পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ ゲ প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান চট্টগ্রাম প্রভৃতি অঞ্চলে বহুল প্রচলন দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সংস্কৃত ও বাঙ্গল এই দুই ভাষাই এককালে পূৰ্ব্ব-ভারতীয় জনসাধারণের মধ্যে বিশেষভাবে প্রচলিত ছিল। এককালে গৌড় দেশ বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রধানতম কেন্দ্র ছিল। গৌড়ের পাল-নৃপতির বাঙ্গালী ছিলেন । সুতরাং বাঙ্গলা ভাষা ও বাঙ্গল অক্ষর পূৰ্ব্ব-ভারতীয় উপদ্বীপসমূহ পৰ্য্যন্ত পৌঁছিয়াছিল। স্যাম দেশে বাঙ্গল রূপ-কথাগুলি যাইয়া সৰ্ব্বত্র প্রচলিত হইয়াছিল । ( Dr. Bijanraj Chatterji’s ‘Indian influence on Cambodia.) আলোয়াল ‘পদ্মাবতী’ কাব্য ১৬৪৫–৫২ খৃষ্টাব্দের মধ্যে রচন৷ করেন। তাহার পৃষ্ঠপোষক ও আশ্রয়দাতা ছিলেন কোরায়সী মাগন ; ইনি আরাকানের বৌদ্ধ-রাজ থডেমিণ্টারের প্রধান সচিব ছিলেন এবং নিজে ছিলেন মুসলমান । এই পুস্তকে সম্রাট আলাউদ্দিন ও পদ্মাবতীঘটিত কাহিনীটি অনেকটা রূপান্তরিতভাবে বর্ণিত হইয়াছে। ১৫২০ খৃষ্টাব্দে ( বাং ৯২৭ সালে) মালিক মহম্মদ জয়সী হিন্দী ভাষায় ‘পদ্মাবৎ কাব্য রচনা করেন। বাঙ্গল-কাব্যখানি মূল হিন্দী-কাব্যের অবলম্বনে রচিত হয় । কিন্তু আলোয়ালের কাব্য ঠিক অনুবাদ নহে। ইহা কতকটা রূপকচ্ছলে রচিত হইয়াছে। তিনি উত্তর-পশ্চিমের দৃশু-পটটি যেন বাঙ্গলা দেশে আনিয়া নূতন করিয়া আঁকিয়াছেন এবং বাঙ্গালী-সুলভ বিষয়-বস্তু ও ভাব এই কাব্যে অজস্র আমদানী করিয়াছেন। কবি—শুজা বাদ শাহের দলে ছিলেন, এইরূপ একটা মিথ্যা অপবাদের স্বষ্টি করিয়া মৃজ নামক একব্যক্তি আরাকান রাজদরবারে অভিযোগ আনয়ন করে। তাহার ফলে কবি কিছুকালের জন্ত কারাদণ্ড ভোগ করেন। কারামুক্ত হইয়া তিনি ‘পদ্মাবতীর শেষাংশ রচনা করেন (১৬৫১ খৃঃ অঃ )। তৎপর তিনি দৌলত কাজির ‘সতী ময়না’র উত্তরাংশ । ১৬৫৮ খৃঃ) এবং সয়ফুলমুলুকবদীউজ্জমাল’-এর প্রথম খণ্ড (১৬৫৯ খৃঃ) এবং শেষাংশ সৈয়দ মুসার