পাতা:কমলাকান্ত - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
কমলাকান্তের দপ্তর।

ভৌতিক সামগ্রীর দ্বারা উদরের যে পূর্ত্তি হয়, তাহাই আধিভৌতিক পূর্ত্তি।

 “আধ্যাত্মিক”—যাঁহারা বড়লোকের বাক্যে লুব্ধ হইয়া, আশায় বদ্ধ হইয়া, কালযাপন করেন, তাঁহাদিগেরও আধ্যাত্মিক উদরপূর্ত্তি হয়।

 “আধিদৈবিক”—দৈবানুকম্পায় প্লীহা যকৃৎ প্রভৃতি দ্বারা যাঁহাদের উদর পূরিয়া উঠে, তাঁহাদিগের আধিদৈবিক উদরপূর্ত্তি।

 ৩। এতন্মধ্যে আধিভৌতিক পূর্ত্তিই বিহিত।

ভাষ্য।

 “বিহিত”—বিহিত শব্দের দ্বারা অন্যান্য পূর্ত্তির প্রতিষেধ হইল কি না, ভবিষ্যৎ ভাষ্যকারেরা মীমাংসা করিবেন।

 এক্ষণে সিদ্ধ হইল যে, উদরনামক মহা-গহ্বরে লুচি সন্দেশ প্রভৃতি ভৌতিক পদার্থের প্রবেশই পুরুষার্থ। অতএব এ গর্ত্তের মধ্যে কি প্রকার ভূত প্রবেশ করান যাইতে পারে, তাহা নির্ব্বাচন করা যাইতেছে।

 ৪। বিদ্যা, বুদ্ধি, পরিশ্রম, উপাসনা, বল, এবং প্রতারণা এই ষড়্‌বিধ পুরুষার্থের উপায়, পূর্ব্বপণ্ডিতের নির্দ্দেশ করিয়াছেন।

ভাষ্য।

 ১। “বিদ্যা”-বিদ্যা কি, তাহা অবধারণ করা কঠিন।