পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্যবন্ধু SS শত শত পথচারী ইহাদিগকে ঘিরিয়া ফেলিল । কোথা হইতে এক প:গরাওয়ালা আসিয়া—“ক্য হুয়া ক্যা হুয়া” বলিতে বলিতে উীড় ঠেলিয়া ভিতরে প্রবেশ করিল এবং অনেক কষ্ট্রে দুইজনকে ছাড়াইয়া frল। ইতিমধ্যে একজন সার্জেণ্ট সাহেবও আসিয়া উপস্থিত হইল । ইউরেশিয়ানের নাসিকা হইতে রক্তপাত হইতেছে, নলিনীর বালপোষ ও জামা ছিড়িয়া গিয়াছে ! সাজ্জেণ্ট সাহেবকে দেখিবামাত্র ইউরেশিয়ান প:ঙ্গেব বলিল—“এ নেটিব আমায় মারিয়াছে।” নলিনী উত্তেজিত স্বরে আধা বাঙ্গালা আধা হিনীতে বলিল— “আমি শুধু শুধু মারিয়াছি ? অপরাধের মধ্যে উহার কাছে পেন্সিলট একবার চাহিয়াছিলাম। বেটা আমার বলে কি না হট যাও ইউ ডাম নিগার ! আমি নিগার আর উনি কি ? র ৪ ত আমার উপরেও এক পোছ ।” সার্জেণ্ট সাহেব তখন কনেষ্টবলের সাহায্যে দুইজনকেই থানায় লইয়া চলিল । সেখানে ইনস্পেক্টার সাহেব, উক্ত ইউরেশিয়ানের, কনিষ্টবলের এবং সাজ্জেণ্টের জবানবন্দী লইয়া, নলিনীর বিরুদ্ধে রাজপানীর পথে শাস্তিভঙ্গ করিবার এক মোকৰ্দ্দম কায়েম করিলেন । নলিনীর নাম ঠিকানা প্রভৃতি লিখিয়া লইয়া বলিলেন—“আজ শনিবার। পরশু সোমবার লালবাজার পুলিস কোর্টে তোমার মোকৰ্দ্দমা হইবে । তোমার যদি কেহ জামিনদার থাকে তবে ২০০২ টাকার জামিনে তোমায় ছাড়িয়া দিতে পারি।” নলিনী বলিল—“আমার কেহ জামিনদার নাই ।” তখন তাহাকে তাড়তে বন্ধ করা হইল । শনিবার বাকী দিন ও রাত্রি, রবিবার দিন ও রাত্রি, নলিনীর কি ভাবে যে কাটিল, তাহা সেই জানে আর যিনি সকলের অন্তৰ্য্যামী তিনিই