পাতা:কৃষ্ণচরিত্র.djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম খণ্ড : চতুর্দশ পরিচ্ছেদ : পুরাণ । • তাহারই ঠিকানা হয়। কিন্তু তাও হয় বলিয়াও আমার বিশ্বাস হয় না। কেন না, সকল গ্রন্থের রচনা বা সঙ্কলনের পর নূতন রচনা প্রক্ষিপ্ত হইতে পারে ও পুরাণ সকলে তাহ। হইয়াছে বলিয়াই বোধ হয়। অতএব কোন অংশ খরিয়া সঙ্কলনসময় নিরূপণ করিব ? একটা উদাহরণের দ্বারা ইহা বুঝাইতেছি । w, " * মৎস্যপুরাণে, ব্রহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণ সম্বন্ধে এই দুইটি শ্লোক আছে – “রথস্তরস্ত কল্পস্ত বৃত্তাস্তমধিকৃত্য যৎ । সাবর্ণিনা নারায় কৃষ্ণমাহাত্ম্যসংযুতম্। যত্র ব্রহ্মবরীহস্ত চরিতং বর্ণ্যতে মুহুঃ । তদষ্টাদশসাহস্ৰং ব্রহ্মবৈবৰ্ত্তমুচ্যতে ॥” অর্থাৎ যে পুরাণে রথস্তর কল্পবৃত্তাস্তাধিকৃত কৃষ্ণমাহাত্ম্যসংযুক্ত কথা নারদকে সাবর্ণি বলিতেছেন এবং যাহাতে পুনঃপুনঃ ব্রহ্মবরাহচরিত কথিত হইয়াছে, সেই অষ্টাদশ সহস্ৰ শ্লোকসংযুক্ত ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণ । - এক্ষণে যে ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত পুরাণ প্রচলিত আছে, তাহ সাবর্ণি নারদকে বলিতেছেন না । নারায়ণ নামে অন্ত ঋষি নারদকে বলিতেছেন। তাহাতে রথন্তরকল্পের প্রসঙ্গমাত্র নাই, এবং ব্রহ্মবরাহচরিতের প্রসঙ্গমাত্র নাই। এখনকার প্রচলিত ব্রহ্মবৈবৰ্ত্তে প্রকৃতিখণ্ড ও গণেশখণ্ড আছে, যাহার কোন প্রসঙ্গ ছুই শ্লোকে নাই। অতএব প্রাচীন ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত পুরাণ এক্ষণে আর বিদ্যমান নাই। যাহা ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্ত নামে চলিত আছে, তাহ নূতন গ্রন্থ। তাহা দেখিয়া ব্রহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণ-সঙ্কলন-সময় নিরূপণ করা অপুৰ্ব্ব রহস্ত বলিয়াই বোধ হয়। উইলসন সাহেব পুরাণ সকলের এইরূপ প্রণয়নকাল নিরূপিত করিয়াছেন – ব্ৰহ্মপুরাণ খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ কি চতুর্দশ শতাব্দী। পদ্মপুরাণ * গ্রয়োদশ হইতে ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যে ॥৬ বিষ্ণুপুরাণ * দশম শতাব্দী। বায়ুপুরাণ সময় নিরূপিত হয় নাই, প্রাচীন বলিয়া লিখিত হইয়াছে। ভাগবত পুরাণ * রয়োদশ শতাবী । নারদপুরাণ * ষোড়শ কি সপ্তদশ শতাব্দী, অর্থাৎ দুই শত বৎসরের গ্রন্থ। মার্কণ্ডেয় পুরাণ * নবম কি দশম শতাব্দী । অগ্নিপুরাণ অনিশ্চিত অতি অভিনব । ভবিষ্যপুরাণ कि इग्न नाहे ।

  • কাছা হইলে, এই পুরাণ ছুই, তিন, কি চাৰি শত বৎসরের গ্রন্থ।