পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 গল্পাঞ্জলি করিতে না। উদ্বেল দুঃখে—এই ছলনাটুকুর আশ্রয় লইলেন। হাতী গেল। মুখোপাধ্যায় শূন্তমনে বৈঠকখানার ফরাস ৰিছানার উপর গিয়া লুটাইয়া পড়িলেন। অনেক বেলা হইলে, অনেক সাধা-সাধনা করিয়া বধূর তাহাকে স্নান করাইলেন। স্বানাস্তে আহারে ৰসিলেন বটে, কিন্তু পাভের অল্প-ব্যঞ্জন অধিকাংশই অভুক্ত পড়িয়া রহিল। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ কল্যাণীর বিবাহের সমস্ত কথাবার্তা পাকা হইয়া গিয়াছে। ১৪ই জ্যৈষ্ঠ শুভকার্য্যের দিন স্থির হইয়াছে। বৈশাখ পড়িলেই উভয় পক্ষের আশীৰ্ব্বাদ হইবে । হস্তি-বিক্রয়ের টাকাটা আসিলেই গহনা গড়াইতে দেওয়া হয় । কিন্তু ১লা বৈশাখ সন্ধ্যাৰেলা মস মস করিয়া আদরিণী ঘরে ফিরিয়া আসিল। বিক্রয় হয় নাই—উপযুক্ত মুল্য দিবার খরিদার-জোটে নাই । আদরিণীকে ফিরিতে দেখিয়া বাড়ীতে আনন্দ-কোলাহল পড়িয়া গেল । বিক্রয় হয় নাই বলিয়া কাহারও কোনও থেদের চিহ্ন সে সময় দেখা গেল না। যেন হারাধন ফিরিয়া পাওয়া গিয়াছে—সকলের আচরণে এইরূপই মনে হইতে লাগিল । বাড়ীর লোকে বলিতে লাগিল—“আহা, আদর রোগ হয়ে গেছে । বোধ হয়, এ কদিন সেখানে ভাল করে খেতে পায় নি। ওকে দিন কতক এখন বেশ করে খাওয়াতে হবে ।” আনন্দের প্রথম উচ্ছ,সি অপনীত হইলে, পরদিন সকলের মনে হইল—কল্যাণীর বিবাহের এখন কি উপায় হইবে ?