পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3ఫిట গল্পাঞ্জলি

  • বাবার সময় আমি ৰে তোর সঙ্গে দেখাও করলাম না—সে কি তোকে অনাদর করে ? না মা, তা নয়। তুই ত অন্তৰ্য্যামী—তুই কি আমার মনের কথা বুঝতে পারিস নি ?—খুকীর বিয়েট হয়ে যা । তার পর, তুই যার ঘরে যাবি, তাদের বাড়ী গিয়ে আমি তোকে দেখে আসৰ। তোর জন্তে সন্দেশ নিয়ে যাব—রসগোল্লা নিয়ে যাব । যতদিন বেঁচে থাকব, তোকে কি ভুলতে পারব ? মাঝে মাঝে গিয়ে তোকে দেখে আসব। তুই মনে কোনও অভিমান করিসনে মা ।”

সপ্তম পরিচ্ছেদ পরদিন বিকালে একটি চাষীলোক একখানি পত্র আনিয়া মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের হস্তে দিল । পত্র পাঠ করিয়া ব্ৰাহ্মণের মাথায় যেন বজ্রাঘাত হইল। মধ্যমপুত্র লিখিয়াছে-“বাট হইতে সাত ক্রোশ দূরে আসিয়া কল্য বিকালে আদরিণী অত্যন্ত পীড়িত হইয় পড়ে। সে আর পথ চলিতে পারে না । স্বাস্তার পাশ্বে একটা আমবাগানে শুইয়া পড়িয়াছে। তাহার পেটে বোধ হয় কোনও বেদন হইয়াছে —শুড়টি উঠাইয়া মাঝে মাঝে কাতরস্বরে আৰ্ত্তনাদ করিয়া উঠিতেছে। মাহুত বখাৰিষ্ঠ সমস্ত রাত্রি তাহার চিকিৎসা করিয়াছে—কিন্তু কোনও ফল হয় নাই। বোধ হয় আদরিণী আর বাচিৰে না। যদি মরিয়া যায় তবে তাহার শবদেহ প্রোথিত কৱিৰার জন্ত নিকটেই একটু জমী বন্দোবস্ত লইতে হইৰে । স্বতরাং কৰ্ত্ত মহাশয়ের অবিলম্বে আসা আবশুক ।” ৰাড়ীর মধ্যে গল্প, উঠানে পাগলের মত পায়চারি করিতে করিতে বৃদ্ধ ৰলিতে লাগিলেন—“আমার গাড়ীর বন্দোৰন্ত করে দাও । আমি