পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

及8 প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান বৈষ্ণবের গ্রহণ করিয়াছিলেন। কিন্তু নাথ-পন্থী এবং ধৰ্ম্ম-ঠাকুরের অপরাপর পূজকদল উচ্চ হিন্দু-সমাজের গণ্ডির বাহিরে ও অনাচরনীয়। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় প্রমাণ করিয়াছেন যে, এই ধৰ্ম্মঠাকুরই বিকৃত বুদ্ধের রূপ। ইনি মন্দিরে মন্দিরে কচ্ছপরূপে পূজা পাইতেছেন। বাঙ্গালা দেশের জনসাধারণ সাধারণতঃ এই ধৰ্ম্মঠাকুরেরই অনুগামী ছিল । এখনও এদেশের বহু পল্লীতে ‘ধৰ্ম্ম-ধান’ ( স্থান ) দৃষ্ট হয় । সেই সকল স্থান বা মন্দিরের সেবায়েত ডোম ও হাড়ি জাতীয় এবং এইসব স্থানের সংলগ্ন জিওস (পুকুর) সৰ্ব্বত্র দৃষ্ট হয়। এই সকল পুকুরের জলে নাকি একসময়ে মৃতদেহে প্রাণ আসিত এবং সৰ্ব্বরোগের শাস্তি হইত। বৌদ্ধ হঠযোগীরা এইসব আশ্রমে তপস্ত করিতেন এবং নানারূপ অলৌকিক কেরামত দেখাইতেন । সেনদের রাজত্বকালে কণোজিয়া ঠাকুরের এদেশে আগমন করেন। তাহাদের প্রভাবে বঙ্গের এই বৃহৎ জনসাধারণের সঙ্গে উচ্চ-হিন্দুসমাজের নাড়ীচ্ছেদ হইয়া যায় । সহজিয়াদের মতের উদারতা এক এক সময়ে আমাদের বিস্ময়ের স্বষ্টি করে । এক বৈষ্ণব সহজিয়া তাহার শিষ্যকে যে সকল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়াছিল এবং সে যে-সকল উত্তর দিয়াছিল, তাহ আলোচনা করিলে বুঝা যাইবে—তাহাদের বৈষ্ণব-রূপে পরিচয় দেওয়া একটা ভান মাত্র, তাহার ৫ছন্ন-বৌদ্ধ। সেই প্রশ্ন ও উত্তরের মৰ্ম্ম ংক্ষেপে এখানে দেওয়া গেল— - শিষ্যকে গুরুর প্রশ্ন —“তুমি কি কৃষ্ণের রূপ প্রত্যক্ষ করিয়াছ ?” শিষ্য—“না” গুরু—“তবে তিনি তোমার ইন্দ্রিয়-গ্রাহ না হইলে তাহাকে কি করিয়া কৃষ্ণবর্ণ বলিয়া জানিতে পারিলে এবং কিরূপে র্তাহার মুক্তি গড়িলে ? তুমি যে শুনিয়াছ, কৃষ্ণ নব-মেঘের স্থায় বর্ণবিশিষ্ট, জুম্মান্ধ তাহা কিরূপ্ত করিয়৷