এখন বাচিয়া কোন কাজ করিব বা কোন সাধ মিটাইব ? অার বাচিব কেন ? ব্র । বাচিয়া, আমার ঘরে গিয়া, আমার ঘর ' '-করিবে । প্র । সত্য বলিতেছ ? ব্র । তুমি আমার কাছে শপথ করিয়াছ, আমিও তোমার কাছে শপথ করিতেছি । আজ যদি তুমি প্রাণ রাখ, আমি তোমাকে আমার ঘরণী—পৃহিণী করিব।

প্র । আমার শ্বশুর কি বলিবেন ? ব্র । আমার বাপের সঙ্গে আমি বোঝাপড়া ' করিব । C3 || ব্ৰ | হায় ! এ কথা কা’ল গুনি নাই কেন ? কাল শুনিলে কি হইত ? ‘. . ." প্র । তাহ হইলে কার সাধ্য আজ আমায় ধরে ? ত্র । এখন ? 罗 প্র। এখন আর উপায় নাই। তোমার পামূলী ডাক-নিশি ও দিবাকে লইয়। শীঘ্ৰ যাও ! ব্ৰজেশ্বর আপনার পান্‌লী ডাকিল। পান্‌লী ওয়ালা নিকটে আসিলে ব্ৰজেশ্বর বলিল, “তোরা শীঘ্র পালা, ঐ কোম্পানীর সিপাহীর ছিপ আসিতেছে, তোদের দেখিলে উহার বেগার ধরিবে । শীঘ্র পালা, আমি যাইব না, এইখানে থাকিব ।” পান্‌সীর মাঝি মহাশয় আয় দ্বিরুক্তি না করিয়া তৎক্ষণাৎ পানূসী খুলিয়। প্রস্থান করিলেন। ব্ৰজেশ্বর চেনা লোক, টাকার ভাবন নাই । পানূসী চলিয়া গেল দেখিয়া, প্রফুল্ল বলিল, “তুমি গেলে না ? ব্ৰ। কেন, তুমি মরিতে জান, আমি জানি না ? তুমি আমার স্ত্রী—আমি তোমায় শতবার ত্যাগ করিতে পারি। কিন্তু আমি তোমার স্বামী—বিপদে আমিই ধৰ্ম্মতঃ তোমার রক্ষাকর্তা । আমি রক্ষা করিতে পারিব না—তাই বলিয়৷ কি বিপৎকালে তোমাকে ত্যাগ করিয়া যাইব ? “তবে কাজেই আমি স্বীকার করিলাম, প্রাণরক্ষার যদি কোন উপায় হয়, ত! আমি করিব।” এই বলিতে বলিতে প্রফুল্ল আকাশপ্রান্তে দৃষ্টিপাত করিল—যাহ দেখিল, তাহাতে যেন কিছু ভরসা হইল –আবার তখনই নির্ভরস হইয়া বলিল, “কিন্তু আমার প্রাণরক্ষায় আর এক অমঙ্গল আছে।” ব্ৰ । কি ? প্র । এ কথা তোমায় বলিব না মনে করিয়াছিলাম, কিন্তু এখন আর না বলিলে নয় । এই সিপাহীদের সঙ্গে আমার শ্বশুর আছেন । আমি ধরা না পড়িলে, র্তার বিপদ ঘটিলেও ঘটিতে পারে। ব্ৰজেশ্বর শিহরিল-মাথায় করাঘাত করিল। বলিল, “তিনিই কি গোইনদা ?” প্রফুল্ল চুপ করিয়৷ রহিল । ব্রজেশ্বরের বুঝিতে কিছু বাকী রহিল না। এখানে আজিকার রাত্রে ষে দেবী চৌধুরাণীর সাক্ষাৎ পাওয়৷ যাইবে, এ কথা হরবল্লভ ব্রজেশ্বরের কাছে শুনিয়াছিলেন । ব্রজেশ্বর আর কাহারও কাছে এ কথা বলেন নাই, দেবীরও