পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদরিণী ృb^రి পাঁচ টাকা জরিমানা হইয়াছিল। এই আদেশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্ট অবধি লড়িয়াছিলেন। সৰ্ব্বমুদ্ধ ১৭০-২ ব্যয় করিয়া এই পাঁচটি টাকা জরিমানার হুকুম রহিত করাইয়াছিলেন । মুখোপাধ্যায় যেমন অনেক টাকা উপার্জন করিতেন—তেমনি তাহার ব্যয়ও যথেষ্ট ছিল । তিনি অকাতরে অন্নদান করিতেন। অত্যাচরিত, উৎপীড়িত গরীব লোকের মোকৰ্দমা তিনি কত সময় বিনা ফিসে, এমনe কি নিজে অর্থব্যয় পৰ্য্যন্ত করিয়া, চালাইয়া দিয়াছেন। প্রতি রবিবার অপরাহুকালে পাড়ার যুৰক-বৃদ্ধগণ মোক্তার মহাশয়ের বৈঠকখানায় সমবেত হইয়া তাস পাশা প্রভৃতি খেলিয়া থাকেন। অদ্যও সেইরূপ অনেকে আগমন করিয়াছেন—পূৰ্ব্বোক্ত ডাক্তারবাবু ও উকীলবাবুও আছেন । হাতীকে বাধিবার জন্ত বাগানে খানিকট স্থান পরিষ্কৃত করা হইতেছে ; হাতী রাত্রে খাইবে বলিয়া বড় বড় পাতামৃদ্ধ কয়েকট কলাগাছ ও অন্যান্য বৃক্ষের ডাল কাটাইয়া রাখা হইতেছে—মোক্তার মহাশয় সেই সমস্ত তদারক করিতেছেন । মাঝে মাঝে বৈঠকখানায় আসিয়া, কোনও ব্রাহ্মণের হাত হইতে হকাটি লইয়া দাড়াইয় দাড়াইয়া দুই চারি টান দিয়া আবার বাহির হইয়া যাইতেছেন । সন্ধ্যার কিছু পূৰ্ব্বে জয়রাম বৈঠকখানায় বসিয়া পাশাখেলা দেখিতেছিলেন। এমন সময় সেই পত্রবাহক ভূত্য ফিরিয়া আসিয়া বলিল— “হাতী পাওয়া গেল না ।” . কুঞ্জবাবু নিরাশ হইয়া বলিয়া উঠিলেন—“অ্যা –পাওয়া গেল না ?” : নগেন্দ্রবাৰু বলিলেন—“তাই ত ? সব মাটী !” মোক্তার মহাশয় বলিলেন—“কেন রে, হাতী পাওয়া গেল না কেন ? চিঠির জবাব এনেছিস্ ?” *